দক্ষিণ এশিয়া
প্রত্যেক নাগরিকের জন্য শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা প্রয়োজন
সংযোগ: একটি অপরিহার্য প্রয়োজন, বিলাসিতা নয় বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রা শুধু প্রযুক্তিগত সমৃদ্ধি নয়। ডিজিটাল যাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত দেশের মানুষ। দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষকে ডিজিটাল সেবায় সমান প্রবেশাধিকার, সমান সুযোগ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল যাত্রা এগিয়ে চলেছে।
বিএনপি কেন পিআরের বিরুদ্ধে?
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি হেরে যাবে আর জামায়াত ক্ষমতায় আসবে- এরকম ধারণা হয়তো অনেকের মনে আছে। সত্যি কি তা-ই এবং বিএনপি কি এ কারণেই পিআর পদ্ধতির বিরোধী?
তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা
২০২৫ সালে প্রায় ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অধিক-লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক খাতের দেশ। বর্তমানে দেশে রয়েছে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক, ৩৮টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ৭৫০টিরও বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, এর পাশাপাশি ১৩টি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ৯টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ১২টি পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর। এসব প্রতিষ্ঠান চারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে পরিচালিত- বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবুও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আশানুরূপ হয়নি। নগরাঞ্চলের একটি বড় অংশসহ জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের বিকল্প নেই
শিক্ষার ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা। আর দেশের প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা কী তা একটি মাত্র তথ্যেই জানা যায়- দেশে অর্ধেক প্রাথমিক স্কুলেই প্রধান শিক্ষক নেই। আজ ১৬ জুলাই (বুধবার) সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৬৫ হাজারের বেশি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩৪ হাজারের বেশি পদই শূন্য। অর্থাৎ প্রায় ৫২ শতাংশ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। একই সঙ্গে সাড়ে ২৪ হাজারের মতো সহকারী শিক্ষকের পদও ফাঁকা।
এক কিডনির গ্রাম
এতই মর্মান্তিক এই খবর যে, শুনলেই চমকে উঠবেন এমন ভয়ানক ব্যাপারও ঘটে এই দুনিয়ায়! তাও এই বাংলাদেশে! পৃথিবীতে যুদ্ধ-হানাহানি-রক্তপাত হয় যা মানুষকে ব্যথিত করে। যুদ্ধে-দুর্ভিক্ষে-বন্যায়-খড়ায়-নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে-দুর্বিপাকে অসংখ্য মানুষ মারা যায় তাও মানুষকে কাঁদায়; কিন্তু যদি শুনেন একটি গ্রাম চিহ্নিত হয় ‘এক কিডনির গ্রাম’ হিসেবে তাতে আপনি শুধু হতবাকই হবেন না, মানুষের এই সভ্যতা নিয়েই আপনি চিন্তিত হবেন।
দেশে শ্রম আইন থাকতে বাস্তবায়নে অবহেলা কেন?
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নেপথ্যের তিন চালিকাশক্তি হলো- কৃষিতে উচ্চ ফলনশীল ধান, শ্রমনিবিড় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প এবং বিদেশে কর্মসংস্থান থেকে রেমিট্যান্স। আবার এ তিনের মুখ্য চালক শ্রম এবং শ্রমজীবী মানুষ। তবে উন্নয়নের হিস্যায় এ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ খুবই কম। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোনো ক্ষেত্রেই মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো বাঁচার মতো মজুরি, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ অন্যান্য ন্যায়সংগত অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।
চীন-ভারত ঘনিষ্ঠতা, ট্রাম্পের উদ্বেগ ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
২০২৫ সালে এসে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এমন এক মোড় নিয়েছে যেখানে ‘কৌশলগত অবিশ্বাস’ নতুন ধরনের ‘অস্থায়ী মিত্রতা’ তৈরি করছে। চীন ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা, মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ব্যবহৃত হওয়া, আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব- এই সমীকরণগুলো দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। চীন ও ভারতের মধ্যে ২০২০ সালের গ্যালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিল তিক্ত; কিন্তু বিগত এক বছরে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ বৈঠক, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO), এবং দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত আলোচনা চীন-ভারত সম্পর্ককে নতুন এক ‘পরিকল্পিত সহাবস্থান’-এ পরিণত করছে।
লক্ষ্য নির্ধারণ ও ইতিবাচক মানসিকতা
খেলা, খেলোয়াড় ও সংগঠক নিয়ে ভাবাবেগ উসকে দেয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এটি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ক্ষতিকর। বিভাজন আর বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব ও বিতর্ক সৃষ্টি ক্রীড়াঙ্গনে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে দুর্বল করে। বৈচিত্র্যপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ ক্রীড়াঙ্গন শুধু সৌন্দর্য নয় এটাই প্রত্যাশিত। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং পদক্ষেপকে না বুঝে, চিন্তা-ভাবনা না করে ঝাঁপিয়ে পড়াটার মধ্যেই নেতিবাচক মানসিকতা প্রশ্রয় পায়। যেসব ঘটনা ঘটলে লক্ষ্যের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে সে সব ঘটনার সম্ভাবনায় আকাঙ্ক্ষিত হয়ে থাকার নামই উদ্বেগ।
বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে
বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। গোষ্ঠীটি বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাই করে। সেখানে জিম্মি প্রায় ৪০০ জন যাত্রীর ৩৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কুয়েটা থেকে পেশাওয়ার যাওয়ার পথে সিবি শহরের কাছে ট্রেনটি হামলার শিকার হয়। এ হামলার দায়ও দাবি করে বিএলএ। একদিনেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতের পর নিরাপত্তা বাহিনী ৩৩ জন হামলাকারীকে হত্যা করে। তবে ২১ জন যাত্রী এবং চারজন আধা-সামরিক সদস্যের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
নারী ক্ষমতায়নের অর্থনৈতিক তাৎপর্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির বাইরেও অস্তিত্বশীল
১৭২.৯২ মিলিয়ন জনসংখ্যার বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয়ার একটি ছোট দেশ। গত কয়েক দশকে দেশটি উন্নয়নের একটি সাফল্যের গল্প হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে নারী জনসংখ্যা ৮৮.০৭ মিলিয়ন যা পুরুষ জনসংখ্যা ৮৪.৮৫ মিলিয়নের চেয়ে কিছুটা বেশি। সঙ্গতকারণেই নারীরা দেশের জনসংখ্যাগত এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তা সত্ত্বেও শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং পেশাগত প্রতিনিধিত্বে লিঙ্গবৈষম্য এখনো প্রকট যা নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের জন্য আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। নারী ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র সামাজিকভাবে আবশ্যক নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অর্থনৈতিক অপরিহার্যতা। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের অগ্রগতিতে বাধাগুলো দূর করে দেশটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে এবং ত্বরান্বিত করতে পারে উন্নয়নের গতিকে।