Views Bangladesh Logo

নেপাল

জাতিসংঘ : ভাঙনের প্রান্তে নাকি সংস্কারের দ্বারপ্রান্তে?
জাতিসংঘ : ভাঙনের প্রান্তে নাকি সংস্কারের দ্বারপ্রান্তে?

বিশেষ লেখা

জাতিসংঘ : ভাঙনের প্রান্তে নাকি সংস্কারের দ্বারপ্রান্তে?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে মানবতার শান্তি, ন্যায় ও নিরাপত্তার আশায় ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের জন্ম। এর লক্ষ্য ছিল- একটি বৈশ্বিক মঞ্চ তৈরি করা, যেখানে সকল রাষ্ট্র সমানভাবে অংশ নেবে এবং বিরোধ মীমাংসা হবে আলোচনার মাধ্যমে, কেউ কথা রাখেনি। কিন্তু প্রায় আট দশক পর প্রশ্ন উঠছে- জাতিসংঘ কি তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছে, নাকি এটি আজ ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে?

নেপালের জেন জিদের সাংকেতিক বার্তা
নেপালের জেন জিদের সাংকেতিক বার্তা

কূটনীতি

নেপালের জেন জিদের সাংকেতিক বার্তা

সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া বিক্ষোভকে নাম দেয়া হয়েছে ‘জেন জি বিপ্লব’। এই আন্দোলন নানাভাবে বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। প্রথতম, এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ। যখন প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ছিল তখন জেন জিদের তৎপরতায় নেপালজুড়ে গণআন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি বিস্ময়কর, শুরু হওয়ার পর মাত্র দুদিনেই এর পরিসমাপ্তি ঘটে। অনমনীয়, একরোখা শাসনব্যবস্থার পতন ঘটায়। ছিটকে পড়ে পুরোনো শাসনব্যবস্থা। আরও বিস্ময়কর হলো এই বিক্ষোভে বিশেষ কোনো নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছিল না। কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঘোষিত কোনো কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই, সমন্বিত উদ্যোগে এই আশ্চর্যজনক গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। সত্যিই আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে!

পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় শান্তির বার্তা কোথায়?
পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় শান্তির বার্তা কোথায়?

সম্পাদকীয় মতামত

পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় শান্তির বার্তা কোথায়?

‘জেন-জি’দের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা তীব্র আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরপরই ফ্রান্সে প্রবল সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছে। নেপালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ‘জেন-জি’রা আর ফ্রান্সের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বামপন্থিরা। গতকাল প্রায় ২ লাখ বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সারা দেশজুড়ে তারা ‘ব্লক এভরিথিং’ ঘোষণা দিয়েছেন। আর তার জের ধরেই ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ। রাস্তার আবর্জনার বাক্স তুলে জনগণ ছুড়ে মেরেছেন পুলিশের ওপর। অসংখ্য যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্স সরকার দেশজুড়ে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে। প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

নেপালের বিক্ষোভ থেকে চীন কী বার্তা পেলো
নেপালের বিক্ষোভ থেকে চীন কী বার্তা পেলো

বিশেষ লেখা

নেপালের বিক্ষোভ থেকে চীন কী বার্তা পেলো

হিমালয়কন্যা নেপাল কার্যত এখন অশান্ত। দেশে কার্যকর কোনো সরকার নেই। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলনেই পতন হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কে পি শর্মা অলি চতুর্থবারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কে পি শর্মা অলির দল ইউএমএল (ইউনাইটেড মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী পার্টি) নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে।

নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে কেন বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে?
নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে কেন বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে?

কূটনীতি

নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে কেন বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে?

হিমালয়ের পাদদেশের দেশ নেপাল। আয়তনে বাংলাদেশের সমান, লোকসংখ্যা তিন কোটির কিছু বেশি। ছোট দেশ বলা হলেও একে ছোট দেশ বলা যায় না। তবুও ছোট দেশ বলা হয় অর্থনীতির আকারের কারণে। মূলত কৃষি, রেমিট্যান্স এবং পর্যটননির্ভর অর্থনীতি। তবে নেপালের ভূরাজনৈতিক অবস্থান একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভীষণ স্পর্শকাতর। নেপালের দুই পাশে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ ও বড় সামরিক শক্তির দেশ চীন এবং ভারত। নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা বরাবরই অম্ল-মধুর। নেপালে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গেও নেপালের সম্পর্কও ওঠানামা করেছে।

হঠাৎ কেন নেপালে তরুণদের রক্তাক্ত বিক্ষোভ, রহস্য কী?
হঠাৎ কেন নেপালে তরুণদের রক্তাক্ত বিক্ষোভ, রহস্য কী?

