Views Bangladesh Logo

খালেদা জিয়া

দুর্নীতির অর্থ ফেরত কেন আসছে না?
দুর্নীতির অর্থ ফেরত কেন আসছে না?

দেশ ও রাজনীতি

দুর্নীতির অর্থ ফেরত কেন আসছে না?

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ শাসনামলের দুর্নীতির ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। শ্বেতপত্র বলছে, বিগত ১৫ বছরে ২৮ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই শ্বেতপত্র তৈরি করেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে। অনুমাননির্ভর তথ্য আর গোঁজামিলে ভর্তি এই মূল্যবান শ্বেতপত্র। করিৎকর্মা পণ্ডিতরা তিন মাসে ৪০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রে দুর্নীতির ইতিবৃত্ত বর্ণনা করলেন; কিন্তু শ্বেতপত্রের বয়স ছয় মাস পার হয়ে গেলেও সরকার একজন চোরও ধরতে পারল না। আওয়ামী লীগ সরকার শ্বেতপত্র ছাড়াই চোর ধরা শুরু করেছিল, আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতিউর রহমানের দুর্নীতির খতিয়ান মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারও করেছে। শুধু বেনজীর আর মতিউর এই দুজনই কি ২৩৪ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে? যদি তাই না হয়, চোর তো আরও আছে।

মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কেন এমন অপরাজনীতি
মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কেন এমন অপরাজনীতি

সম্পাদকীয় মতামত

মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কেন এমন অপরাজনীতি

গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় যখন একের পর এক কোমলমতি শিশুদের মৃতদেহ ও দগ্ধ আহতদেহ বেরিয়ে আসছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত ছিল তাদের উদ্ধার তৎপরতায়, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত শিশুদের নিয়ে ছুটছিল হাসপাতালে হাসপাতালে, ডাক্তার-নার্সরা ছোটাছুটি করছিল এসব যন্ত্রণাকাতর শিশুদের কত দ্রুত সেবা দেয়া যায় তখনই আমরা দেখলাম দেশের কতিপয় রাজনীতিবিদ হাসপাতালে গিয়ে ভিড় করেছেন। তাদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের চারপাশে ভিড় আরও বেড়ে যায়। আহতদের নিয়ে যাতায়াত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকের প্রশ্ন, এ সময় রাজনীতিবিদরা হাসপাতালে কী চান? তারা কি প্রচারণার জন্য এসেছেন? জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন
সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন

দেশ ও রাজনীতি

সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন

‘সংস্কার সংস্কার সংস্কার’- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এভাবে তিনবার উচ্চারণ করে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তিনি সবাইকে সংস্কার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে আহ্বান জানিয়েছেন, সংস্কার নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা-পর্যালাচনা করতে তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন। সংস্কারের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে তিনি চটজলদি অনেক সংস্কার কমিশনও গঠন করে দিয়েছিলেন। কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে, কয়েকটি কমিশনের সুপারিশের ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতও নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এই মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’, যাতে থাকবে রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর; কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড অবাস্তব ও বাস্তবায়ন অযোগ্য স্বপ্ন। বাম আর ডানের আদর্শের পার্থক্য উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরুর দূরত্বের সমান। তাই ‘জুলাই চার্টার’ দিয়ে যে সংস্কার হবে তা হবে খুবই সীমিত, তা দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের উদ্ভব ঠেকানো যাবে না।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে
তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে

দেশ ও রাজনীতি

তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তারেক রহমান। দেশে ফিরতে মানা, কথা বলতে মানা, কথা প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এগিয়েছেন। তার দৃঢ়তায় নির্যাতকদের পরাস্ত হতে হয়েছে নিদারুণভাবে। চব্বিশের বিপ্লব-পরবর্তী স্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপট তৈরি করতেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। একজন নির্যাতিত হিসেবে প্রতিহিংসাপরায়ণ ও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার শঙ্কা করেছেন অনেকে, বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র।সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন শান্ত থাকার। বিগত সরকারের অবিরাম অপপ্রচার, পতিত প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েক মন্ত্রীর নিয়মিত গালমন্দ, ভেংচি, খিঁচুনির জবাব কখনো মন্দ কথায় দেননি তারেক রহমান। তার কাজ তিনি করে গেছেন নীরবে-নিভৃতে, যা ক্রমে তাকে আরও শক্তিশালী করেছে। খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তোলার শক্তি দেখিয়েছে। দলের তৃণমূলের কাছে হয়ে উঠেছেন ছায়াসঙ্গী।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

দেশ ও রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কারের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ঠুনকো সংস্কার না, লোক দেখানো সংস্কার না, একদম ফান্ডামেন্টাল সংস্কার। এটা এমনভাবে করব আর কেউ পাল্টাতে পারবে না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আমার একটাই কথা- সংস্কার। সংস্কারে কী কী বিষয় হবে, সেটা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেন; কিন্তু সংস্কার না করে যেন নির্বাচন না করি।… এই সুযোগ হারাবেন না।’ তিনি চমৎকার বলেন; কিন্তু তা তিনি বাস্তব অবস্থা বিচার করে বলেন না। তিনি স্বপ্ন দেখেন; কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে হতাশ হন। কেউ যাতে সংস্কার পাল্টাতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি নেবেন- এই কথাটি বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগের কথা।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি

দেশ ও রাজনীতি

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনও করেছে। অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অতি সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে অটোমেটিকেলি ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যে সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা হয়, সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিল, তার ওপর একটি রিভিউ পিটিশন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা যাবে না। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান ছিল না, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৯১ সালে তা আবার সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও গণভোটের বিধানের পুনরুজ্জীবন হলো।

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

দেশ ও রাজনীতি

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ছিল। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করে জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নিমিত্তে ৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের ওপর সমধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মতে সংস্কার ভাবনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দেশের জনগোষ্ঠীর প্রত্যেক নাগরিককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে জনগণকে এগিয়ে আসতেও আহ্বান জানিয়েছেন।

শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!
শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!

দেশ ও রাজনীতি

শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। কমিটিগুলো ইতোমধ্যেই তাদের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। অতীতে বেশ কয়েকটি কমিশন শিক্ষা খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন দাখিল করলেও কোনো সরকারই সেই শিক্ষা কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করেনি। ফলে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। আমরা উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তুলছি; কিন্তু তারা কতটা সুশিক্ষিত এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না হলে কোনো দিনই জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যে জনশক্তি গড়ে তুলছে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে মোটেও সক্ষম নয়।

চিকিৎসা শুরু খালেদা জিয়ার
চিকিৎসা শুরু খালেদা জিয়ার

জাতীয়

চিকিৎসা শুরু খালেদা জিয়ার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

খালেদা জিয়াকে মৌসুমি ফল পাঠিয়েছে জামায়াত
খালেদা জিয়াকে মৌসুমি ফল পাঠিয়েছে জামায়াত

জাতীয়

খালেদা জিয়াকে মৌসুমি ফল পাঠিয়েছে জামায়াত

সোমবার (২৭ মে) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আম, লিচুসহ মৌসুমি ফল উপহার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

ট্রেন্ডিং ভিউজ