বিটিআরসি
বেশিরভাগ এলাকায় ফোরজি কাভারেজ নেই মোবাইল অপারেটরদের
সেবার মান যাচাইয়ে দেশের তিন জেলায় বিটিআরসির ড্রাইভ টেস্টে বেশিরভাগ এলাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়নি। ড্রাইভ টেস্ট এলাকায় গ্রাহক সংখ্যায় দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৮ শতাংশ এলাকায় ফোরজি কাভারেজ ছিল না যা বেসরকারি অপারেটরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি ২০২৫ সালের জুলাই মাসে টাঙ্গাইল, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার মোট ৫৭৪ কিলোমিটার এলাকায় মাঠপর্যায়ে সরেজমিন মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সেবার মান যাচাই করে বিটিআরসি।
সভা আর চিঠি চালাচালি, এয়ারপোর্টে মোবাইল নেটওয়ার্কের খবর নেই
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালে মোবাইল নেটওয়ার্ক বসানোর উদ্যোগ যেন অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে আটকে আছে।
বিটিআরসিকে বেকায়দায় ফেলে ৮০০ কোটি টাকার ‘ফন্দি’
বিনামূল্যে নেয়া স্পেকট্রাম ‘কৌশলে’ আটকে রেখে ৮০০ কোটি টাকা নেয়ার পাঁয়তারা করছে এক আইএসপি। ২০০৭ সালে বিনামূল্যে যে স্পেকট্রাম নিয়েছিল অলওয়েজ অন নেটওয়ার্ক নামে ওই আইএসপি, সে স্পেকট্রাম ছেড়ে দিতে এখন ৮০০ কোটি টাকা চাইছে তারা। দেশে ডিজিটাল বিভাজন দূর করা, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছানো, ভবিষ্যতে ৫জির প্রয়োজনীয়তা, সরকারের বিপুল রাজস্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটে ৭০০ ব্যান্ডের ওই স্পেকট্রাম এখন রাষ্ট্রীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। বিটিআরসি প্রায় ১ যুগ আগে ওই আইএসপিকে বিকল্প ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ড হতে প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম নেয়ার প্রস্তাবও দেয়; কিন্তু তারা তা শোনেনি।
এয়ারপোর্টে মোবাইল অপারেটরদের আয়ে ভাগ চায় বেবিচক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালে মোবাইল নেটওয়ার্ক বসাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সিদ্ধান্তে বিস্ময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের।
৫০ হাজার কিটের ছাড়পত্র নিয়েছে স্টারলিংক, সংযোগ সক্রিয় ৫৯৪
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা শুরুর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী কোম্পানি স্টারলিংক। ইতোমধ্যে দেশে ৫৯৪টি কিটের মাধ্যমে স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ৫০ হাজার ইন্টারনেট সংযোগের কিট আমদানির ছাড়পত্র পাওয়ার পর এই সেবা সম্প্রসারণের কার্যক্রম আরও জোরদার হয়েছে।
নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ) আয়োজিত সেমিনারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলেছেন। গত ১২ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই সেমিনারে দর্শকসারিতে বসে পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যই শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে আমিনুল হাকিমের প্রশ্নটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ওই প্রশ্নের উত্তর সেমিনারের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী কিংবা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জহিরুল ইসলাম কেউই দেননি।
কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?
প্রায় ১৫ বছর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য প্রণীত আইএলডিটিএস (ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস) পলিসি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই হবে, কারণ গত ১৫ বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত বড় রূপান্তর ঘটেছে। এক অর্থে ১৫ বছর আগের চিত্র আমূল বদলে গেছে। আগে যেখানে ক্লিয়ার চ্যানেলে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল আদান-প্রদান হতো, এখন সেখানে ওটিটি অ্যাপভিত্তিক কল চলে এসেছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অ্যাপ টু অ্যাপ আইডিতে স্বাচ্ছন্দ্যে কল করা যায় বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। শুধু আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান নয়, বরং টেলিযোগাযোগে সার্বিকভাবে ক্লিয়ার চ্যানেলে ভয়েস কলের আধিপত্য শেষ হওয়ার পথে। যার হাতে স্মার্টফোন আছে তিনি আর সাধারণত সরাসরি কল করেন না, কোনো না কোনো ওটিটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এমনকি ফোরজি প্রযুক্তিতে ডিরেক্ট ভয়েস কলের ক্ষেত্রেও ভোল্টই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ডাটা টার্মিনাল ব্যবহার করে ভয়েস কল সেবা দেয়া হয়। ভোল্টই থেকে এখন অধিকতর উচ্চতর প্রযুক্তি ভিওওয়াইফাই বা ভয়েস ওভার ওয়াইফাই প্রযুক্তির ব্যবহারও মোবাইল টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ছে, যেটা পুরোপুরি ইন্টারনেটনির্ভর।
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কার নিয়ে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দৃশ্যত, কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্থায় পড়েছে। একদিকে ‘সুযোগ বুঝে’ মোবাইল অপারেটররা চাচ্ছে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে। ‘সুযোগ বুঝে’ শব্দটা এ জন্য বলছি যে, এর আগে দুটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের পক্ষে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত পায়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে যদি কোনোভাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন অপারেটর, ইন্টারকানেকশস এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে এবং ইন্টারন্যাশাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটররা নিজেদের ব্যবস্থার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের পিএসটিএন লাইসেন্স বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি
সাতটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তীর্ণ পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
কোন দিকে যাচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা, কার হাতে থাকবে নিয়ন্ত্রণ
পরিসংখ্যানটা খবরের শিরোনামের জন্য বেশ চটকদার। ‘মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ৪৪ লাখ।’ টেলিযোগাযোগ সংস্থা বিটিআরসি যেহেতু প্রতি মাসেই দেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ এবং ব্রডব্যান্ড সেবার গ্রাহক তথ্যের একটি পরিসংখ্যান দেয়, সে কারণে খুব সহজে সাংবাদিকরা তথ্যটিও পায়। আগের মাসের তথ্যের সঙ্গে নতুন মাসের গ্রাহক তথ্যের পার্থক্যটা দিয়ে সহজেই বাজার চলতি একটা রিপোর্টও করা যায়। গ্রাহকসংখ্যার পার্থক্য নিজেদের ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটা নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একটি বিশ্লেষণও দেখা যায়। গ্রাহকসংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে না বুঝেই আঁতকে ওঠার মতো আবেগঘন বক্তব্য দিতেও দেখা যায় দু-একজন বিশ্লেষককে। বড় বড় সংবাদমাধ্যমে যখন গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হয়, তখন ব্যবসা-বাজারের গতি-প্রকৃতি বুঝি-না বুঝি আমরা আমজনতাও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ি!