উর্দু
সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষা শিক্ষা ও কিছু হাস্যরস
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী। ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটের করিমগঞ্জে তার জন্ম। শিক্ষাজীবনের বড় একটা অংশ কেটেছে শান্তি নিকেতনে। সেখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফারসি, হিন্দি, গুজরাতি, ফরাসি, জার্মানি, ইতালিসহ অনেক ভাষা শেখেন। পড়াশোনা ও চাকরির জন্য এবং নেহাত ঘোরার নেশায়- পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছেন মুজতবা আলী। রম্য রচনায় বাংলা সাহিত্যে তিনি অদ্বিতীয়। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর এই সাহিত্যিকের প্রয়াণ দিবস। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘স্টুডেন্ট ওয়েজ’ প্রকাশিত সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলির থেকে পাঁচটি ঘটনা পাঠকদের জন্য পত্রস্থ হলো।
স্কুলে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বর্ণনার ভাষা নেই
আহত যারা হয়েছে, অনেকের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে। কাল বিকেলে শেষ খবর পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত শতাধিক।
৫০ হাজার কিটের ছাড়পত্র নিয়েছে স্টারলিংক, সংযোগ সক্রিয় ৫৯৪
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা শুরুর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী কোম্পানি স্টারলিংক। ইতোমধ্যে দেশে ৫৯৪টি কিটের মাধ্যমে স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ৫০ হাজার ইন্টারনেট সংযোগের কিট আমদানির ছাড়পত্র পাওয়ার পর এই সেবা সম্প্রসারণের কার্যক্রম আরও জোরদার হয়েছে।
‘মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করছে ইরান’
মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ওপর সম্ভাব্য হামলা চালাতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
ইংরেজি বিদ্যায় বাঙালির হালচাল
বাঙালি ইংরেজি শিখতে শুরু করেছে কবে থেকে? নিশ্চয়ই যখন থেকে ইংরেজি শিক্ষাটা তার বৈষয়িক স্বার্থের অনুকূল রূপে দেখা দিয়েছে। সে সময়টা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধ। ১৭৫৭-তে পলাশীর ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার অবসান ঘটলো যদিও, তবু এদেশে ইংরেজের রাজত্ব গুছিয়ে নিতে কয়েক বছর সময় লেগেছিল অবশ্যই। তাই, তখনই ইংরেজের ভাষা এ দেশে রাজভাষা হয়ে ওঠেনি এবং বাঙালি সন্তানদের পক্ষেও রাজানুগ্রহ লাভের জন্য ইংরেজি ভাষা রপ্ত করার প্রয়োজন দেখা দেয়নি। ১৭৭৪ সালে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা গেল যে, পুরোনো কেতায় আর জীবন চলবে না; ইংরেজ আর এখন শুধু বণিক নয়- রীতিমতো বণিকরাজ, সে বণিকরাজের প্রসাদভোগী হওয়ার জন্য তার ভাষাটা আয়ত্ত করা প্রজাকুলের একান্ত প্রয়োজন।