Views Bangladesh Logo

শেখ হাসিনা

রাজনীতিতে শিষ্টাচারবহির্ভূত স্লোগান কেন?
রাজনীতিতে শিষ্টাচারবহির্ভূত স্লোগান কেন?

সম্পাদকীয় মতামত

রাজনীতিতে শিষ্টাচারবহির্ভূত স্লোগান কেন?

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিক স্লোগানে দু-একটা অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার হয় সবসময়ই। যেমন, ‘অমুকের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’। বেশ পরিচিত স্লোগান; কিন্তু এখন, বাংলাদেশে এমন কিছু অশ্লীল রাজনৈতিক স্লোগান শুরু হয়েছে যা খুবই অরুচিকর-অশ্লীল। ভদ্রলোকরা সেগুলো শুনে কানে আঙুল দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক অনেক ওটিটি-ফিল্মে দেখা যায় গালাগালির সময় ‘টুট টুট’ একটা শব্দ দিয়ে অশ্লীল শব্দগুলো মিউট করে দেয়া হয়। ‘টুট টুট’ শব্দ শুনলেই দর্শক বুঝতে পারছেন অশ্লীল গালাগালি হচ্ছে। সম্প্রতি টেলিভিশনের খবরেও দেখা গেল রাজনৈতিক স্লোগানের জায়গায় ‘টুট টুট’ ব্যবহার করতে। এমন কিছু অশ্লীল স্লোগান এখন ব্যবহার হচ্ছে যা শোনাও যায় না, লেখাও যায় না।

বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!
বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!

দেশ ও রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!

২১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নিখোঁজের সংবাদ প্রথমে পাই লেখক লিনু হকের ফেসবুক পোস্ট থেকে, কিছুক্ষণ পর দেখলাম সারা ফেসবুকে তার নিখোঁজের সংবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাসমেট ও রাজনৈতিক আদর্শের সতীর্থ জীবন কৃষ্ণ সাহাকে ফোন করলাম; কিন্তু তিনি বিভুরঞ্জন সরকারের বাসা কোথায় তা বলতে পারলেন না। বুঝলাম, সমাজে বিভুরঞ্জন সরকারের প্রয়োজন অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে।

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু এবং একটি দালিলিক এপিটাফ
বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু এবং একটি দালিলিক এপিটাফ

দেশ ও রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু এবং একটি দালিলিক এপিটাফ

সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভুরঞ্জন সরকার বাংলাদেশের সৎ সাংবাদিকদের জন্য একটি বেদনার বার্তা রেখে গেছেন, যেটাকে বলা যেতে পারে তার নিজের লিখে যাওয়া এপিটাফ। যে এফিটাফ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে পেশাদার সাংবাদিকতার দৈন্যদশার নিদারুণ দলিল।

পুরোনো পরিবহন সিন্ডিকেটের অন্যায্য দাবি আমলে নেয়া সমীচীন হবে না
পুরোনো পরিবহন সিন্ডিকেটের অন্যায্য দাবি আমলে নেয়া সমীচীন হবে না

সম্পাদকীয় মতামত

পুরোনো পরিবহন সিন্ডিকেটের অন্যায্য দাবি আমলে নেয়া সমীচীন হবে না

জুলাই অভ্যুত্থানের সূতিকাগার ছিল ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। রাজধানীতে দুইজন স্কুল শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হলে এই আন্দোলন শুরু হয় রাজধানীজুড়ে। সে সময়ের জাবালে নূর পরিবহন (বর্তমানে পরিস্থান পরিবহন) কোম্পানির দুই বাস পাল্লা দেয়ার সময় বিমান বন্দর সড়কের স্টাফরোড এলাকার ফুটপাতে উঠে যায় একটি বাস। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন আর আহত হন আরও কয়েকজন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সে সময়ের মন্ত্রী এবং পরিবহন খাতের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা শাজাহান খানকে দুর্ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি হাসিমুখে জবাব দেন, ‘দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই’। দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু নিয়ে মন্ত্রী শাজাহান খানের তাচ্ছিল্যের কারণেই ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

হত্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস এখন সাংবাদিক নিপীড়নের নয়া হাতিয়ার
হত্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস এখন সাংবাদিক নিপীড়নের নয়া হাতিয়ার

দেশ ও রাজনীতি

হত্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস এখন সাংবাদিক নিপীড়নের নয়া হাতিয়ার

