Views Bangladesh Logo
author image

রাশেদ মেহেদী

  • থেকে

সাংবাদিক, সম্পাদক, ভিউজ বাংলাদেশ
নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ) আয়োজিত সেমিনারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলেছেন। গত ১২ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই সেমিনারে দর্শকসারিতে বসে পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যই শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে আমিনুল হাকিমের প্রশ্নটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ওই প্রশ্নের উত্তর সেমিনারের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী কিংবা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জহিরুল ইসলাম কেউই দেননি।

স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা
স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা

স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গল্পটা আজকের নয়। এর শুরুটা হয়েছিল মূলত নব্বইয়ের দশকে। যদিও আজকের প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের যে বাস্তবতা, সেই নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে, সে সময়কার ট্রাম্প সরকারের ‘ক্লিন ইন্টারনেট’ নীতির ফল হিসেবে। যে নীতি বিশ্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ‘যুক্তরাষ্ট্র’ ও ‘চীন’ নেটওয়ার্ক নামে ইন্টারনেট দুনিয়াকে দ্বিখণ্ডিত করার বড় ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে বিস্তারিত অধ্যায়ে যাওয়ার আগে নব্বই দশকের ইতিহাসের পটভূমিটা ঘুরে আসি।

কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?
কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?

কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?

প্রায় ১৫ বছর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য প্রণীত আইএলডিটিএস (ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস) পলিসি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই হবে, কারণ গত ১৫ বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত বড় রূপান্তর ঘটেছে। এক অর্থে ১৫ বছর আগের চিত্র আমূল বদলে গেছে। আগে যেখানে ক্লিয়ার চ্যানেলে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল আদান-প্রদান হতো, এখন সেখানে ওটিটি অ্যাপভিত্তিক কল চলে এসেছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অ্যাপ টু অ্যাপ আইডিতে স্বাচ্ছন্দ্যে কল করা যায় বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। শুধু আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান নয়, বরং টেলিযোগাযোগে সার্বিকভাবে ক্লিয়ার চ্যানেলে ভয়েস কলের আধিপত্য শেষ হওয়ার পথে। যার হাতে স্মার্টফোন আছে তিনি আর সাধারণত সরাসরি কল করেন না, কোনো না কোনো ওটিটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এমনকি ফোরজি প্রযুক্তিতে ডিরেক্ট ভয়েস কলের ক্ষেত্রেও ভোল্টই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ডাটা টার্মিনাল ব্যবহার করে ভয়েস কল সেবা দেয়া হয়। ভোল্টই থেকে এখন অধিকতর উচ্চতর প্রযুক্তি ভিওওয়াইফাই বা ভয়েস ওভার ওয়াইফাই প্রযুক্তির ব্যবহারও মোবাইল টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ছে, যেটা পুরোপুরি ইন্টারনেটনির্ভর।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য

সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের প্রতিবেদনটি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। কারণ ২৯ বছরের পেশাগত জীবনে ২৭ বছর এক নাগারে মাঠের রিপোর্টিং করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য নিজেও গণমাধ্যমে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। কোনো রাজনৈতিক সরকারের আমলেই এ ধরনের সংস্কার কমিশন হয়নি। এ কারণেই এই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পড়ার জন্য প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি। ১৮০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরিতে নিশ্চিতভাবেই কমিশনের প্রধানসহ সম্মানিত অন্যান্য সদস্য অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। এই প্রতিবেদনে কয়েকটি দেশে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সামনে আনা হয়েছে।

‘বড় সাধ, একবার আমি মিনিস্টার হব’
‘বড় সাধ, একবার আমি মিনিস্টার হব’

‘বড় সাধ, একবার আমি মিনিস্টার হব’

রাজনীতির অঙ্ক বড়ই জটিল। সুখীনগর রাজ্যে সেই জটিল অঙ্ক জটিলতর হলো মহারাজার “দুঃখবিষয়ক মন্ত্রী” নিয়োগের ঘোষণায়। কারণ মহারাজ ঘোষণায় বলেছেন, এমন একজনকে তিনি দুঃখবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করতে চান, যিনি সত্যিকার অর্থে দুঃখ ভোগের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং দুঃখকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারেন। ঘোষণার পরের দিন থেকেই নতুন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী দুঃখী মানুষের রাজদরবারের সামনে লাইন পড়ে গেল। সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে মহারাজা দেখলেন, এরা কেউই দুঃখী নয় এবং দুঃখ ভোগ বিষয়ে এদের সবিশেষ কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। অতএব দুঃখবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি মহারাজার নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়াল।

টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কার নিয়ে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দৃশ্যত, কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্থায় পড়েছে। একদিকে ‘সুযোগ বুঝে’ মোবাইল অপারেটররা চাচ্ছে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে। ‘সুযোগ বুঝে’ শব্দটা এ জন্য বলছি যে, এর আগে দুটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের পক্ষে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত পায়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে যদি কোনোভাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন অপারেটর, ইন্টারকানেকশস এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে এবং ইন্টারন্যাশাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটররা নিজেদের ব্যবস্থার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।

...