ছাত্রলীগ
জাসদের সৃষ্টিতে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন ও গবেষণা করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলছেন।
আস্থাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ
ডাকসু নির্বাচন শেষ না হতেই জাকসু নির্বাচন শুরু হয়ে শেষের দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু ভোট গণনা চলছে তিন দিন ধরে; কিন্তু নির্বাচন মানেই এখন আর স্বচ্ছতা কিংবা আস্থার জায়গা নয়, বরং গুজব, পাল্টা গুজব আর দলীয় রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা এক নাট্যমঞ্চ। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে- বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ভোট গণনার কাজ চলছে; কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে- সেটি নিয়েই প্রশ্নের শেষ নেই।
ডাকসু নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের পক্ষপাতিত্ব কেন?
ডাকসু নির্বাচন কেবল বহু প্রত্যাশিত শুধু নয়, এটার ভেতর দিয়ে মানুষের প্রত্যাশার পাশাপাশি আকাঙ্ক্ষাটা ছিল বিশাল। এতদিন নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করার হয়েছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যেক বছর ফি নেয়া হতো কিন্তু তার নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকত না। দীর্ঘ বছর পর ২০১৯ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো সত্তরের দশকে একবার নির্বাচন হয়েছে এরপর আর হয়নি। এরকম একটা অবস্থা থেকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শিক্ষার পরিবেশ এবং রাজনীতির ক্ষেত্রেও একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে যেতে পারব- এটিই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। একটা সুন্দর নির্বাচন সবাই চেয়েছিল।
গুপ্ত রাজনীতির অপচর্চা
বাংলার রাজনীতিতে যেন নতুন এক নাট্যমঞ্চের জন্ম হয়েছে। একসময় রাজনীতি মানেই ছিল প্রকাশ্য লড়াই- কে কত জোরে স্লোগান দিতে পারে, কে কত বড় মিছিল নামাতে পারে, কে কতটা উঁচু কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ কিংবা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে জনতাকে মাতিয়ে তুলতে পারে। তখন রাজনীতিকরা পরিচয় লুকাতেন না, বরং গর্ব করতেন- ‘আমি অমুক দলের কর্মী, আমি অমুক মতের অনুসারী।’ কিন্তু সময় বদলেছে। সেই সরল ঘোষণা আজ সেকেলে মনে হয়। রাজনীতির মঞ্চে এখন নতুন ঢেউ- প্রকাশ্যে যা নয়, আড়ালে সেটাই আসল; নাম তার গুপ্ত রাজনীতি।
পুরোনো পরিবহন সিন্ডিকেটের অন্যায্য দাবি আমলে নেয়া সমীচীন হবে না
জুলাই অভ্যুত্থানের সূতিকাগার ছিল ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। রাজধানীতে দুইজন স্কুল শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হলে এই আন্দোলন শুরু হয় রাজধানীজুড়ে। সে সময়ের জাবালে নূর পরিবহন (বর্তমানে পরিস্থান পরিবহন) কোম্পানির দুই বাস পাল্লা দেয়ার সময় বিমান বন্দর সড়কের স্টাফরোড এলাকার ফুটপাতে উঠে যায় একটি বাস। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন আর আহত হন আরও কয়েকজন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সে সময়ের মন্ত্রী এবং পরিবহন খাতের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা শাজাহান খানকে দুর্ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি হাসিমুখে জবাব দেন, ‘দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই’। দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু নিয়ে মন্ত্রী শাজাহান খানের তাচ্ছিল্যের কারণেই ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
বামপন্থিদের বিভাজন: আদর্শের সংঘাত ও নেতৃত্বের লোভ, না ক্ষমতার বাস্তবতা?
কিছুদিন আগের কথা- বামপন্থিরা জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ করে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’-এর ব্যানারে। কর্মসূচির মূল স্লোগান ছিল- ‘মা মাটি মোহনা, বিদেশিদের দেব না’। অতীতেও বামপন্থিরা জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এসব আলোচনা করতে বিশদ লেখা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এককভাবে আওয়ামী লীগের হাতে ছিল- এ কথা অনেকবার বলা হয়েছে। এটিকে আপনি চাইলে ‘আওয়ামী বয়ান’ বলতে পারেন; কিন্তু এটা ইতিহাসের একমাত্র সত্য নয়। প্রবাসী সরকার গঠিত হয়েছিল মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের দিয়ে, তবে সেই সরকারের পাশাপাশি ছিল একটি উপদেষ্টা কমিটিও, যার প্রধান ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। আরও ছিলেন কমরেড মণি সিংহ, মোজাফফর আহমেদ এবং কংগ্রেস নেতা মনোরঞ্জন ধর। একমাত্র মনোরঞ্জন ধর বাদে বাকি সবাই ছিলেন বামপন্থি। এ থেকেই স্পষ্ট হয়- বামপন্থিদের অবস্থানকে অবহেলা করা ইতিহাসের প্রতি অবিচার।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কি ভুল সময়ে মারা গেলেন?
জীবনের সোনালি সময় কেটেছে যে ক্যাম্পাসে, মৃত্যুর পরে সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। শুক্রবার জুমা নামাজের পরে রাজধানীর ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মশিউর গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস
মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জনাব শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতারা দলের আত্মপ্রকাশের দিন হিসেবে ইতিহাস থেকে ২৩ জুন তারিখটি বেছে নিয়েছিলেন। কারণ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : আইএসপিআর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।