মধ্যপ্রাচ্য
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের ১৫১টি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পরও কেন এমন বাস্তবতা
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দুই বছর হতে চলল, গাজায় নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ২১ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজার বৃহত্তম শহর গাজা নগরীতে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। উদ্দেশ্য একটাই, জনবহুল এই নগরী পুরোপুরি খালি করে দখলে নেওয়া। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ও জাগিত নিধন বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় শান্তির বার্তা কোথায়?
‘জেন-জি’দের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা তীব্র আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরপরই ফ্রান্সে প্রবল সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছে। নেপালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ‘জেন-জি’রা আর ফ্রান্সের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বামপন্থিরা। গতকাল প্রায় ২ লাখ বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সারা দেশজুড়ে তারা ‘ব্লক এভরিথিং’ ঘোষণা দিয়েছেন। আর তার জের ধরেই ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ। রাস্তার আবর্জনার বাক্স তুলে জনগণ ছুড়ে মেরেছেন পুলিশের ওপর। অসংখ্য যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্স সরকার দেশজুড়ে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে। প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
ক্রিকেটে আলোচনা এবং আত্মোপলব্ধি কোথায়?
যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া এখন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামার কথা কেউ ভাবতে পারে না। প্রস্তুতি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। দেশের হয়ে যারা খেলতে নামেন তারা শিক্ষানবিস নয়। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো সামর্থ্য না থাকলে- সুযোগ মিলবে না। ফাঁক তালে সুযোগ মেলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ক্রিকেটে খেলাটার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো নিজকে তুলে ধরার সুযোগ। আর এই সুযোগ সবসময় হাতছানি দেয়।
বাংলার বারুদে ইউরোপে লড়াই
পূবের সূর্য যখন অস্ত যায়, পশ্চিমের আকাশ তখন রেঙে ওঠে ভোরের আলোয়। আজ পশ্চিমা অস্ত্রে মধ্যপ্রাচ্য কাঁপছে, ওয়াঘার দুপ্রান্তে বিদেশি বিমান কিংবা ড্রোনের আঘাতে জ্বলছে সাবেক ভারতের দুটি অংশ। অথচ সেকালের ভারত কিংবা মধ্যযুগের বাংলার অস্ত্রে কেঁপে উঠেছিল ইউরোপের মাটি।
দুনিয়ার নিরস্ত্র মানুষ আজ অস্ত্রবাজ শক্তির হাতে জিম্মি
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বের ৩০০ বছরের গণতান্ত্রিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে গণতন্ত্র কয়েকটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্রসমূহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমস্ত দেশেরও মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার বিশ্বজুড়ে একটি চর্চিত বিষয়। কষ্টের কথা বিশ্বজুড়ে অহরহ লঙ্ঘিত বিষয়ও মানবাধিকার। মানবাধিকার দুটি শব্দের একত্রিত রূপ; মানব ও অধিকার। সহজ কথায় মানবের অধিকারই মানবাধিকার। মানুষ যখন তার অধিকার ঠিকভাবে পায় না তখনই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর তখনই বিশ্বজুড়ে শোরগোল ওঠে।
গাজা থেকে ইরান: বোমার বিস্ফোরণ ভেদ করে শুনি মানুষের আর্তনাদ
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও গোটা বিশ্বের দৃষ্টি ছিল গাজার দিকে। চারপাশে ছিল ধ্বংসস্তূপ, রক্তাক্ত শিশুর কান্না, শরণার্থীদের আর্তনাদ। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ ছুটছিল অজানা গন্তব্যে। খাদ্যের অভাবে শিশুরা তাকিয়ে ছিল অসহায় চোখে। তাদের দৃষ্টি আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করছিল বারবার। বোমা বর্ষিত হয়েছিল সেইসব আশ্রয়কেন্দ্রেও, যেখানে নিরাপত্তার জন্য শেষ আশ্রয় খুঁজেছিল অসহায় মানুষজন।
দূরের যুদ্ধ, বাংলাদেশের জন্য বাস্তব হুমকি
বাংলাদেশ বর্তমানে নানা দিক থেকে চাপে আছে- অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত। আমরা একটি সম্পদ-ঘাটতির দেশ, যার বেশিরভাগ জ্বালানি ও মৌলিক চাহিদা আমদানিনির্ভর। আমাদের অর্থনীতি এখনো কৃষিভিত্তিক অথচ জনসংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রতি বছর বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে। বেকারত্ব বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে একটি বড় সংকট।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি
সৃষ্টির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাস আদম সন্তানের রক্তে রঞ্জিত। নিজেদের মহত্ব প্রকাশের দরুন বলি হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। ক্ষমতার অতি উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা অপরের ওপর নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে যুগে যুগে মরিয়া হয়ে ছিল শাসক শ্রেণি। যার ফল লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তে জমিন রঙিন হওয়া। যুদ্ধের সূচনা শাসক শ্রেণির হাতে হলেও প্রাণনাশ ঘটে অতি সাধারণ মানুষের। বর্তমান বিশ্বের ইতিহাসও এই ধারাবাহিকতার বাইরে নয়। এরই মধ্যে বিশ্ববাসী দুটো মহাযুদ্ধের ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়েছে।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
২০২৫ সালের জুন মাসে মধ্যপ্রাচ্য যেন তার দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার এক নতুন, আরও রক্তক্ষয়ী এবং অনিশ্চিত অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত এই স্মরণকালের বৃহত্তম ও সর্বাত্মক বিমান হামলা কেবল ইরানের সামরিক কাঠামোকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়নি, বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এক গভীর আদর্শিক, কূটনৈতিক এবং রাষ্ট্রনৈতিক সংকট। এই হামলার তাৎপর্য কেবল বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- বরং এটি এক সুপরিকল্পিত, বহুস্তরবিশিষ্ট এবং প্রতীকী আঘাত, যা ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার অস্তিত্ব, আত্মপরিচয় এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বের দাবি পর্যন্ত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
ভূরাজনৈতিক এবং ভূঅর্থনৈতিক উত্তেজনা এবং ঝুঁকি নিয়ে একটি গভীর পর্যালোচনা
বর্তমান বিশ্ব একটি অভূতপূর্ব ভূরাজনৈতিক এবং ভূঅর্থনৈতিক অস্থিরতার দিকে এগিয়ে চলেছে, যা পরিবর্তনশীল জোট, সম্পদ প্রতিযোগিতা এবং অর্থনৈতিক বিভাজনের দ্বারা চিহ্নিত। বিশ্বব্যাপী এসবের প্রভাব কীরকম হতে পারে তার একটি বিশদ বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো