শিল্প
আর্থিক খাতে জালিয়াতি দমনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
“প্রতারণা হলো এক ধরনের অস্বাভাবিক, সুচিন্তিত, সূক্ষ্মভাবে আড়াল করা, সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল এবং প্রায়ই অত্যন্ত সুসংগঠিত অপরাধ, যা নানান রূপে প্রকাশ পায়।” – ভ্যান ভ্লাসেলেয়ার প্রমুখ
উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
প্রথমেই বলব, উদ্যোগটি ভালো। দেশে এখন মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। অতএব সেই উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কর ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা হ্যান্ডসেটের বাজার বন্ধ করার উদ্বেগকে প্রশংসার দৃষ্টিতেই দেখা উচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিটিআরসি কতবার এই উদ্যোগ নেবে, আর আমরা কতবার প্রশংসা করব এবং অতঃপর হতাশ হব?
ফ্যাবলেস বিপ্লব
একসময় সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবাদ খুব প্রচলিত ছিল: ‘রিয়েল ম্যান হেভ ফ্যাবস’ - অর্থাৎ, সত্যিকারের সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি তারাই, যাদের নিজস্ব ফ্যাব্রিকেশন (ফ্যাব) প্ল্যান্ট বা কারখানা আছে। কিন্তু ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে, এক নতুন প্রজন্মের হাত ধরে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। এই উদ্যোগীরা নিজেরা চিপ ডিজাইন করতেন, কিন্তু উৎপাদনের কাজটি আউট সোর্স করতেন, যার প্রধান অংশীদার ছিল টিএসএমসির মতো কোম্পানি। এই নতুন জন্ম নেয়া ব্যবসায়িক মডেলের নাম হলো ‘ফ্যাবলেস মডেল’।
ইন্টেলের ‘ইনোভেটর্স ডাইলেমা’
সময়টা ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস। সান ফ্রান্সিসকোর ম্যাকওয়ার্ল্ড কনফারেন্সের মঞ্চে যেন ইতিহাস রচিত হতে চলেছে। একে একে মঞ্চে উঠে এলেন অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস আর ইন্টেলের সিইও পল ওটেলিনি। জবস সেদিন ঘোষণা দিলেন, এখন থেকে সব ম্যাক কম্পিউটারই চলবে ইন্টেল প্রসেসরে। সিলিকন ভ্যালির ইতিহাসে এ ছিল এক বিরাট মোড়, কারণ এতদিন পর্যন্ত অ্যাপলই ছিল একমাত্র বড় কম্পিউটার কোম্পানি, যারা ইন্টেলের x86 চিপ ব্যবহার করত না। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পিসি জগতে ইন্টেলের আধিপত্য সেদিন চূড়ান্ত পূর্ণতা পেল।
বন্দর টার্মিনাল পরিচালনা কেন বিদেশিদের হাতে
কথা ছিল সংস্কার হবে। যে সংস্কারে দেশ, দেশের মানুষ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগ ইত্যাদি গুরুত্ব পাবে। যে সংস্কারে ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরশাসক জন্ম নেবার সুযোগ পাবে না। ক্ষমতায় ভারসাম্য আসবে। পুলিশ মানবিক হবে। আইন-বিচার-প্রশাসন জনবান্ধব হবে। সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
লিথোগ্রাফি নিয়ে ঐতিহাসিক লড়াই
সালটা ছিল ১৯৯২। একদিন ইন্টেলের প্রযুক্তি গবেষক জন ক্যারাদারস এক অদ্ভুত অনুরোধ নিয়ে হাজির হলেন কোম্পানির সিইও অ্যান্ডি গ্রোভের কাছে। তিনি এমন একটি প্রযুক্তির গবেষণার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার তহবিল চাইলেন, যা তখনো কাজ করবে কি না কেউ নিশ্চিত ছিল না। সেই প্রযুক্তির নাম এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট (EUV) লিথোগ্রাফি। এই লিথোগ্রাফি হলো সিলিকনের ওপর ইলেকট্রনিক সার্কিট বসানোর এক অতি সূক্ষ্ম নির্মাণ প্রক্রিয়া। তখন ইন্টেল ছিল বিশ্বের শীর্ষ চিপ নির্মাতা, আর গ্রোভের হাতে ছিল নগদ অর্থের বিশাল ভান্ডার। তবুও তিনি বেশ সন্দিহান ছিলেন। কারণ, EUV প্রযুক্তিতে ১৩ দশমিক ৫ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো ব্যবহার করা হতো, যা তখনকার প্রযুক্তির চেয়ে বহু গুণ অগ্রসর।
চীনের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের শুরু
১৯৮৭ সালে এশিয়ায় জন্ম নিল দুটি ভিন্ন স্বপ্ন। তাইওয়ানের মরিস চ্যাং লক্ষ্য নিলেন TSMC নামে একটি কোম্পানি গড়ার যা বিশ্বের সেরা চিপ তৈরি করবে। একই সময় চীনের শেনজেনে রেন ঝেংফেই শুরু করলেন হুয়াওয়ে, একটি ছোট্ট ব্যবসা যা হংকং থেকে সস্তা টেলিকম সরঞ্জাম কিনে চীনের বাজারে বিক্রি করত।
সেমিকন্ডাক্টরে তাইওয়ানের উত্থান এবং টিএসএমসির জন্ম
১৯৮৫ সালের এক দুপুরে তাইওয়ানের প্রভাবশালী মন্ত্রী কে টি লি তার অফিসে আমন্ত্রণ জানালেন মরিস চ্যাংকে। প্রায় দুই দশক আগে লি-ই টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টসকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাইওয়ানে প্রথম চিপ ফ্যাক্টরি খুলতে রাজি করিয়েছিলেন; কিন্তু এবার তিনি আরও বড় কিছু চাইছিলেন।
কম্পিউটার চিপ: উপসাগরীয় যুদ্ধের আসল নায়ক
১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি। ভোরবেলা সৌদি আরবের বিমানঘাঁটি থেকে মার্কিন এফ-১১৭ বোমারু বিমানগুলো নিঃশব্দে উড়াল দিল। তাদের সবার লক্ষ্য- বাগদাদ।
শত্রুর শত্রুই মিত্র: কোরিয়ার উত্থান
লি বিয়ং-চুল ছিলেন এক জন্মগত ব্যবসায়ী। তার হাতে যেন জাদু ছিল- তিনি যে ব্যবসায় হাত দিতেন তাতেই সফল হতেন। ১৯৩৮ সালে যখন চারদিকে যুদ্ধের দামামা বাজছে, কোরিয়া জাপানের শাসন থেকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে, তখন তিনি শুরু করলেন তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।