বার্তা সম্পাদক
থেকে
আজ (৩ ডিসেম্বর) বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে। এই দিনে এমন একজন মানুষের কথা তুলে ধরতে চাই, যিনি তার কাজের মাধ্যমে আমার মতো হাজারো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন।বাংলাদেশের মানুষ যখন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মতো গুরুতর সমস্যার সাথে লড়াই করে ক্লান্ত, এই বিষয়ে ঘোর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখন হাতে আলোকবর্তিকা নিয়ে হাজির হয়েছেন ভ্যালেরি অ্যান টেইলর।
‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’ এবং ‘আমি তোমার দুটি চোখের দুটি তারা হয়ে থাকব’... আশির দশকে যাদের জন্ম বা বেড়ে ওঠা এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে এসব গান তাদের হৃদয় মথিত করে গেছে। আজও মথিত করে, আকুল করে। কালজয়ী এসব গান ১৯৮৪ সালে নির্মিত বাংলা ছায়াছবি 'নয়নের আলো'র। আমাদের প্রজন্মের অনেকেই সেই সিনেমার কথা মনে করতে পারবে।
রাজশাহী নগরীর মাঝখান দিয়ে শহরের সবচেয়ে বড় যে নালাটা পদ্মা নদী পর্যন্ত গিয়েছে সেটা আসলে একটা নদী ‘বারাহী’। এই বরাহীই এখন শহরের সবচেয়ে বড় ড্রেন। অষ্টাদশ শতকে বৃটিশ ভূগোলবিদ রেনেলের নকশাতে দেখা যায়, উত্তর থেকে একটা নদী এসে রামপুর-বুয়ালিয়াতে বড়কুঠীর পূর্বে গিয়ে পদ্মায় মিলেছে। উনবিংশ শতকে এটাই বারাহী নামে পরিচিতি পায়। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত এই নদী রাজশাহী শহর থেকে বায়া পর্যন্ত মরা নদী আর নওহাটাতে নারাহী বলে পরিচিত ছিল। বোকের নকশাতে দেখা গেছে, এই বারাহী এক সময় আত্রায়ের মান্দার বিল হয়ে রামপুর-বুয়ালিয়ার উত্তরে তের-খাদিয়ার বিল দিয়ে প্রথমে মহানন্দা এবং তারপর পদ্মায় পতিত হতো। সেসময় এটি যথেষ্ট খরস্রোতা এবং চওড়া ছিল। আর আজকের বিশাল পদ্মা এ এলাকায় এতটা বিস্তৃত ছিল না। তাহলে, পদ্মা কিভাবে বিশাল রুপ ধারণ করল আর বরাহী কিভাবে নালায় পরিণত হলো? ভূমিকম্পের ফলে।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সামাজিক বাস্তবতা বুঝতে হলে আফসান চৌধুরীর মুখোমুখি বসে কিছু কথা না শুনলেই না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার গবেষণা থাকলেও, তিনি মুক্তিযুদ্ধকে কখনোই সেই রাষ্ট্রীয় গবেষকের চোখ দিয়ে দেখেননি। মুক্তিযুদ্ধকে তিনি দেখেছেন একজন সামাজিক মানুষের চোখ দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ তার কাছে একটি জনযুদ্ধ, যেখানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ ইতিহাসের চেয়ে মানুষের টুকরো গল্পেই বরং উঠে এসেছে যুদ্ধকালীন বাস্তবতা।
আজ সারা দিন মর্গে মর্গে ঘুরে তারপর ফিরলাম বাসায়। এই পুরো সময়টায় একবারের জন্যও কোনো সন্তানহারা মা-বাবার দিকে মোবাইল তাক করে একটা প্রশ্ন করারও সাহস হয়নি।
নারীর সম-অধিকার স্থাপনের ব্যাপারে আমার সবচেয়ে বড় মতামত, অধিকার ভোগ করতে হলে কর্তব্য পালন করতে হয়। এটাই নিয়ম। সামাজিক ভাবে নারীর অবস্থান বা নারীর প্রতি পরিবারের মনোভাব সম এবং সম্মানজনক না হলে নারীর মধ্যে কর্তব্য পালনের স্পৃহা জেগে উঠবে না। পারিবারিকভাবে নারীকে সমান হিসেবে গণ্য না করলে নারীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠবে না। নারীর জন্য প্রথমে সবচেয়ে জরুরি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়ার সক্ষমতা ও সাহস অর্জন করা। সেটি না থাকলে, সম্পত্তিতে সম-অধিকার কেবল তার জন্য পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।