Views Bangladesh Logo
author image

আবু নাজম ম তানভীর হোসেন

  • পাবলিক পলিসি অ্যাডভোকেট

  • থেকে

আবু নাজম ম তানভীর হোসেন: পাবলিক পলিসি অ্যাডভোকেট
ডেটা সুরক্ষার নামে ডিজিটাল বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি?
ডেটা সুরক্ষার নামে ডিজিটাল বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি?

ডেটা সুরক্ষার নামে ডিজিটাল বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি?

গত ৬ নভেম্বর সরকার দুটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে, যা দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেটা ব্যবস্থাপনা, গোপনীয়তা এবং ডেটা বিনিময় কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনবে। এগুলো হলো Personal Data Protection Ordinance (PDPO) এবং National Data Governance Ordinance (NDGO)।

টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ খসড়া ২০২৫ এর বিশ্লেষণ
টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ খসড়া ২০২৫ এর বিশ্লেষণ

টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ খসড়া ২০২৫ এর বিশ্লেষণ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া জনমতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে এ খসড়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, এমন একটি 'আধুনিক' টেলিকম ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আইন যা ডিজিটাল যুগের বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দেয়। রেডিও স্পেকট্রাম এবং সাবমেরিন ক্যাবল থেকে শুরু করে OTT, AI এবং IoT পর্যন্ত সবকিছুই আইনের ধারায়, উপ ধারায় বিস্তৃত আছে। কিন্তু একটু গভীরভাবে পর্য়বেক্ষণ করলে এই অধ্যাদেশ ঘিরে তিনটি বড় প্রশ্ন সামনে আসে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকৃতপক্ষে কতটা স্বাধীন হবে, মন্ত্রণালয় বাস্তবিকভাবে কতটা তত্ত্বাবধান করতে পারবে, এবং লাইসেন্সিং ঠিক কোথায় শেষ হবে এবং নজরদারির নতুন অধ্যায় শুরু হবে ?

তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা
তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা

তদারকি না করে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানই আসল সমস্যা

২০২৫ সালে প্রায় ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অধিক-লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক খাতের দেশ। বর্তমানে দেশে রয়েছে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক, ৩৮টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ৭৫০টিরও বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, এর পাশাপাশি ১৩টি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ৯টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ১২টি পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর। এসব প্রতিষ্ঠান চারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে পরিচালিত- বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবুও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আশানুরূপ হয়নি। নগরাঞ্চলের একটি বড় অংশসহ জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে।

খসড়া প্রস্তাব ভালো, তবে কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে হবে
খসড়া প্রস্তাব ভালো, তবে কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে হবে

খসড়া প্রস্তাব ভালো, তবে কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে হবে

বর্তমান সময় কিংবা আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী টেলিযোগাযোগ কাঠামো নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আইএলডিটিএস পলিসি সংশোধনে বিটিআরসির উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রায় দুই দশক ধরে চলমান পুরোনো লাইসেন্সিং ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংস্কার এক অর্থে অনিবার্য। বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে অর্থপূর্ণ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে একটি ভিত্তি তৈরির জন্য এই সংশোধনের উদ্যোগ পরিচালিত হবে, এটাই কাম্য। প্রথমেই খসড়াটির ইতিবাচক প্রস্তাবের দিকে চোখ রাখি। খসড়াটিতে অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদানকারীদের গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া বা ক্ষেত্রে কিছু শর্ত ও সীমাবদ্ধতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রাখাইনের সার্বভৌমত্বের পথ এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব
রাখাইনের সার্বভৌমত্বের পথ এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব

রাখাইনের সার্বভৌমত্বের পথ এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব

দিন যত যাচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি (এএ) ততই প্রবল শক্তিতে আবির্ভূত হচ্ছে। আরাকান আর্মি ধীরে ধীরে রাখাইন রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তারা রাখাইনে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আরাকান আর্মি যদি সত্যিই একটি সার্বভৌম সত্ত্বা হিসেবে আবির্ভূত হয়, তাহলে এই অঞ্চলের ভূরাজনীতিও অনেক বদলে যাবে। আর তার ফলে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও এর বড় প্রভাব পড়বে। এই ভূরাজনীতি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকেও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে রয়েছে রাখাইনের কৌশলগত অবস্থান, যা মিয়ানমারের সামুদ্রিক প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে এটা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

দেশে ডাটা সংযোগ এবং গুণমান বাড়াতে যেসব নীতিকাঠামো প্রয়োজন
দেশে ডাটা সংযোগ এবং গুণমান বাড়াতে যেসব নীতিকাঠামো প্রয়োজন

দেশে ডাটা সংযোগ এবং গুণমান বাড়াতে যেসব নীতিকাঠামো প্রয়োজন

১৭০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে নিয়ে মোবাইল যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে দেশ। তারপরও গুণমান এবং প্রবেশাধিকারে ডাটা পরিষেবায় অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।