যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের ১৫১টি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পরও কেন এমন বাস্তবতা
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দুই বছর হতে চলল, গাজায় নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ২১ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজার বৃহত্তম শহর গাজা নগরীতে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। উদ্দেশ্য একটাই, জনবহুল এই নগরী পুরোপুরি খালি করে দখলে নেওয়া। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ও জাগিত নিধন বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৭ জন উপস্থিত থাকতে পারেন, তাহলে বিরাট লটবহর কেন?
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পদমর্যাদার সাতজন ছাড়াও তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন নেতা- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও ড. নকিবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন। প্রথমে ড. নকিবুর রহমান ও তাসনিম জারা প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, জামায়াত এবং এনসিপির অনুরোধে তাদের পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৈষম্য নিরসনের শপথ নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপি থেকে দুইজন প্রতিনিধি নিয়ে যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলেন তা এভাবে দূর করা হলো; কিন্তু বৈষম্য সম্পূর্ণ দূর হলো না। সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় অন্তত ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন; এই ৩০টি দলের মধ্য থেকে মাত্র ৩টি দলকে এই সফরে অংশীদার করায় বাকি দলগুলোর গুরুত্বের মাত্রা জনগণকে এভাবে বুঝিয়ে দেয়ার দরকার ছিল না, দরকার ছিল না ৩টি দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে বাকি ২৭টি দলের সঙ্গে বৈমষ্যমূলক আচরণ করার।
কম্পিউটার চিপ: উপসাগরীয় যুদ্ধের আসল নায়ক
১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি। ভোরবেলা সৌদি আরবের বিমানঘাঁটি থেকে মার্কিন এফ-১১৭ বোমারু বিমানগুলো নিঃশব্দে উড়াল দিল। তাদের সবার লক্ষ্য- বাগদাদ।
প্রবাসী শ্রমিকদের সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিন
একদিকে দেশে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা-অনিশ্চয়তা যার কারণে দেশ ছেড়ে বহু মানুষ এখন একটু নিশ্চিত জীবনের খোঁজে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অন্যদিকে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের। গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে ইতালি, অস্ট্রিয়া, গ্রিস ও সাইপ্রাস থেকে ৫২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার চার্টার্ড ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম দফায় ৩২ জন ফেরত আসার কথা। ফেরত আসা সবাই পুরুষ। বাকি ২০ জন কবে ফিরবেন তা এখনো জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুপক্ষের সঙ্গেই জামায়াতের হানিমুন পিরিয়ড গেছে
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন ও গবেষণা করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক, যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলেছেন।
ট্রাম্পের হুমকি কেন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থার প্রধান দুর্বলতা হলো যখন শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে তখন উচ্চ পরিমাণে ঋণ নেওয়া ও প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন হেজ ফান্ডগুলো টিকতে না পেরে হঠাৎ করে নগদ অর্থ জোগাড়ের জন্য সরকারি বন্ডসহ নানা সম্পদ বিক্রি করে দেয়।
ভয়ই যেখানে প্রেরণা: যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইন্টেল
ইন্টেলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি গ্রোভ ছিলেন এক তেজি মানুষ। তার জীবন ছিল এক কঠোর লড়াইয়ের গল্প। তিনি ছিলেন হাঙ্গেরির এক শরণার্থী, যিনি সোভিয়েত ও নাৎসিদের হাত থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। ভয় আর শৃঙ্খলাই ছিল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তার মূলমন্ত্র। তার বিখ্যাত বই ‘অনলি দ্য প্যারানয়েড সারভাইভ’-এ তিনি লিখেছেন: প্রতিযোগিতার ভয়, দেউলিয়া হওয়ার ভয়, আর ব্যর্থ হওয়ার ভয়- এসবই মানুষকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এক শক্তিশালী প্রেরণা জোগায়।
জাতীয় নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলের ফাঁদে যেন না পড়ে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। সেই নির্বাচন যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা পায় সেটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এ নিয়ে জনগণ বিগত সরকারের ওপর প্রচণ্ডরকম ক্ষুব্ধ ছিল। তাই তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
ট্রাম্প পুতিন বৈঠক: সফল ও বিফলের হিসাব
১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় মধ্য রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠক হলো, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লিখছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সুরাহা হয়নি, কোনো সমঝোতা হয়নি, পুতিন-ট্রাম্প আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে ইত্যাদি। বৈঠকের ঘোষণার পর থেকেই এ বিষয়টি ছিল টক অব দি ওয়ার্ল্ড; কিন্তু এ আলোচনার এজেন্ডা কী ছিল, লক্ষ্য কী ছিল সেটা কেউ পরিষ্কার করে বলছেন না। প্রধানত ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা বটে; কিন্তু কোনো সমঝোতা বা চুক্তির কথা ছিল না।
তাইওয়ান ও এশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের সূচনা
সালটা ১৯৬৮। মার্কিন টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস কোম্পানির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা- মার্ক শেফার্ড ও মরিস চ্যাং- উড়ে এলেন তাইওয়ানের মাটিতে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই: চিপ অ্যাসেম্বলির জন্য একটি নতুন কারখানা স্থাপনের উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করা। তাইওয়ানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কে টি লি-এর সঙ্গে তাদের বৈঠকটি অবশ্য মসৃণ ছিল না।