দেশ ও রাজনীতি
কারাগারে কয়েদির সংখ্যা ও খরচ কমাতে পারে প্রযুক্তির ব্যবহার
‘ন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর সোশ্যাল জাস্টিস’ কিছুদিন আগে একটা ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। বিষয় ছিল- বিচার-বহির্ভূতভাবে কয়েদিদের আটক বা রিমান্ড প্রথা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছিল একজন নিউরোলজিস্ট এবং তার মেয়েকে রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
ট্রাম্প কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে?
শি জিনপিং, নরেন্দ্র মোদি এবং ভ্লাদিমির পুতিন- তিনজনই তাদের নিজ নিজ ভূরাজনৈতিক পরিসরে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র নেতাদের একজন। যখন এই তিন নেতা একই টেবিলে বসে বৈঠক করেন, তখন শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক কূটনীতিতেও তার প্রতিফলন ঘটে।
অসাংবিধানিক সরকার কখনোই গণতান্ত্রিক হতে পারে না
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথাটি বার বার নানাভাবে আসে। তা ছিল কঠিন দুঃসময়। আমরা প্রত্যেকেই ভীষণ বিপদে ছিলাম। প্রত্যেকটি দিন, প্রতিটি রাত এমনকি মুহূর্তও ছিল আতঙ্কের। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েই ভাবতাম, বড়জোর আপনজনদের বিষয়ে এর মধ্যেও আমরা ব্যস্ত ছিলাম। খবরের আদান-প্রদান করি, কোথায় কী ঘটছে জানতে চাই, রেডিও শুনি, মুক্তিযোদ্ধাদের কীভাবে সাহায্য করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করি আর যারা যুদ্ধে ছিলেন তাদের তো মরণপণ অবস্থা। আমাদের সবার জন্য কাজ ছিল। বিপদ আমাদের তাড়া করছিল; কিন্তু স্বপ্নও ছিল। সামনে একটি স্বপ্ন ছিল। সমষ্টিগত এবং মস্তবড় স্বপ্ন। আমরা আশা করতাম হানাদারদের তাড়িয়ে দেব, আমরা মুক্ত হব আর সেই লক্ষ্যে আমরা কাজও করতাম। যে যেভাবে পারি কাজ করতে চাইতাম।
বিএনপি কেন পিআরের বিরুদ্ধে?
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি হেরে যাবে আর জামায়াত ক্ষমতায় আসবে- এরকম ধারণা হয়তো অনেকের মনে আছে। সত্যি কি তা-ই এবং বিএনপি কি এ কারণেই পিআর পদ্ধতির বিরোধী?
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি খোলা চিঠি
মহাত্মন, যথাযথ সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি, সারাজীবন একজন আইন মান্যকারী সুনাগরিক হিসেবে নির্বিবাদে চলার চেষ্টা করেছি। জীবনের শুরুতে লেখাপড়ার দিকে তেমন আকৃষ্ট হতে পারিনি, পরিবেশও তেমন ছিল না। আমার দাদু আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কংগ্রেস এবং চল্লিশের দশকে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে মুসলিম লীগের হাল ধরে পাকিস্তান আন্দোলনে জড়িয়েছিলেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার দাদু আলাউদ্দিন সিদ্দিকী পাকিস্তানের স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি। পাকিস্তান হওয়ার আগেই তিনি পরপারে চলে যান। পাকিস্তানের জন্মের আগে আগে ’৪৭ এর ১৪ জুন আমার জন্ম। পাকিস্তানের জন্মের আগে জন্মেছিলাম বলে এক সময় আমার গর্ব হতো যে আমার জন্মের সঙ্গে পাকিস্তানের জন্ম। ছেলেবেলায় পাকিস্তান দিবসে কত আনন্দ করেছি, গ্রামের বাড়িতে, শহরের বাড়িতে মাটির প্রিদিম জ্বালিয়েছি। কখনো কখনো ছোট ছোট মোমবাতি জ্বালিয়ে বুকের মধ্যে স্বাধীনতার আলো জ্বালাতে ব্যর্থ চেষ্টা করেছি।
ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি
বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্র, রাজনীতি ও শিক্ষা- সব ক্ষেত্রেই অস্থিরতা, প্রভাব ও অদৃশ্য চাপ কাজ করছে। এর ভেতরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন নতুন করে সামনে এনেছে এক অনিবার্য প্রশ্ন- আমরা কি আদর্শ, শিক্ষা ও সৃজনশীলতার ভিত্তিতে এগোতে চাই, নাকি আবারও পুরোনো দলীয় আধিপত্যের চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকব?
বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!
২১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নিখোঁজের সংবাদ প্রথমে পাই লেখক লিনু হকের ফেসবুক পোস্ট থেকে, কিছুক্ষণ পর দেখলাম সারা ফেসবুকে তার নিখোঁজের সংবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাসমেট ও রাজনৈতিক আদর্শের সতীর্থ জীবন কৃষ্ণ সাহাকে ফোন করলাম; কিন্তু তিনি বিভুরঞ্জন সরকারের বাসা কোথায় তা বলতে পারলেন না। বুঝলাম, সমাজে বিভুরঞ্জন সরকারের প্রয়োজন অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে।
জাতীয় নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলের ফাঁদে যেন না পড়ে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। সেই নির্বাচন যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা পায় সেটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এ নিয়ে জনগণ বিগত সরকারের ওপর প্রচণ্ডরকম ক্ষুব্ধ ছিল। তাই তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
সীমান্ত শাসক হিসেবে মিয়ানমারের জাতিগত জোটের উত্থান
প্রায় দুই বছর আগে মিয়ানমার-চীন সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করেছিল থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স (৩বিএইচএ)। তারা এখন কেবল সামরিক শক্তি নয়, বরং এক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সরকার বলা যায় কি?
২o২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান। এটাকে অনেকে বিপ্লব বলার চেষ্টা করেন; কিন্তু এটাকে বিপ্লব বলার কোনো সুযোগ নেই, এটা একটা স্রেফ গণঅভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থানের শুরুটা হয়েছিল চাকরিক্ষেত্রে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন করতে গিয়ে সরকার জুলাই ম্যাসাকার সংঘটিত করে। ফলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটি প্রথমে ‘নয় দফা’ এবং পরবর্তীতে ‘এক দফা’র আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।