জাতিসংঘ
ইসরায়েলের অবস্থা কি ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ মতো হচ্ছে?
গাজায় যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল দিন দিন আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, ইসরায়েলের অবস্থা কি তবে ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ মতো হচ্ছে?
জাতিসংঘ : ভাঙনের প্রান্তে নাকি সংস্কারের দ্বারপ্রান্তে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে মানবতার শান্তি, ন্যায় ও নিরাপত্তার আশায় ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের জন্ম। এর লক্ষ্য ছিল- একটি বৈশ্বিক মঞ্চ তৈরি করা, যেখানে সকল রাষ্ট্র সমানভাবে অংশ নেবে এবং বিরোধ মীমাংসা হবে আলোচনার মাধ্যমে, কেউ কথা রাখেনি। কিন্তু প্রায় আট দশক পর প্রশ্ন উঠছে- জাতিসংঘ কি তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছে, নাকি এটি আজ ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে?
আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুপক্ষের সঙ্গেই জামায়াতের হানিমুন পিরিয়ড গেছে
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন ও গবেষণা করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক, যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলেছেন।
দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
প্রতিবেদনে বলা হয়, অপুষ্টির কারণে দেশে প্রতি চারজনের একজন শিশু খর্বকায়। আর প্রতি তিনজনের একজন নারীর মধ্যে একজন রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। এ ছাড়া অনেক মানুষই অপুষ্টি, অরিরিক্ত ওজন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিতে ভুগছেন। এসব মানুষের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং উৎপাদনশীলতায় তারা ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
বিটিআরসিকে বেকায়দায় ফেলে ৮০০ কোটি টাকার ‘ফন্দি’
বিনামূল্যে নেয়া স্পেকট্রাম ‘কৌশলে’ আটকে রেখে ৮০০ কোটি টাকা নেয়ার পাঁয়তারা করছে এক আইএসপি। ২০০৭ সালে বিনামূল্যে যে স্পেকট্রাম নিয়েছিল অলওয়েজ অন নেটওয়ার্ক নামে ওই আইএসপি, সে স্পেকট্রাম ছেড়ে দিতে এখন ৮০০ কোটি টাকা চাইছে তারা। দেশে ডিজিটাল বিভাজন দূর করা, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছানো, ভবিষ্যতে ৫জির প্রয়োজনীয়তা, সরকারের বিপুল রাজস্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটে ৭০০ ব্যান্ডের ওই স্পেকট্রাম এখন রাষ্ট্রীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। বিটিআরসি প্রায় ১ যুগ আগে ওই আইএসপিকে বিকল্প ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ড হতে প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম নেয়ার প্রস্তাবও দেয়; কিন্তু তারা তা শোনেনি।
কৃষি খাতের পুনর্মূল্যায়ন ও কৃষি কমিশন গঠন প্রসঙ্গে
উৎপাদনে আধুনিক উপকরণ ব্যবহার ও ভূমি উন্নয়নে এদের আগ্রহ থাকে কম। প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রাপ্তি ও কৃষি যন্ত্র সংগ্রহে এদের প্রবেশাধিকার কম। ফলে তাদের প্রতি ইউনিট জমির উৎপানে প্রবৃদ্ধির হার কম। অপরদিকে বড় ও মাঝারি কৃষকগণ ক্রমাগতভাবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষাবাদে। তারা ক্ষয়িষ্ণু কৃষক। চাষাবাদে তাদের বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে তাদের উৎপাদন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ভূমিমাইন থেকে মানুষকে বাঁচান
মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মি বাংলাদেশে শুধু বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা ঠেলে দিয়ে বসে থাকেনি, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তারা পুঁতে রেখেছে বিপুলসংখ্যক ভূমিমাইন, যাতে এই রোহিঙ্গারা আর মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারে- এমনই সন্দেহ পোষণ করছেন বাংলাদেশের মিয়ানমারের সিটওয়েতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান। গতকাল শনিবার (৩ মে) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, প্রায়ই মাইন ও আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে হতাহত হচ্ছেন মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষ। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এক তরুণ। বিস্ফোরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায়। মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পঙ্গু হয়ে গেছেন। জীবিকা হারিয়ে অনেকেরই এখন দুর্বিষহ জীবন। চিকিৎসা ব্যয়সহ নানা খরচ সামাল দিতে হতাহতদের পরিবারও অনেকটা নিঃস্ব।
গাজাবাসীর কান্না কি পৌঁছাচ্ছে বিশ্বনেতাদের কানে?
