জুলাই গণঅভ্যুত্থান
রাজনীতিতে শিষ্টাচারবহির্ভূত স্লোগান কেন?
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিক স্লোগানে দু-একটা অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার হয় সবসময়ই। যেমন, ‘অমুকের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’। বেশ পরিচিত স্লোগান; কিন্তু এখন, বাংলাদেশে এমন কিছু অশ্লীল রাজনৈতিক স্লোগান শুরু হয়েছে যা খুবই অরুচিকর-অশ্লীল। ভদ্রলোকরা সেগুলো শুনে কানে আঙুল দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক অনেক ওটিটি-ফিল্মে দেখা যায় গালাগালির সময় ‘টুট টুট’ একটা শব্দ দিয়ে অশ্লীল শব্দগুলো মিউট করে দেয়া হয়। ‘টুট টুট’ শব্দ শুনলেই দর্শক বুঝতে পারছেন অশ্লীল গালাগালি হচ্ছে। সম্প্রতি টেলিভিশনের খবরেও দেখা গেল রাজনৈতিক স্লোগানের জায়গায় ‘টুট টুট’ ব্যবহার করতে। এমন কিছু অশ্লীল স্লোগান এখন ব্যবহার হচ্ছে যা শোনাও যায় না, লেখাও যায় না।
ড. ইউনূসের ভাষণ: উচ্চাশা নাকি আশ্বাসের পুনরাবৃত্তি?
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে যেভাবে উচ্চাভিলাষী রূপরেখা উপস্থাপন করলেন, তা শুনে প্রথমত মনে হতে পারে- এই সরকার সত্যিই কিছু পরিবর্তন করতে চায়; কিন্তু এই উচ্চাশার রঙিন বয়ানের পরপরই মনে পড়ে যায়- আমরা তো এরকম কথা বহুবার শুনেছি। বিভিন্ন সরকার, বিভিন্ন মুখ আর বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা এই জাতিকে বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নতুন সূচনার ডাক দিয়েছে, আবার নিজেদের সুবিধামতো সেই সূচনাকেই অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতায় ভর করে আজকের ভাষণ শুনে দেশের মানুষ আশাবাদী হওয়ার বদলে সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রশ্ন জাগে- এ কি আবারও সেই পুরোনো খেলা, কেবল মুখপাত্রটা বদলে গেছে?
হত্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস এখন সাংবাদিক নিপীড়নের নয়া হাতিয়ার
নজরদারি নিয়ে লেখা বিশ্বখ্যাত ডিস্টোপিয়ান বা কাল্পনিক অবিচার ও কর্তৃত্ববাদ নিয়ে লেখা উপন্যাস ১৯৮৪ এর লেখক জর্জ ওরওয়েল সাংবাদিকতা নিয়েও কালোত্তীর্ণ অনেক মত প্রকাশ করেছেন। সেগুলোর একটি হলো ‘সাংবাদিকতা হলো এমন কিছু প্রকাশ করা, যা অন্য কেউ প্রকাশ করতে চাইবে না। আর বাকি সব কিছু জনসংযোগ।’ আসলেই তাই, সাংবাদিকের কাজই চেপে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অননুমোদিত ইশতেহার
ইশতেহার যদি মানুষের নীতিগত অবস্থানকে প্রকাশ করে, কীভাবে একটি সমস্যার সমাধান করবে তার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দেয় কিংবা কীভাবে এগিয়ে যাবে তার একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে যা জনগণের অথবা সে সময়ের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেয় তবে আবু সাঈদের (২০০১-১৬ জুলাই ২০২৪) কথাগুলোর মধ্যে কী ইশতেহারের প্রাণ ভোমরা নেই? দেখি কি লিখেছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শামসুজ্জোহাকে (১৯৩৪-১৯৬৯) উদ্দেশ্য করে বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদ স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার! আপনার সমসাময়িক সময়ে যারা ছিল, সবাই তো মরে গেছে; কিন্তু আপনি মরেও অমর। আপনার সমাধি, আমাদের প্রেরণা। আপনার চেতনায় আমরা উদ্ভাসিত।
জুলাই বিপ্লবে আহত ৬ জনকে পাঠানো হলো থাইল্যান্ডে
উন্নত চিকিৎসার জন্য জুলাই বিপ্লবে আহত ছয়জনকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন তারা।
'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
নানা যুক্তিতর্ক, আলোচনা এবং পরামর্শে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু করলো ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের কাজ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) উল্লেখ থাকলেও এটি প্রকাশ্যে আসে ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত এ গেজেটে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।