জুলাই গণহত্যা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অননুমোদিত ইশতেহার
ইশতেহার যদি মানুষের নীতিগত অবস্থানকে প্রকাশ করে, কীভাবে একটি সমস্যার সমাধান করবে তার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দেয় কিংবা কীভাবে এগিয়ে যাবে তার একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে যা জনগণের অথবা সে সময়ের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেয় তবে আবু সাঈদের (২০০১-১৬ জুলাই ২০২৪) কথাগুলোর মধ্যে কী ইশতেহারের প্রাণ ভোমরা নেই? দেখি কি লিখেছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শামসুজ্জোহাকে (১৯৩৪-১৯৬৯) উদ্দেশ্য করে বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদ স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার! আপনার সমসাময়িক সময়ে যারা ছিল, সবাই তো মরে গেছে; কিন্তু আপনি মরেও অমর। আপনার সমাধি, আমাদের প্রেরণা। আপনার চেতনায় আমরা উদ্ভাসিত।
শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। কমিটিগুলো ইতোমধ্যেই তাদের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। অতীতে বেশ কয়েকটি কমিশন শিক্ষা খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন দাখিল করলেও কোনো সরকারই সেই শিক্ষা কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করেনি। ফলে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। আমরা উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তুলছি; কিন্তু তারা কতটা সুশিক্ষিত এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না হলে কোনো দিনই জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যে জনশক্তি গড়ে তুলছে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে মোটেও সক্ষম নয়।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার কি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সম্ভব?
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বুধবার (১৪ আগস্ট) বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জুলাই গণহত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে বিচার করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ‘গণহত্যার’ ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ যাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার করার উদ্যোগ নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।