Views Bangladesh Logo
author image

রাশেদ মেহেদী

  • থেকে

সাংবাদিক, সম্পাদক, ভিউজ বাংলাদেশ
উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে

উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে

প্রথমেই বলব, উদ্যোগটি ভালো। দেশে এখন মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। অতএব সেই উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কর ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা হ্যান্ডসেটের বাজার বন্ধ করার উদ্বেগকে প্রশংসার দৃষ্টিতেই দেখা উচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিটিআরসি কতবার এই উদ্যোগ নেবে, আর আমরা কতবার প্রশংসা করব এবং অতঃপর হতাশ হব?

নিছকই দুর্ঘটনা নয়, এটি চরম অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড
নিছকই দুর্ঘটনা নয়, এটি চরম অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড

নিছকই দুর্ঘটনা নয়, এটি চরম অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড

এক বছর আগে ফার্মগেট এলাকাতেই মেট্রোরেল লাইনের স্থাপনা থেকে প্রথমবার বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। সেবার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি; আর গুরুত্ব দিয়ে না দেখার কারণে এক বছরের ব্যবধানে সেই একই স্থানে আবারও খুলে পড়ল বেয়ারিং প্যাড এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হলেন এক তরতাজা যুবক। স্বামীকে হারালেন স্ত্রী, অনাথ হয়ে গেল তার দুই শিশু। আর সরকার তার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করল ৫ লাখ টাকা! শুধু তাই নয়, এ ধরনের যে প্রতিষ্ঠানের দায়-দায়িত্বহীনতার কারণে একই ধরনের দুর্ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল, সেই ডিএমটিসিএলের সাবেক এমডিকে প্রধান করে গঠিত হলো তদন্ত কমিটি! সরকারি এ দুটি সিদ্ধান্তই নাগরিকের সঙ্গে চরম প্রহসন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেবে।

কূটনীতির গোলক ধাঁধায় বাংলাদেশ!
কূটনীতির গোলক ধাঁধায় বাংলাদেশ!

কূটনীতির গোলক ধাঁধায় বাংলাদেশ!

কূটনীতির গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশের কথা বলি কেন, বিশ্ব রাজনীতিই এখন গোলক ধাঁধার মধ্যে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে যে বাড়তি শুল্ক আরোপের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রকেই বিশ্ব রাজনীতিতে একঘরে করে ফেলার বড় ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আর সে ক্ষেত্রের ভেতরেই বিশ্ব কূটনীতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। অবশ্যই বাংলাদেশ তার বাইরে নয়।

নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ) আয়োজিত সেমিনারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলেছেন। গত ১২ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই সেমিনারে দর্শকসারিতে বসে পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যই শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে আমিনুল হাকিমের প্রশ্নটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ওই প্রশ্নের উত্তর সেমিনারের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী কিংবা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জহিরুল ইসলাম কেউই দেননি।

স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা
স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা

স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গল্পটা আজকের নয়। এর শুরুটা হয়েছিল মূলত নব্বইয়ের দশকে। যদিও আজকের প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের যে বাস্তবতা, সেই নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে, সে সময়কার ট্রাম্প সরকারের ‘ক্লিন ইন্টারনেট’ নীতির ফল হিসেবে। যে নীতি বিশ্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ‘যুক্তরাষ্ট্র’ ও ‘চীন’ নেটওয়ার্ক নামে ইন্টারনেট দুনিয়াকে দ্বিখণ্ডিত করার বড় ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে বিস্তারিত অধ্যায়ে যাওয়ার আগে নব্বই দশকের ইতিহাসের পটভূমিটা ঘুরে আসি।

কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?
কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?

কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?

প্রায় ১৫ বছর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য প্রণীত আইএলডিটিএস (ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস) পলিসি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই হবে, কারণ গত ১৫ বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত বড় রূপান্তর ঘটেছে। এক অর্থে ১৫ বছর আগের চিত্র আমূল বদলে গেছে। আগে যেখানে ক্লিয়ার চ্যানেলে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল আদান-প্রদান হতো, এখন সেখানে ওটিটি অ্যাপভিত্তিক কল চলে এসেছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অ্যাপ টু অ্যাপ আইডিতে স্বাচ্ছন্দ্যে কল করা যায় বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। শুধু আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান নয়, বরং টেলিযোগাযোগে সার্বিকভাবে ক্লিয়ার চ্যানেলে ভয়েস কলের আধিপত্য শেষ হওয়ার পথে। যার হাতে স্মার্টফোন আছে তিনি আর সাধারণত সরাসরি কল করেন না, কোনো না কোনো ওটিটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এমনকি ফোরজি প্রযুক্তিতে ডিরেক্ট ভয়েস কলের ক্ষেত্রেও ভোল্টই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ডাটা টার্মিনাল ব্যবহার করে ভয়েস কল সেবা দেয়া হয়। ভোল্টই থেকে এখন অধিকতর উচ্চতর প্রযুক্তি ভিওওয়াইফাই বা ভয়েস ওভার ওয়াইফাই প্রযুক্তির ব্যবহারও মোবাইল টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ছে, যেটা পুরোপুরি ইন্টারনেটনির্ভর।

...