নোয়াখালী
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কবল থেকে উদ্বাস্তু জনপদ মুক্ত করুন
উদ্বাস্তু মানুষের স্থান পৃথিবীর কোথাও নেই এমনকি তার স্বদেশেও। নদী ভাঙনে, ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় পরিবারগুলো যখন অন্য কোনো জায়গায় বসতি স্থাপন করে সেখান থেকেও তাদের উচ্ছেদ করা হয় রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার বাস্তুচ্যুত মানুষের অন্যতম বৃহৎ আশ্রয়স্থল বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা প্রাচীন সন্দ্বীপের প্রান্তিক ইউনিয়ন উড়িরচর; কিন্তু এখন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কবলে তাদের সেই জনপদ থেকেও উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে
প্রবাসী শ্রমিকদের সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিন
একদিকে দেশে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা-অনিশ্চয়তা যার কারণে দেশ ছেড়ে বহু মানুষ এখন একটু নিশ্চিত জীবনের খোঁজে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অন্যদিকে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের। গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে ইতালি, অস্ট্রিয়া, গ্রিস ও সাইপ্রাস থেকে ৫২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার চার্টার্ড ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম দফায় ৩২ জন ফেরত আসার কথা। ফেরত আসা সবাই পুরুষ। বাকি ২০ জন কবে ফিরবেন তা এখনো জানা যায়নি।
ভুল কৃষিতে সুপেয় পানি নষ্ট করা যাবে না
সব মাটি যে সব ফসলের জন্য উপযুক্ত নয় তা বাংলার কৃষকরা হাজার বছর ধরেই জানেন। তারপরও ভুল কৃষিতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সুপেয় পানি নষ্ট করা হচ্ছে, যার কারণে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে আশপাশের জনপদে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ধান চাষে ভূগর্ভের পানি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে বাড়িঘরের গভীর নলকূপে এখন আর পানি ওঠে না। পুকুর-জলাশয়েও পানি থাকছে না। সুপেয় পানি কিনে খেতে হচ্ছে অনেককে। এতে গৃহস্থালির কাজে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সুবর্ণচরের লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।
বাংলা ভাষার প্রকৃত সমস্যা, ভাষাটির সর্বস্তরে প্রয়োগ নেই
বাংলাদেশের লেখ্য, দৃশ্য ও শ্রাব্য গণমাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে, বাংলা ভাষা বাংলাদেশের নদীগুলোর মতোই দূষিত হয়ে উঠেছে। এই দূষণ নাকি হচ্ছে প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে: ১. ইংরেজি বা আঞ্চলিক ঢঙে প্রমিত বাংলা উচ্চারণে, ২. কথা বলার সময় বাংলা শব্দের পরিবর্তে ইংরেজি-হিন্দি-আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহারে এবং ৩. বানান বিকৃতিতে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের দিকে। বাস্তবতা হচ্ছে, গণমাধ্যমে তথাকথিত শুদ্ধ উচ্চারণে প্রমিত বাংলা বলা হলেও ইংরেজি ঢঙে বাংলা বলা বা বাংলায় ইংরেজি শব্দমিশ্রণ বন্ধ হবে না। এফএম রেডিও শুনে মানুষ ভাষা শেখে না, খদ্দের-শ্রোতা যে ভাষায় কথা বলে এফএম রেডিও সেই ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় মুনাফার স্বার্থে।
আলু সিন্ডিকেট দূর করুন
আলু আমাদের জীবনে অত্যন্ত দরকারি একটি সবজি। এমন কোনো তরকারি নেই, যার সঙ্গে আলু মিশে যায় না। ভাতের পরেই সম্ভবত আলুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে ভাতে-আলুতে বাঙালি। কারণ, অনেক বাঙালিই এখন আর নিয়মিত মাছ খেতে পারে না; কিন্তু আলু ছাড়া এক দিনও চলা কঠিন। আর কোনো তরকারি ঘরে না থাকলে অনেক পরিবার আলুভর্তা বানিয়েই ভাত খেয়ে ফেলে। সেই আলুও এখন অনেকের কাছে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রায় চিকন চালের দামের সমান, মোটা চালের চেয়ে বেশি। এই অবস্থায় নিম্নআয়ের মানুষের আলুও খেতেও হিসাব করতে হয়।
স্মার্ট ডাক সেবার আওতায় ভাসানচর
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোববার (১৭ মার্চ) ভাসানচর সাব পোস্ট অফিস উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে ১৩ হাজার একরের ভূখন্ডটি ডাক সেবার আওতাভুক্ত হলো।