Views Bangladesh Logo

যুক্তরাষ্ট্র

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অন্তরালে গাজার বাস্তবতা
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অন্তরালে গাজার বাস্তবতা

কূটনীতি

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অন্তরালে গাজার বাস্তবতা

নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণহত্যা, ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুত- এমন মর্মান্তিক বিশেষণগুলো যেন এখন শুধু গাজার জন্যই বরাদ্দ। গত বিশ মাস ধরে নারী-শিশু নির্বিশেষে উপত্যকাটির মানুষের ওপর চলছে বর্বর হত্যাযজ্ঞ। গাজায় যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলছে তা একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে হজম করা বেশ কঠিন। এমন হৃদয়বিদারক চিত্র একটি-দুটি নয়। হাজার হাজার। যা করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট ইসরায়েল। লাখ লাখ মানুষ সেখানে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। যাদের খাদ্য নেই, থাকার জায়গা নেই। আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নেই। এক অমানবিক ও মর্মান্তিক জীবন পার করছেন গাজাবাসী। তারা যেন এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে রয়েছেন। এ পর্যন্ত কত মানুষ নিহত হয়েছেন তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। প্রতিনিয়তই মৃত মানুষের মিছিল ভারী হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বাংলাদেশের করণীয়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বাংলাদেশের করণীয়

দেশ ও রাজনীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বাংলাদেশের করণীয়

কোনো দেশ যদি আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ করে তাহলে প্রথম যে প্রতিক্রিয়া হয়, তা হলো সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বর্ধিত হারে শুল্কারোপ করেছে। বাংলাদেশের পণ্য আগামীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে হলে ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হয়। এর সঙ্গে আরও ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক যোগ হবে। অর্থাৎ আগামীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করার জন্য বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হবে।

দুনিয়ার নিরস্ত্র মানুষ আজ অস্ত্রবাজ শক্তির হাতে জিম্মি
দুনিয়ার নিরস্ত্র মানুষ আজ অস্ত্রবাজ শক্তির হাতে জিম্মি

দেশ ও রাজনীতি

দুনিয়ার নিরস্ত্র মানুষ আজ অস্ত্রবাজ শক্তির হাতে জিম্মি

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বের ৩০০ বছরের গণতান্ত্রিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে গণতন্ত্র কয়েকটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্রসমূহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমস্ত দেশেরও মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার বিশ্বজুড়ে একটি চর্চিত বিষয়। কষ্টের কথা বিশ্বজুড়ে অহরহ লঙ্ঘিত বিষয়ও মানবাধিকার। মানবাধিকার দুটি শব্দের একত্রিত রূপ; মানব ও অধিকার। সহজ কথায় মানবের অধিকারই মানবাধিকার। মানুষ যখন তার অধিকার ঠিকভাবে পায় না তখনই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর তখনই বিশ্বজুড়ে শোরগোল ওঠে।

ইরানে ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
ইরানে ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

কূটনীতি

ইরানে ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

২০২৫ সালের জুন মাসে মধ্যপ্রাচ্য যেন তার দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার এক নতুন, আরও রক্তক্ষয়ী এবং অনিশ্চিত অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত এই স্মরণকালের বৃহত্তম ও সর্বাত্মক বিমান হামলা কেবল ইরানের সামরিক কাঠামোকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়নি, বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এক গভীর আদর্শিক, কূটনৈতিক এবং রাষ্ট্রনৈতিক সংকট। এই হামলার তাৎপর্য কেবল বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- বরং এটি এক সুপরিকল্পিত, বহুস্তরবিশিষ্ট এবং প্রতীকী আঘাত, যা ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার অস্তিত্ব, আত্মপরিচয় এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বের দাবি পর্যন্ত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা
স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা

টেলিকম

স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গল্পটা আজকের নয়। এর শুরুটা হয়েছিল মূলত নব্বইয়ের দশকে। যদিও আজকের প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের যে বাস্তবতা, সেই নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে, সে সময়কার ট্রাম্প সরকারের ‘ক্লিন ইন্টারনেট’ নীতির ফল হিসেবে। যে নীতি বিশ্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ‘যুক্তরাষ্ট্র’ ও ‘চীন’ নেটওয়ার্ক নামে ইন্টারনেট দুনিয়াকে দ্বিখণ্ডিত করার বড় ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে বিস্তারিত অধ্যায়ে যাওয়ার আগে নব্বই দশকের ইতিহাসের পটভূমিটা ঘুরে আসি।

পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

দেশ ও রাজনীতি

পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

১০ মে, ২০২৫; কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ মেয়েকে হত্যা করেছে মা-বাবা। গভীর রাতে ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় মা-বাবা তাদের কন্যা নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি খাতুনকে রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ভুট্টা খেতে ফেলে রাখে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার লক্ষ্যে তারা বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ঠিক এক বছর পূর্বে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে আট বছর বয়সী শিশু মরিয়মকে হত্যা করে তার নিজ মা ও চাচা, কারণ একই, জমি সংক্রান্ত বিরোধ। মা রিনা বেগম মেয়ে মরিয়মকে পাশের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নতুন পোশাক পরিয়ে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে গিয়ে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে রাখেন আর চাচা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ: পরমাণু অস্ত্রের আতঙ্ক এবং শক্তিধর দেশগুলোর ভূমিকা
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ: পরমাণু অস্ত্রের আতঙ্ক এবং শক্তিধর দেশগুলোর ভূমিকা

কূটনীতি

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ: পরমাণু অস্ত্রের আতঙ্ক এবং শক্তিধর দেশগুলোর ভূমিকা

পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে ৭ তারিখ থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কোনো শক্ত মধ্যস্থতা, অথবা ডি-এক্সলেশনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। হ্যাঁ, চীন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরান মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এরই মধ্যে দুদেশ সফর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দুই দেশের সঙ্গেই টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছেন। তারপরও দুই পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না।

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি না করে শুধু সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ অসম্ভব
বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি না করে শুধু সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ অসম্ভব

অর্থনীতি

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি না করে শুধু সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ অসম্ভব

শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্যও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে পারেন; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশে স্থানীয় এবং বিদেশি কোনো বিনিয়োগই প্রত্যাশিত মাত্রায় হচ্ছে না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিবেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে; কিন্তু এ ধরনের বিনিয়োগ সম্মেলন করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে খুব একটা লাভ হয় বলে আমি মনে করি না। কারণ বিনিয়োগ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন
বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন

সম্পাদকীয় মতামত

বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এর মধ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে ‘আর্টেমিস চুক্তি’ সই করেছে। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর বড় বড় দেশ বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। হাজার কোটি টাকার বড় বিনিয়োগ পেয়েছে পণ্য বিপণনকারী দেশি উদ্যোক্তা একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার আশা করছে, দুই-এক বছরে দেশে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সম্মেলনে ১০০-১২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দিয়েছে বিশ্বখ্যাত স্টারলিংক। যারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদনও পেয়েছে।

লুটপাট কোন ধরনের প্রতিবাদ?
লুটপাট কোন ধরনের প্রতিবাদ?

দেশ ও রাজনীতি

লুটপাট কোন ধরনের প্রতিবাদ?

প্রতি মুহূর্তে আকাশ থেকে আগুন ঝরছে, প্রতিটি ঘরে শোকের ছায়া। হাসপাতালগুলোর মেঝেতে সারি সারি রক্তাক্ত লাশ। নবজাতক শিশুরা অক্সিজেনের অভাবে মায়ের কোলে মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চিকিৎসকরা চাপা পড়ে যাচ্ছেন, অথচ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকায়। শিশুদের কান্না, মায়েদের আর্তনাদ, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে মানবতা।

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