গাজায় তখন শেষ রাত। পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় গাজার অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই বোমারু বিমানের শব্দ। মুহুর্মুহু বোমার বিস্ফোরণ। খাবার ফেলেই তাদের পালাতে হলো। চোখের সামনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল তাদের ঘরবাড়ি। যুদ্ধবিরতি চলছে। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি অতর্কিতে এমন ভয়ংকর হামলা নেমে আসবে। চোখের সামনেই মারা গেল অনেক প্রিয়জন। ছোট্ট শিশুরা পিতা-মাতাকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে একা একা রাস্তায় দৌড়াতে লাগল। একটু পর ভেসে এলো ফজরের আজান। মোয়াজ্জিনের কণ্ঠও কান্নাভেজা।
বিদেশি ভাষা ব্যবহারে জাতীয় ভাষানীতি অবলম্বন করতে হবে
অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃরাষ্ট্রিক ঘাত-প্রতিঘাত ও সংশ্লেষণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গতিশীল থাকে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উপজাতি, ধর্মীয় সম্প্রদায়, বিশেষ আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য-সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, ভাষাগত পার্থক্য ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠী দেখা দেয়। রাষ্ট্রের জনপ্রকৃতিতে বিরাজ করে বৈচিত্র্য। বৈচিত্র্যর স্বীকৃতি দিয়ে, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয়- এই নীতি অবলম্বন করে সরকারকে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ জনপ্রকৃতির বৈচিত্র্যগত সমস্যার সমাধান করতে হয়। সংস্কৃতির বহুত্ববাদের (Pluralism in culture) কথা বলে জাতির ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টি করলে জাতি টেকে না। তাতে রাষ্ট্রের অস্তিত্বের শর্তও নষ্ট হয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার স্থির করতে হবে
লাদেশের জনগণ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার পরও এরা বাংলাদেশের স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্কৃতির কথা ভাবতে পারেন না। তাদের দৃষ্টি অতীতমুখী, বাংলাদেশের লেখক, শিল্পী, রাজনীতিবিদদের অপর একটি অংশে দেখতে পাই ভারতের সংস্কৃতির বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির প্রতি ভীষণ বিরূপ মনোভাব। এরা বাংলাদেশের জনগণের সংস্কৃতির উৎস খুঁজেন মধ্য যুগের মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতিতে বিশেষ করে ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে। এরা বাংলার ইতিহাসে বখতিয়ার খিলজির লক্ষণাবতি ও গৌড় জয়ের আগে যেতে চান না। আরবে ইসলাম প্রচার থেকে আরম্ভ করে বাংলার তুর্কি, পাঠান, মোগল শাসকদের শাসনকাল অতিক্রম করে ওহাবি ও ফরাজি আন্দোলনের ধারা ধরে দ্বিজাতিতত্ত্ব ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে আসেন। তারা জোর দেন দ্বিজাতিতত্ত্বে। এই সেদিন, মনে হয় ২০০৪ সালে, বখতিয়ার খিলজির লক্ষণাবতি জয়ের আটশ বছর পূর্তি উপলক্ষে একদল বুদ্ধিজীবী সতেরটি ঘোড়া নিয়ে পল্টন ময়দানে সমবেত হয়ে অনুষ্ঠান করেছেন এবং প্রচার মাধ্যমে তা বিপুল প্রচার লাভ করেছে। বাংলাদেশের লেখক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ রবীন্দ্রভক্ত এবং অপর একটি অংশ নজরুলভক্ত।