নজরদারি নিয়ে লেখা বিশ্বখ্যাত ডিস্টোপিয়ান বা কাল্পনিক অবিচার ও কর্তৃত্ববাদ নিয়ে লেখা উপন্যাস ১৯৮৪ এর লেখক জর্জ ওরওয়েল সাংবাদিকতা নিয়েও কালোত্তীর্ণ অনেক মত প্রকাশ করেছেন। সেগুলোর একটি হলো ‘সাংবাদিকতা হলো এমন কিছু প্রকাশ করা, যা অন্য কেউ প্রকাশ করতে চাইবে না। আর বাকি সব কিছু জনসংযোগ।’ আসলেই তাই, সাংবাদিকের কাজই চেপে

সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন
সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন

দেশ ও রাজনীতি

সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন

‘সংস্কার সংস্কার সংস্কার’- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এভাবে তিনবার উচ্চারণ করে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তিনি সবাইকে সংস্কার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে আহ্বান জানিয়েছেন, সংস্কার নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা-পর্যালাচনা করতে তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন। সংস্কারের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে তিনি চটজলদি অনেক সংস্কার কমিশনও গঠন করে দিয়েছিলেন। কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে, কয়েকটি কমিশনের সুপারিশের ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতও নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এই মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’, যাতে থাকবে রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর; কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড অবাস্তব ও বাস্তবায়ন অযোগ্য স্বপ্ন। বাম আর ডানের আদর্শের পার্থক্য উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরুর দূরত্বের সমান। তাই ‘জুলাই চার্টার’ দিয়ে যে সংস্কার হবে তা হবে খুবই সীমিত, তা দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের উদ্ভব ঠেকানো যাবে না।

গোপালগঞ্জে গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন?
গোপালগঞ্জে গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন?

দেশ ও রাজনীতি

গোপালগঞ্জে গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন?

বাংলাদেশের ৬৩টি জেলাও যদি আওয়ামী লীগশূন্য হয়ে যায়, তারপরও বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান এবং তার সমাধি যেখানে, সেই গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ থাকবে এবং বেশ শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে- এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। যে কারণে গোপালগঞ্জকে বলা হয় ‘আওয়ামী লীগের দুর্গ’। সেই দুর্গ বা ঘাঁটিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হলো, সেটি বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনায় কার কতটুকু লাভ-ক্ষতি হলো, সেই অঙ্কও অনেকে কষছেন। তবে রাজনৈতিকভাবে যারাই লাভবান হোন না কেন, যারা নিহত হলেন তাদের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুপরিজনের চেয়ে বেশি ক্ষতি আর কারও হয়নি। আর যারা নিহত হলেন তারা এখন জাগতিক জীবনের সব লাভ-ক্ষতির ঊর্ধ্বে।

সব সংকট মোকাবিলা করে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে
সব সংকট মোকাবিলা করে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে

দেশ ও রাজনীতি

সব সংকট মোকাবিলা করে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের যখন ৯ মাস পূর্ণ হচ্ছে, তখন মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ। কারণ দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা হতাশ করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল। দলমত নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে; সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছিল একনায়কতান্ত্রিক শাসনের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৩ দিনের মাথায় গঠিত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও দিয়েছিল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি; কিন্তু মানুষের জীবন চলার ক্ষেত্রে বড় দুটি সমস্যা দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে খোদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

দেশ ও রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কারের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ঠুনকো সংস্কার না, লোক দেখানো সংস্কার না, একদম ফান্ডামেন্টাল সংস্কার। এটা এমনভাবে করব আর কেউ পাল্টাতে পারবে না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আমার একটাই কথা- সংস্কার। সংস্কারে কী কী বিষয় হবে, সেটা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেন; কিন্তু সংস্কার না করে যেন নির্বাচন না করি।… এই সুযোগ হারাবেন না।’ তিনি চমৎকার বলেন; কিন্তু তা তিনি বাস্তব অবস্থা বিচার করে বলেন না। তিনি স্বপ্ন দেখেন; কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে হতাশ হন। কেউ যাতে সংস্কার পাল্টাতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি নেবেন- এই কথাটি বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগের কথা।

অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি
অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি

দেশ ও রাজনীতি

অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি

যদি একটি জাতির খারাপ হতে ৫৪ বছর লাগে তাহলে এক বছরে কীভাবে ভালো হওয়া সম্ভব? যদি বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, সুশিক্ষিত, ন্যায়পরায়ণ এবং সৃজনশীল হতে চায় তবে সেটা কি মাত্র এক বছরের মধ্যে সম্ভব? প্রকৃত সত্য হলো- ৫৪ বছরের দুর্নীতির আগুন এক বছরে নিভিয়ে ভালো কিছু করা যায় না।

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