কোভিড-১৯
নেপালের জেন জিদের সাংকেতিক বার্তা
সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া বিক্ষোভকে নাম দেয়া হয়েছে ‘জেন জি বিপ্লব’। এই আন্দোলন নানাভাবে বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। প্রথতম, এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ। যখন প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ছিল তখন জেন জিদের তৎপরতায় নেপালজুড়ে গণআন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি বিস্ময়কর, শুরু হওয়ার পর মাত্র দুদিনেই এর পরিসমাপ্তি ঘটে। অনমনীয়, একরোখা শাসনব্যবস্থার পতন ঘটায়। ছিটকে পড়ে পুরোনো শাসনব্যবস্থা। আরও বিস্ময়কর হলো এই বিক্ষোভে বিশেষ কোনো নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছিল না। কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঘোষিত কোনো কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই, সমন্বিত উদ্যোগে এই আশ্চর্যজনক গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। সত্যিই আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে!
ট্রাম্পের হুমকি কেন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থার প্রধান দুর্বলতা হলো যখন শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে তখন উচ্চ পরিমাণে ঋণ নেওয়া ও প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন হেজ ফান্ডগুলো টিকতে না পেরে হঠাৎ করে নগদ অর্থ জোগাড়ের জন্য সরকারি বন্ডসহ নানা সম্পদ বিক্রি করে দেয়।
কারাগারে কয়েদির সংখ্যা ও খরচ কমাতে পারে প্রযুক্তির ব্যবহার
‘ন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর সোশ্যাল জাস্টিস’ কিছুদিন আগে একটা ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। বিষয় ছিল- বিচার-বহির্ভূতভাবে কয়েদিদের আটক বা রিমান্ড প্রথা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছিল একজন নিউরোলজিস্ট এবং তার মেয়েকে রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি হ্রাসের এই প্রবণতা ধরে রাখতে হবে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ইস্যুটি সবচেয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তা হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা। কোনোভাবেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছিল না। করোনা-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি যখন উত্তরণের পর্যায়ে ছিল ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ফলে পরিবহন সংকটজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার বছর বিশ্বের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। তাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকে পণ্য উৎপাদন ঘাটতিজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।
কৃষি খাতের পুনর্মূল্যায়ন ও কৃষি কমিশন গঠন প্রসঙ্গে
উৎপাদনে আধুনিক উপকরণ ব্যবহার ও ভূমি উন্নয়নে এদের আগ্রহ থাকে কম। প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রাপ্তি ও কৃষি যন্ত্র সংগ্রহে এদের প্রবেশাধিকার কম। ফলে তাদের প্রতি ইউনিট জমির উৎপানে প্রবৃদ্ধির হার কম। অপরদিকে বড় ও মাঝারি কৃষকগণ ক্রমাগতভাবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষাবাদে। তারা ক্ষয়িষ্ণু কৃষক। চাষাবাদে তাদের বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে তাদের উৎপাদন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: আস্থার ভঙ্গ ও জবাবদিহির সংকট
গত আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এটি নিজেকে একটি সংস্কারমুখী ও সুশাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রূপান্তরকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল; কিন্তু এক বছরের কাছাকাছি সময় পেরিয়ে গেলেও দেশটি এখন আরও গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত- যেখানে চরম অব্যবস্থাপনা, বেড়ে চলা বৈষম্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে নাগরিক কল্যাণের বিভেদ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে, যা স্থিতিশীলতার সেতু হওয়ার কথা ছিল, তা এখন অনিশ্চয়তার অতল গহ্বরে পতনের রূপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কতটা পেশাদার?
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ ঘটা করেই পালিত হলো মহান মে দিবস। শ্রমজীবীদের এই দিবসে বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করেছে। আয়োজন করা হয়েছে সভা-সেমিনার। সব জায়গায়ই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কড়া বক্তব্য এবং কিছু আশার বাণী শোনা গেছে। এই আশার বাণী প্রতি বছরই আমরা শুনি; কিন্তু এর ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয় না; বরং বছর বছর শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় বাড়ছে। এর প্রমাণ মেলে শ্রম ভবনে গেলে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
মে দিবসে জোরালো হোক কর্মসংস্থানের দাবি
শ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে সভ্যতা এগিয়েছে। শ্রম দিলেই শ্রমিক- এটা যেমন ঠিক, আবার শ্রমিক বলতে প্রথমে শিল্প শ্রমিকের ধারণা চলে আসে; কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের বিস্তৃতি আরও অনেক ব্যাপক। কেননা পৃথিবীর সব মানুষই কোনো না কোনো কাজ করে আর যে কোনো কাজ করতে গেলেই প্রয়োজন হয় শ্রমের। এই নিরিখে পৃথিবীর সব মানুষকেই শ্রমিক বলা যায়। আবার মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শ্রমিক শ্রেণি হলো সবচেয়ে আধুনিক এমন এক শ্রেণি, যারা সমাজবিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে। কার্ল মার্কস কারখানার শ্রমিকদের বিপ্লবী শ্রেণি হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন। কেননা তারা শৃঙ্খলমুক্ত স্বাধীন শ্রমিকশ্রেণি হিসেবে দাস ব্যবস্থার বিপরীতে উঠে এলেও তারা কারখানার এক ছাদের তলায়, একই স্বার্থে একটি সংঘটিত শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কার নিয়ে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দৃশ্যত, কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্থায় পড়েছে। একদিকে ‘সুযোগ বুঝে’ মোবাইল অপারেটররা চাচ্ছে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে। ‘সুযোগ বুঝে’ শব্দটা এ জন্য বলছি যে, এর আগে দুটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের পক্ষে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত পায়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে যদি কোনোভাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন অপারেটর, ইন্টারকানেকশস এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে এবং ইন্টারন্যাশাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটররা নিজেদের ব্যবস্থার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।
এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি
ম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রণীত প্রথম মুদ্রানীতি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। বর্তমান বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকালে কেমন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয় তা নিয়ে সবারই আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। প্রায় তিন বছর ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।