মানবাধিকার
জাতিসংঘ : ভাঙনের প্রান্তে নাকি সংস্কারের দ্বারপ্রান্তে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে মানবতার শান্তি, ন্যায় ও নিরাপত্তার আশায় ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের জন্ম। এর লক্ষ্য ছিল- একটি বৈশ্বিক মঞ্চ তৈরি করা, যেখানে সকল রাষ্ট্র সমানভাবে অংশ নেবে এবং বিরোধ মীমাংসা হবে আলোচনার মাধ্যমে, কেউ কথা রাখেনি। কিন্তু প্রায় আট দশক পর প্রশ্ন উঠছে- জাতিসংঘ কি তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছে, নাকি এটি আজ ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে?
দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
প্রতিবেদনে বলা হয়, অপুষ্টির কারণে দেশে প্রতি চারজনের একজন শিশু খর্বকায়। আর প্রতি তিনজনের একজন নারীর মধ্যে একজন রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। এ ছাড়া অনেক মানুষই অপুষ্টি, অরিরিক্ত ওজন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিতে ভুগছেন। এসব মানুষের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং উৎপাদনশীলতায় তারা ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
খাদ্যগুদামের চাল নিয়ে কারসাজি বন্ধ করুন
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, রাজশাহীর খাদ্যগুদামে নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল ঢুকিয়ে পরে তা পাল্টে দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ কাজে জড়িত আছেন গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই।
কারাগারে কয়েদির সংখ্যা ও খরচ কমাতে পারে প্রযুক্তির ব্যবহার
‘ন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর সোশ্যাল জাস্টিস’ কিছুদিন আগে একটা ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। বিষয় ছিল- বিচার-বহির্ভূতভাবে কয়েদিদের আটক বা রিমান্ড প্রথা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছিল একজন নিউরোলজিস্ট এবং তার মেয়েকে রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
হত্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস এখন সাংবাদিক নিপীড়নের নয়া হাতিয়ার
নজরদারি নিয়ে লেখা বিশ্বখ্যাত ডিস্টোপিয়ান বা কাল্পনিক অবিচার ও কর্তৃত্ববাদ নিয়ে লেখা উপন্যাস ১৯৮৪ এর লেখক জর্জ ওরওয়েল সাংবাদিকতা নিয়েও কালোত্তীর্ণ অনেক মত প্রকাশ করেছেন। সেগুলোর একটি হলো ‘সাংবাদিকতা হলো এমন কিছু প্রকাশ করা, যা অন্য কেউ প্রকাশ করতে চাইবে না। আর বাকি সব কিছু জনসংযোগ।’ আসলেই তাই, সাংবাদিকের কাজই চেপে
ভুল স্বীকারে ক্ষমা হতে পারে না, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি
‘কমন সেন্স’ এর সাধারণ বাংলা অর্থ হলো স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি। যে কোনো বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরই সেটা থাকা জরুরি। তা নাহলে সব কাজেই সে গোলমাল পাকিয়ে ফেলে। যারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন তাদের কমনসেন্স থাকা আরো বেশি জরুরি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য বোধহয় ওই সাধারণ বিচারবুদ্ধিটুকু হারিয়ে ফেলেছেন। তারা মাঝে মাঝে এমন কিছু ‘কাণ্ড’ করেন যা শুনলে হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। যেমন গতকালের একটি সংবাদ আমাদের বিমূঢ় করে দিল।
শহীদ আবু সাঈদ: ব্যর্থ নও তুমি, ব্যর্থ নয় তোমার আত্মার চিৎকার
আবু সাঈদ ২০০১ সালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মকবুল হোসেন, মাতা মনোয়ারা বেগম। আবু সাঈদের ৬ ভাই ও ৩ বোন। ৯ ভাইবোনের মধ্যে আবু সাঈদ সবার ছোট। আবু সাঈদ স্থানীয় জাফরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর স্থানীয় খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরে তিনি ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। তিনি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। টগবগে তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাকে ঘিরে তার এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখতেন। সেই সাঈদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া অসহ্য কষ্টের।
মানবাধিকার কমিশনকে দ্রুত সক্রিয় করুন
দেশে যখন একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে তখনই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৪ মাস ধরে নিষ্ক্রিয়। এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ভুক্তভোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গতকাল ১৮ মার্চ (মঙ্গলবার) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই সরকারের সময়ে গঠিত কমিশন টিকে ছিল নভেম্বর মাস পর্যন্ত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আগের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগ করলেও নতুন করে কমিশন গঠন করা হয়নি। চার মাস চলে গেলেও নতুন কমিশন গঠিত না হওয়া হতাশাজনক। এতে মনে হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না।
ধর্ষিতার আর্তনাদ যেন নিভৃতে কাঁদে
দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে ধর্ষণের ঘটনা। এর মধ্যে মাগুরায় ঘটেছে ৮ বছরের এক শিশু ধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনা। আর একের পর এক এসব ধর্ষণের কারণে উত্তাল সারা দেশ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৬ জন, যার মধ্যে ৪৪ জন শিশু।
জাস্টিন ট্রুডো কি পারবে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটা উজ্জ্বল ছিল। তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় থেকেই তিনি চ্যালেঞ্জ এবং বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন, তবে ট্রুডো সম্প্রতি কানাডা রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন।