ডাকসু নির্বাচন
সুইং ভোট কোন দলের বাক্সে যাবে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির এই প্রথম প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পেল, সুযোগ পেয়েই শিবির নির্বাচনে সকল ছাত্র সংগঠনকে ধরাশায়ী করে ফেলেছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রদল। অবশ্য ছাত্রদলকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলা ঠিক হয়নি, তারা নিশ্চিত ছিল জিতবে, যেমন আশা করেছিল আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
আস্থাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ
ডাকসু নির্বাচন শেষ না হতেই জাকসু নির্বাচন শুরু হয়ে শেষের দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু ভোট গণনা চলছে তিন দিন ধরে; কিন্তু নির্বাচন মানেই এখন আর স্বচ্ছতা কিংবা আস্থার জায়গা নয়, বরং গুজব, পাল্টা গুজব আর দলীয় রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা এক নাট্যমঞ্চ। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে- বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ভোট গণনার কাজ চলছে; কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে- সেটি নিয়েই প্রশ্নের শেষ নেই।
‘ডাকসু’ ও ‘জাকসু’ নির্বাচনে কী সংস্কার হলো?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের এক দিন পরে দেশের আরেক প্রাচীন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে তারা ভোট বর্জনের কথা জানায়। তাদের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল এটি সাজানো নির্বাচন হবে।’
ডাকসু নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের পক্ষপাতিত্ব কেন?
ডাকসু নির্বাচন কেবল বহু প্রত্যাশিত শুধু নয়, এটার ভেতর দিয়ে মানুষের প্রত্যাশার পাশাপাশি আকাঙ্ক্ষাটা ছিল বিশাল। এতদিন নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করার হয়েছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যেক বছর ফি নেয়া হতো কিন্তু তার নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকত না। দীর্ঘ বছর পর ২০১৯ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো সত্তরের দশকে একবার নির্বাচন হয়েছে এরপর আর হয়নি। এরকম একটা অবস্থা থেকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শিক্ষার পরিবেশ এবং রাজনীতির ক্ষেত্রেও একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে যেতে পারব- এটিই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। একটা সুন্দর নির্বাচন সবাই চেয়েছিল।
ডাকসু নির্বাচন: গণতন্ত্রের পথে আশা, বাধা ও সম্ভাবনা
গণতন্ত্রের অনুশীলনকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হয়, তবে তার সূচনা হওয়া উচিত শিক্ষাঙ্গন থেকে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়, সেখানে ছাত্রসংগঠনের স্বাধীন নির্বাচন গণতান্ত্রিক চর্চার প্রথম পরীক্ষাগার। এবারের ডাকসু নির্বাচন অনেকেই মনে করেছিলেন একটি নতুন সূচনা হতে পারবে; কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখানেও বাধা এসেছে।
সর্বশেষ অবস্থা: ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণকেন্দ্রে আবারও ফিরে এসেছে ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে বড় উৎসব—ডাকসু নির্বাচন ২০২৫। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) মোট ১৮টি হলের ভোট গণনার শেষ হওয়ার পথে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এবারের ডাকসু নির্বাচন কীরকম প্রভাব ফেলতে পারে!
১৯২৪ থেকে ২০২৫ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর ১০০ বছরের ইতিহাসে এবারের ডাকসু নির্বাচন কি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে? ইতিহাসের ঘটনাসমূহ কোনটার চেয়ে কোনটার গুরুত্ব বেশি তা নির্ধারণ করা কঠিন। তাৎক্ষণিকভাবে তা অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। ইতিহাসের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আড়ালে পড়ে যায়, অনেক ছোটখাটো বিষয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্লেষণ, পক্ষপাতিত্ব- সব মিলিয়ে একেকটা ঘটনার ব্যাখ্যা হয় একেক রকম। তারপরও এ কথা স্পষ্টভাবেই বলা যায়, আমাদের জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে, বিশেষ করে দেশভাগ-পরবর্তী বাঙালি-মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মুসলমানের সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি গঠনে ডাকসু এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
ডাকসু নির্বাচন: প্রথম দুই ঘণ্টায় পড়ল ১১০০ ভোট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টিএসসি কেন্দ্রে ৭০০-এর বেশি এবং কার্জন হল কেন্দ্রে ৪০০-এর বেশি ভোট পড়েছে। ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে তারা সকাল সকাল কেন্দ্রে এসেছেন।
শান্তিপূর্ণ ডাকসু নির্বাচনের প্রত্যাশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছরের ওপরের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় যেমন এ দেশের রাজনীতি-সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।
সহিংসতাহীন নির্বাচন নিশ্চিত করতে আগেভাগে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন
নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে । ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে মাঠ গরম হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোও উঠেপড়ে লেগেছে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। সে অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোড ম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তপশিল ঘোষণা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।