কূটনীতি

হঠাৎ কেন নেপালে তরুণদের রক্তাক্ত বিক্ষোভ, রহস্য কী?

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নেপাল ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্য সুপরিচিত হলেও রাষ্ট্র হিসেবে এর যাত্রাপথ মোটেও মসৃণ নয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি নানা রাজনৈতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে। কখনো রাজতন্ত্র, কখনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, আবার কখনো সামরিক প্রভাব- নানা ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হওয়ার পর নেপালবাসী এক নতুন ভবিষ্যতের আশায় বুক বেঁধেছিল। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, বহু বছরের অস্থিরতার পর এবার দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতি কমবে, উন্নয়ন হবে সমভাবে সবার জন্য, আর রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে স্বচ্ছতা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বৈষম্য কমানোর বাজেট প্রত্যাশা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বৈষম্য কমানোর বাজেট প্রত্যাশা

অর্থনীতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বৈষম্য কমানোর বাজেট প্রত্যাশা

বড় সমসা আমাদের শিক্ষার উন্নতিকল্পে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ খুবই কম। অথচ আমাদের পাশ্চাত্য দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণের চেয়ে বাংলাদেশে অত্যন্ত কম।

আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে
আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে

দেশ ও রাজনীতি

আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে

বিশ্বব্যাপী জাতীয় বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ বা জিডিপির ৬-৮ শতাংশ শুধু শিক্ষার জন্য বরাদ্দের কথা বলা হয়; কিন্তু আমাদের দেশে বরাবরই প্রয়োজনের তুলনায় কম বরাদ্দ দেওয়া হয় শিক্ষা খাতে। বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং অর্থনীতির মুখে আমাদের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে বাজেট করা কঠিন কাজ। অর্থনীতির প্রচলিত নিয়মে একে বাঁধা যায় না। রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, মেধা মননের বিকাশের ক্ষেত্রে যে কয়েকটি খাত রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। এ খাতটি একটি রাষ্ট্রে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিকের মেধা, চিন্তা, শক্তি স্বাভাবিক জীবন বোধের জাগরণের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যভাবে এ খাতের উন্নয়ন কল্পে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তা থেকে রাষ্ট্র অনেক দূরে। বড় সমস্যা আমাদের শিক্ষার উন্নতি কল্পে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ খুবই কম। অথচ আমাদের পাশ্চাত্য দেশ ভারত, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণের চেয়ে বাংলাদেশে অত্যন্ত কম।

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ: বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ: বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

অর্থনীতি

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ: বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হবার জন্য যে তিনটি আবশ্যিক শর্ত পরিপালন করতে হয়, বাংলাদেশ তার সবই বেশ ভালোভাবে পূরণ করেছে। এরপর কয়েক বছর পর্যবেক্ষণে ছিল বাংলাদেশ। আগামী বছর (২০২৬) বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হবে। স্বাধীনতার পর থেকে এটাই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অর্জন। কোনো দেশই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের চিরদিন ধরে রাখতে চায় না। প্রতিটি দেশেরই আকাঙ্ক্ষা থাকে কীভাবে এবং কত দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়া যায়। একটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকলে উন্নত দেশগুলো থেকে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়; কিন্তু সেটা কোনোভাবেই মর্যাদাপূর্ণ নয়। বরং এক ধরনের করুণা থেকেই এটা করা হয়। কোনো দেশই স্বল্পোন্নত বা দরিদ্র দেশ হিসেবে থাকতে চায় না। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হতে পারা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাকর।

একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ
একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ

দেশ ও রাজনীতি

একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভাঙচুরের ঘটনা অনেক পুরোনো। সেই নব্বইয়ের দশক থেকেই আমরা দেখছি, কোনো আন্দোলন, দাবি-দাওয়া, হরতাল-অবরোধ, ধর্মঘট সবকিছুতেই যানবাহন, স্থাপনা ভাঙচুর ঘটেছে বার বার। গত তিন দশকে বিভিন্ন সময়ে যাত্রবাহী চলন্ত বাস-ট্রেনে আগুনও দেখেছি আমরা। অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। ভাঙচুরমুক্ত একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা গড়তে পারিনি।

ট্রেন্ডিং ভিউজ