দুর্নীতি
নেপালের জেন জিদের সাংকেতিক বার্তা
সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া বিক্ষোভকে নাম দেয়া হয়েছে ‘জেন জি বিপ্লব’। এই আন্দোলন নানাভাবে বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। প্রথতম, এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ। যখন প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ছিল তখন জেন জিদের তৎপরতায় নেপালজুড়ে গণআন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি বিস্ময়কর, শুরু হওয়ার পর মাত্র দুদিনেই এর পরিসমাপ্তি ঘটে। অনমনীয়, একরোখা শাসনব্যবস্থার পতন ঘটায়। ছিটকে পড়ে পুরোনো শাসনব্যবস্থা। আরও বিস্ময়কর হলো এই বিক্ষোভে বিশেষ কোনো নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছিল না। কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঘোষিত কোনো কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই, সমন্বিত উদ্যোগে এই আশ্চর্যজনক গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। সত্যিই আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে!
হঠাৎ কেন নেপালে তরুণদের রক্তাক্ত বিক্ষোভ, রহস্য কী?
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নেপাল ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্য সুপরিচিত হলেও রাষ্ট্র হিসেবে এর যাত্রাপথ মোটেও মসৃণ নয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি নানা রাজনৈতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে। কখনো রাজতন্ত্র, কখনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, আবার কখনো সামরিক প্রভাব- নানা ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হওয়ার পর নেপালবাসী এক নতুন ভবিষ্যতের আশায় বুক বেঁধেছিল। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, বহু বছরের অস্থিরতার পর এবার দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতি কমবে, উন্নয়ন হবে সমভাবে সবার জন্য, আর রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে স্বচ্ছতা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি।
মালিকানার অধিকার থেকে বলছি
বাংলাদেশে যদি আরেকটি নির্বাচন হয়, তবে শোনো- আমার ভোট আমি দেবো, তুমি না। আমি আমার অধিকার বিক্রি করবো না, কারও গোলাম হবো না। তুমি যদি তোমার ভোট বিক্রি করো, তবে শুধু তুমি নও- আমার মতো কোটি কোটি মানুষকে তুমি গোলাম বানিয়ে দিচ্ছ। আর না! আমি বাংলাদেশে যেতে পারি না, কারণ সেখানে আমার জন্য লাঞ্ছনা অপেক্ষা করে, অপমান অপেক্ষা করে। কেন জানো? কারণ আমি কারও গোলাম নই- হতে পারি না, হতে চাই না! আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, কারও দাসত্ব স্বীকার করার জন্য নয়।
ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার একটি কঠিন সময়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তবে তাদের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র-জনতা ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এই সরকারের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা অনেক উচ্চ ছিল, যা পূরণ করা স্বভাবতই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনে কিছুটা অদক্ষতা ও দুর্বলতা দেখা গেলেও, মূলত আগের সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোকে পঙ্গু করে রেখে যাওয়ার প্রবণতার কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সক্ষম হতে পারেনি।
শুধু আইনি সংস্কার নয়, পুলিশের নৈতিকতা বৃদ্ধি করাও জরুরি
শুধু আইনি সংস্কার নয়, পুলিশের নৈতিকতা বৃদ্ধি করাও জরুরি
কালের নায়ক ইসমাইল আলী
বাংলাদেশের সমাজজীবনে অবিশ্বাসের বিষয়টি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। খাদ্যে ভেজাল, ওষুধে ভেজাল- যে যেভাবে পারছে মানুষকে ঠকাচ্ছে। বড় বড় দুর্নীতিও কম নেই। সমানে টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে। কোটি কোটি টাকার অনিয়ম হচ্ছে বড় বড় কোম্পানিতে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তো শেষ নেই।
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদবিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে
একটি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের সহায়ক শক্তি হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কাজেই সরকারি কর্মকর্তাদের সৎ এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু আমাদের দেশে এক শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মাঝে সততা ও নৈতিকতার প্রচণ্ড অভাব পরিলক্ষিত হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের নৈতিকতা উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না। প্রচলিত নিয়মে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি বছর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও এই বাধ্যবাধকতা অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে। তারা সঠিকভাবে সম্পদের হিসাব দেন না। তারপরও এটি একটি আইনি পদক্ষেপ।
বিটিসিএলের সেই আলোচিত জাইকা প্রকল্প দুর্নীতি নিয়ে দুদকের মামলা
বিটিসিএলের সাবেক কর্মকর্তা আমিনুল হাসান, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড ও টেলিটকের এমডিসহ ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশকে এগিয়ে নিতে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মাদক থেকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। আমাদের সমাজ এর থেকে মুক্তি লাভ করুক। আমরা চাই জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ যত্নবান হবেন।’