হাইকোর্টে ২৫ বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তামিল সিনেমার সুপারস্টার বিজয় থালাপতি তার রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেট্রি কাঝাগাম’ (TVK) শুরু করার ১৮ মাসের মধ্যেই তামিলনাড়ুর রাজনীতি কাঁপিয়ে দিচ্ছেন! ‘তামিলাগা ভেট্রি কাঝাগাম’ এর অর্থ হলো তামিল জনগণের বিজয়; কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিনি কি শুধু আলোড়ন তুলে থেমে যাবেন, নাকি সত্যি সত্যিই পুরো খেলার নিয়মটাই পাল্টে দেবেন?
গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের একাংশ ও কিছু কিছু উদীয়মান তরুণ নেতা মনে করছেন সব ক্ষমতা তাদের হাতে চলে গেছে, তাই তারা দখল-চাঁদাবাজি শুরু করেছেন বিপুল উৎসবে। তাদের আচরণ, কার্যকলাপ দেখে মনে হয় দখল-চাঁদাবাজিই বুঝি আসল রাজনীতি।
আজ থেকে প্রায় বারশো বছর আগে, নবম শতকে এক দিগম্বর সন্ন্যাসী, যার নাম জিনসেন, এক অসাধারণ মহাকাব্য রচনা করেছিলেন। তার লেখা সেই কাব্য ‘আদি পুরাণ’ নামে পরিচিত যার মূল ভিত্তি ছিল প্রথম জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের জীবন এবং তার দুই পুত্র ভরত ও বাহুবলীর কাহিনি। এটি কোনো সাধারণ গল্প নয়, এটি অহংকারকে জয় করে আত্মিক মুক্তির এক অসাধারণ গাথা। এই গল্পে আমরা একজন বীর যোদ্ধা থেকে এক পরম জ্ঞানীর যাত্রার সাক্ষী হই।
অপবাদ ছড়িয়ে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা বাংলাদেশে প্রায় মহামারির মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহু আলোচনা-সমালোচনার পরও এই ধরনের বিচারবহির্ভূত ঘটনা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দেশের তিন জেলায় গত বৃহস্পতিবার রাত ও গতকাল শুক্রবার অপবাদ ছড়িয়ে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, এদের একজন কিশোর, একজন তরুণ এবং একজন যুবক। নিহতদের দুজনকে চোর সন্দেহে এবং একজনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পেটানো হয়। এর মধ্যে দুটি ঘটনা পরিকল্পিত বলে পুলিশ সন্দেহ করেছে।
২o২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান। এটাকে অনেকে বিপ্লব বলার চেষ্টা করেন; কিন্তু এটাকে বিপ্লব বলার কোনো সুযোগ নেই, এটা একটা স্রেফ গণঅভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থানের শুরুটা হয়েছিল চাকরিক্ষেত্রে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন করতে গিয়ে সরকার জুলাই ম্যাসাকার সংঘটিত করে। ফলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটি প্রথমে ‘নয় দফা’ এবং পরবর্তীতে ‘এক দফা’র আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দর্শকদের জন্য এক বিরল সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলো। যে কোনো সিনেমাপ্রেমীর জন্যই এটি খুব দুর্লভ ঘটনা। যখন একই সপ্তাহে এতগুলো উচ্চাভিলাষী সিনেমা পর্দায় ভিড় করে এবং সব একই সঙ্গে দর্শকপ্রিয়তা ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে তখন এই চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে একটু আলাদা করে কথা বলতেই হয়। এই মুহূর্তে দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে চলছে ৪টি ভিন্ন স্বাদের এবং বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা যেগুলো শুধু বক্স অফিসেই সাড়া ফেলেনি বরং দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকেও পেয়েছে দারুণ রেটিং। চলুন, জেনে নেয়া যাক এই ৪টি চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভুরঞ্জন সরকার বাংলাদেশের সৎ সাংবাদিকদের জন্য একটি বেদনার বার্তা রেখে গেছেন, যেটাকে বলা যেতে পারে তার নিজের লিখে যাওয়া এপিটাফ। যে এফিটাফ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে পেশাদার সাংবাদিকতার দৈন্যদশার নিদারুণ দলিল।
আশির দশক। আমেরিকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্প যা একসময় সিলিকন ভ্যালির অহংকার ছিল, হঠাৎ করেই এক তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়ল। জাপানি কোম্পানিগুলো যেন অপ্রতিরোধ্য এক ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছিল। এই গল্পের এক নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নায়ক ছিলেন হিউলেট-প্যাকার্ড (এইচপি)-এর নির্বাহী রিচার্ড অ্যান্ডারসন। এইচপির জন্য কোন মেমরি চিপ কেনা হবে তার কঠিন মানদণ্ড তিনিই ঠিক করতেন। তাই, সেমিকন্ডাক্টর বিক্রেতাদের ভাগ্য অনেকটাই তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত।
রাজধানী ঢাকা শহরের অনেক সরকারি অফিসে কী ধরনের অনিয়ম হয়, তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। দুর্নীতির অভিযোগ অনেক সময় হয়তো সংবাদমাধ্যমে আসে, যার মাধ্যমে আমরা কিছু খবর পাই; কিন্তু এমন অনেক ধরনের অপরাধ আছে, যা দিনের পর দিন চলতে থাকে কিন্তু আমরা জানতে পারি না। যেমন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কথাই যদি বলি। এই অধিদপ্তরটির জন্যই ফার্মগেটের ওই জায়গাটি খামারবাড়ি হিসেবে পরিচিত। সারা দেশে আধুনিক কৃষি ও ফসল বিস্তারের দায়িত্ব পালন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আশ্চর্যজনক খবর হচ্ছে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরে দীর্ঘদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সমিতি-সংগঠনের দৌরাত্ম্য চলছে।
কিছু মৃত্যুর সংবাদ মানুষকে ঘন শীতল কুয়াশার মতো আচ্ছন্ন করে। কিছু মৃত্যুর সংবাদ শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করে। কিছু মৃত্যুর সংবাদ বুকের ভেতর বাষ্প জমিয়ে প্রকৃতপক্ষেই বুকটাকে ভারী করে তোলো। সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মৃত্যু সংবাদ বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা এমনই ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় গুণী এই সাংবাদিকের মৃত্যু সংবাদ শোনার আগে আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম তার শেষ ‘খোলা চিঠি’। যে চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের এক নিষ্ঠুর চিত্র তুলে ধরে গেছেন। জীবন শেষ করার বিদায়বেলায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এ জগৎটা কতটা ভ্রাতিবিলাশে আচ্ছন্ন, ফাঁপা, অতি আবেগি, অপেশাদার, যাতে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক সাংবাদিকের জীবন।
রাত সোয়া ৮টা। ব্যস্ত শহরের এক কোণে একটি পুরোনো গেট পেরিয়েই চোখে পড়ল এক মনভরানো দৃশ্য। শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীরা মেতে আছে নাচ-গানে। তাদের হাসি-ছন্দে যেন ধরা দেয় এক টুকরো স্বপ্ন। পাশে বসে থেকে সেসব পর্যবেক্ষণ করছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তার চোখে-মুখে গর্ব; কিন্তু কোথাও যেন চাপা উদ্বেগ। তবলায় হাত রেখে সঙ্গীতের তাল মেলাচ্ছেন সভাপতি। সংগঠনের প্রাণটা এখনো ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। ঘটনাটি বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের।