শেখ হাসিনা
ব্যর্থতার দায় নিয়ে দেশের রাজনৈতিক নেতারা কেন স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করে না?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক অদ্ভুত রীতি গড়ে উঠেছে- দেশের যে কোনো ব্যর্থতা, দুর্নীতি বা অন্যায়ের দায় যেন সবসময় এক দলের ঘাড়েই পড়ে। যেন এ দেশের অন্য কারও কোনো পাপ নেই, কোনো অপরাধ নেই, কোনো দায় নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ‘অপমানিত’ রাষ্ট্রপতির চিঠি এবং কিছু সাংবিধানিক প্রশ্ন
বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানো নিয়ে যখন তোলপাড় শুরু হলো তখন অনেকের মনেই এই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতিকে কি সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বা তিনি নিজেই কি চলে যাচ্ছেন?
সাকিব কি দেশের হয়ে খেলার অধিকার রাখেন
আমাদের দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান কি আবারও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন? তিনি কি এখনো তার প্রিয় মাতৃভূমির হয়ে খেলার অধিকার রাখেন? দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আজ সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন এটাই অথচ কোনো স্পষ্ট উত্তর আমাদের হাতে নেই।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুপক্ষের সঙ্গেই জামায়াতের হানিমুন পিরিয়ড গেছে
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন ও গবেষণা করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক, যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলেছেন।
যারাই ক্ষমতায় যায় তারা মন থেকে গণতন্ত্র চায় না
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন ও গবেষণা করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক, যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলেছেন।
খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা এরশাদবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছেন
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ ও গবেষণা করেছেন- তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক, যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলেছেন।
আস্থাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ
ডাকসু নির্বাচন শেষ না হতেই জাকসু নির্বাচন শুরু হয়ে শেষের দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু ভোট গণনা চলছে তিন দিন ধরে; কিন্তু নির্বাচন মানেই এখন আর স্বচ্ছতা কিংবা আস্থার জায়গা নয়, বরং গুজব, পাল্টা গুজব আর দলীয় রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা এক নাট্যমঞ্চ। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে- বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ভোট গণনার কাজ চলছে; কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে- সেটি নিয়েই প্রশ্নের শেষ নেই।
নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে কেন বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে?
হিমালয়ের পাদদেশের দেশ নেপাল। আয়তনে বাংলাদেশের সমান, লোকসংখ্যা তিন কোটির কিছু বেশি। ছোট দেশ বলা হলেও একে ছোট দেশ বলা যায় না। তবুও ছোট দেশ বলা হয় অর্থনীতির আকারের কারণে। মূলত কৃষি, রেমিট্যান্স এবং পর্যটননির্ভর অর্থনীতি। তবে নেপালের ভূরাজনৈতিক অবস্থান একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভীষণ স্পর্শকাতর। নেপালের দুই পাশে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ ও বড় সামরিক শক্তির দেশ চীন এবং ভারত। নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা বরাবরই অম্ল-মধুর। নেপালে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গেও নেপালের সম্পর্কও ওঠানামা করেছে।
ডাকসু নির্বাচন: গণতন্ত্রের পথে আশা, বাধা ও সম্ভাবনা
গণতন্ত্রের অনুশীলনকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হয়, তবে তার সূচনা হওয়া উচিত শিক্ষাঙ্গন থেকে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়, সেখানে ছাত্রসংগঠনের স্বাধীন নির্বাচন গণতান্ত্রিক চর্চার প্রথম পরীক্ষাগার। এবারের ডাকসু নির্বাচন অনেকেই মনে করেছিলেন একটি নতুন সূচনা হতে পারবে; কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখানেও বাধা এসেছে।
রাজনীতিতে শিষ্টাচারবহির্ভূত স্লোগান কেন?
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিক স্লোগানে দু-একটা অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার হয় সবসময়ই। যেমন, ‘অমুকের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’। বেশ পরিচিত স্লোগান; কিন্তু এখন, বাংলাদেশে এমন কিছু অশ্লীল রাজনৈতিক স্লোগান শুরু হয়েছে যা খুবই অরুচিকর-অশ্লীল। ভদ্রলোকরা সেগুলো শুনে কানে আঙুল দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক অনেক ওটিটি-ফিল্মে দেখা যায় গালাগালির সময় ‘টুট টুট’ একটা শব্দ দিয়ে অশ্লীল শব্দগুলো মিউট করে দেয়া হয়। ‘টুট টুট’ শব্দ শুনলেই দর্শক বুঝতে পারছেন অশ্লীল গালাগালি হচ্ছে। সম্প্রতি টেলিভিশনের খবরেও দেখা গেল রাজনৈতিক স্লোগানের জায়গায় ‘টুট টুট’ ব্যবহার করতে। এমন কিছু অশ্লীল স্লোগান এখন ব্যবহার হচ্ছে যা শোনাও যায় না, লেখাও যায় না।