শ্রীলঙ্কা
বিএনপি কেন পিআরের বিরুদ্ধে?
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি হেরে যাবে আর জামায়াত ক্ষমতায় আসবে- এরকম ধারণা হয়তো অনেকের মনে আছে। সত্যি কি তা-ই এবং বিএনপি কি এ কারণেই পিআর পদ্ধতির বিরোধী?
বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!
অনেক দৌড়ঝাঁপের পর তৃতীয় দফার আলোচনায় মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রির ওপর আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৭টি দেশের ওপর ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপ করেছিলেন; জুলাই মাসের মধ্যে দেশের সংখ্যা বেড়ে হয় ৯০টিরও অধিক। ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর এই নীতি গ্রহণের পূর্বে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল; নতুন নীতিতে বৃদ্ধি করা হয়েছিল আরও ৩৫ শতাংশ, দুটি মিলে হয়েছিল ৫০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে শুল্ক হার যুক্তিযুক্ত করার সুযোগ প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় দফার আলোচনায় ১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে; এখন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করতে হলে পুরোনো ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নতুন ২০ শতাংশ মিলিয়ে মোট ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আমেরিকাকে দিতে হবে।
মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়
তিন দফা আলোচনা শেষে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে তার পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে পেরেছে। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন ইতিবাচক, তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য কূটনৈতিক সাফল্যও বটে। কারণ গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প যখন প্রথমবার বিভিন্ন দেশের ওপর বাড়তি শুল্কের পরিমাণ ঘোষণা করলেন, তখন বাংলাদেশের পণ্য থেকে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক নেয়ার কথা বলেছিলেন। পরে সেই শুল্ক স্থগিত হয়ে যায়। ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প জানান, ৩৭ নয়, ২ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর শুল্কের পরিমাণ করা হচ্ছে ৩৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে
২০২৫ সালের ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০৮টি দেশের ওপর ১১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক (Reciprocal Tariff) আরোপের ঘোষণা দেন। এটি বিশ্বের সব দেশের জন্যই এক ধরনের ধাক্কা হিসেবে এসেছে তা দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ যতই হোক না কেন কিংবা সেই দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় বা ছোট হোক না কেন। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ৪ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই সেবা খাতে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। প্রমাণস্বরূপ ২০২৪ সালে সেবা রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল শূন্য দশমিক ৮৪১ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোথাও সেবা খাতকে উল্লেখ করেনি অথচ বিশ্বব্যাপী সেবা রপ্তানি দ্রুত বাড়ছে এবং ভবিষ্যতের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বাংলাদেশের করণীয়
কোনো দেশ যদি আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ করে তাহলে প্রথম যে প্রতিক্রিয়া হয়, তা হলো সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বর্ধিত হারে শুল্কারোপ করেছে। বাংলাদেশের পণ্য আগামীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে হলে ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হয়। এর সঙ্গে আরও ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক যোগ হবে। অর্থাৎ আগামীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করার জন্য বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বৈষম্য কমানোর বাজেট প্রত্যাশা
বড় সমসা আমাদের শিক্ষার উন্নতিকল্পে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ খুবই কম। অথচ আমাদের পাশ্চাত্য দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণের চেয়ে বাংলাদেশে অত্যন্ত কম।
আগামী বাজেটে কৃষি খাতের অগ্রাধিকার প্রয়োজন
নয়া বাজেট আসন্ন। আগামী জুন মাসের ২ তারিখ উপস্থাপিত হতে পারে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট। এখন বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে জানা গেছে যে, আগামী বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের মূল বাজেটের তুলনায় তা হবে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম টাকার অঙ্কে বাজেটের আকার হ্রাস পাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এ বাজেট হবে সংকোচনমূলক। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আহরণের ধীরগতি ও বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতার অভাবহেতু একটি আঁটসাঁট বাজেটই আমাদের কাম্য।
শ্রমিকের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত হোক
আজ পহেলা মে, মহান মে দিবস; আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের মর্যাদা, শ্রমের মূল্য এবং দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে শ্রমিকরা যে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন তাদের সে আত্মত্যাগের সম্মানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। বাংলাদেশও দিবসটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে প্রতি বছর। এ দিন সরকারি ছুটি থাকে। দিবসটি উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি হয়, শ্রমিকদের নিয়ে নানা আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়; কিন্তু বাংলাদেশে শ্রমিকদের অবস্থা আসলে কী?
চীনের সঙ্গে চুক্তি করার আগে তাদের পূর্বশর্ত যাচাই করতে হবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৬ মার্চ ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যাচ্ছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই ড.মোহাম্মদ ইউনূসের চীনে প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর। ড.মোহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর নানা কারণেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হলেও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করা। রাজনৈতিক কারণেও এই সফর গুরুত্বপূর্ণ তবে অর্থনৈতিক ইস্যুই বেশি প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। এই মুহূর্তে চীন হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বড় আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ। চীন উদারভাবে বিভিন্ন দেশকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলেছে। চীন শ্রীলঙ্কাকেও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশকেও তারা উদারভাবে সহায়তা প্রদান করছে।
বাণিজ্য ঘাটতি এবং শুল্ক: ট্রাম্পের বিভ্রান্তি ও শ্রীলংকার করণীয়
এ অবস্থায় প্রতিকারের বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা না করেই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘাটতি কমানোর উপায় হিসেবে পারস্পরিক শুল্কের প্রস্তাব করেছেন। এর অর্থ হলো, আমেরিকা যেসব পণ্য রপ্তানি করে বা রপ্তানি করতে চায়, তার ওপর শ্রীলংকার বিদ্যমান শুল্ক শ্রীলংকারই প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর ওপর প্রযোজ্য হবে। পণ্যগুলো হচ্ছে- পুরুষ ও মহিলাদের অন্তর্বাস, মহিলাদের বাইরের পোশাক, পুরুষদের বাইরের পোশাক, বায়ুসংক্রান্ত এবং রিট্রিটেড রাবার টায়ার এবং টিউব, টি-শার্ট, গ্লাভস, টেক্সটাইলের মিট এবং মিটেন, উষ্ণ কাপড় (জার্সি, পুলওভার ইত্যাদি), মোটরযান এবং যন্ত্রাংশ, সক্রিয় পোশাক/স্পোর্টসওয়্যার এবং শিশুদের পোশাক।