Views Bangladesh Logo

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সব সংকট মোকাবিলা করে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে
সব সংকট মোকাবিলা করে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে

দেশ ও রাজনীতি

সব সংকট মোকাবিলা করে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের যখন ৯ মাস পূর্ণ হচ্ছে, তখন মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ। কারণ দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা হতাশ করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল। দলমত নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে; সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছিল একনায়কতান্ত্রিক শাসনের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৩ দিনের মাথায় গঠিত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও দিয়েছিল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি; কিন্তু মানুষের জীবন চলার ক্ষেত্রে বড় দুটি সমস্যা দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে খোদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে।

ঘোলা জলে রাজনীতি: অস্থির সময়ের প্রতিচিত্র
ঘোলা জলে রাজনীতি: অস্থির সময়ের প্রতিচিত্র

দেশ ও রাজনীতি

ঘোলা জলে রাজনীতি: অস্থির সময়ের প্রতিচিত্র

রাজনীতিতে যে অস্পষ্টতা, দ্বিধা ও উত্তেজনা জমে উঠছে, তা কেবল ঘটনার সমাহার নয়- এ এক সময়চিত্র। তা আমাদের শাসনব্যবস্থার গভীরে জমে থাকা দুর্বলতা, বৈপরীত্য ও অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ। সরকার পরিবর্তনের প্রায় এক বছর হতে চলছে, অথচ একটি স্পষ্ট রূপরেখা, সময়সীমা, কিংবা দায়িত্ববোধপূর্ণ রাজনৈতিক ভাষ্য নির্মাণ করতে পারিনি। বরং স্পষ্ট হয়ে উঠছে অনিশ্চয়তা, দায়িত্বহীনতা ও অস্বচ্ছ চর্চার এক জটিল চিত্র। ঘটনাবলির পরম্পরা দেখে অনেকে বলছেন, যেন এটি একটি অদৃশ্য পরিকল্পনার অংশ, যার উদ্দেশ্য পানি ঘোলা করে স্বার্থসিদ্ধি। বাস্তবতা হচ্ছে, কোনো না কোনো শক্তি এই ঘোলা পানিকে তাদের হাতের খেলা বানাতে চাচ্ছে বা এ পরিকল্পনার অংশীজন হচ্ছে- এতে কোনো সন্দেহ আছে? যে সরকারকে মনে করা হয়েছিল সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী, সেই সরকার আজ ১০ মাস পূর্ণ হতে না হতেই দুর্বলতার লক্ষণ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছে। নীতিগত স্পষ্টতা নেই, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভ্রান্তি, এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব জনমনে প্রশ্ন তুলেছে- এই সরকার কি আদৌ জানে কোথায় যাচ্ছে?

সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কি শুধুই নির্বাচন প্রশ্নে?
সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কি শুধুই নির্বাচন প্রশ্নে?

দেশ ও রাজনীতি

সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কি শুধুই নির্বাচন প্রশ্নে?

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং মির্জা আব্বাস সম্প্রতি এমন কিছু কথা বলেছেন, যাতে মনে হচ্ছে বিএনপি বুঝি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বিরোধী দল। যদিও অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় বিএনপিও বড় ভূমিকা রেখেছে। বিএনপি শুরু থেকেই বলছে যে, এই সরকার তাদের সরকার; কিন্তু দেখা গেল, গত বছরের ৮ আগস্ট এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের মাস কয়েক পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব বা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। তাতে প্রশ্ন উঠছে, সরকারের সঙ্গে বিএনপির এই দূরত্ব কী শুধুই নির্বাচন প্রশ্নে নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে?

চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন
চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

সম্পাদকীয় মতামত

চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

খবরটা শুধু মর্মান্তিক নয়, জাতিগত লজ্জার। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, ঝালকাঠির রাজাপুরে ‘চাঁদার’ টাকা না পেয়ে নার্গিস বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। গত বুধবার সকালে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ঘিগড়া গ্রামের একটি মাঠ থেকে গরুটি নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীর নাম বেল্লাল খান (৫৮)। তিনি শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামন খান গ্রামের আজিজ খানের ছেলে এবং একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের আজাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্ত বেল্লাল খানের ভাষ্য, চাঁদার টাকার জন্য নয়, নার্গিসের স্বামীর কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকার জন্য তিনি গরুটি নিয়ে গেছেন। টাকা দিয়ে দিলে তিনি গরুটি ফেরত দেবেন।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে
তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে

দেশ ও রাজনীতি

তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছে

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তারেক রহমান। দেশে ফিরতে মানা, কথা বলতে মানা, কথা প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এগিয়েছেন। তার দৃঢ়তায় নির্যাতকদের পরাস্ত হতে হয়েছে নিদারুণভাবে। চব্বিশের বিপ্লব-পরবর্তী স্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপট তৈরি করতেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। একজন নির্যাতিত হিসেবে প্রতিহিংসাপরায়ণ ও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার শঙ্কা করেছেন অনেকে, বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র।সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন শান্ত থাকার। বিগত সরকারের অবিরাম অপপ্রচার, পতিত প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েক মন্ত্রীর নিয়মিত গালমন্দ, ভেংচি, খিঁচুনির জবাব কখনো মন্দ কথায় দেননি তারেক রহমান। তার কাজ তিনি করে গেছেন নীরবে-নিভৃতে, যা ক্রমে তাকে আরও শক্তিশালী করেছে। খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তোলার শক্তি দেখিয়েছে। দলের তৃণমূলের কাছে হয়ে উঠেছেন ছায়াসঙ্গী।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সহজ?
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সহজ?

দেশ ও রাজনীতি

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সহজ?

যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে- সেই দলটি দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পর গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হলো- তার পেছনে অন্তত বিশটি কারণ আছে। এখানে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বা বিদেশি ইন্ধনের অভিযোগ যতই থাকুক, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আওয়ামী লীগ যে দুর্নীতি, দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল- সেটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক শিষ্টাচারে খালেদা জিয়ার কর্মকাণ্ড অনুসরণীয়
রাজনৈতিক শিষ্টাচারে খালেদা জিয়ার কর্মকাণ্ড অনুসরণীয়

দেশ ও রাজনীতি

রাজনৈতিক শিষ্টাচারে খালেদা জিয়ার কর্মকাণ্ড অনুসরণীয়

যে কোনো দেশের ইতিহাসে এমন এক সময় আসে যখনকার ঘটনাবলি অন্যান্য ঘটনাকে ম্লান করে দেয়। এমন ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটে যিনি প্রকৃতির চলমান গতির পরিবর্তন ঘটান, জাতির গতি সঞ্চার করেন, নতুন দিকনির্দেশনা দেন, উদ্বুদ্ধ করেন আত্ম-অনুসন্ধানে। তেমনই একজন হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন আপসহীন নেত্রী, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ধারক বেগম খালেদা জিয়া। টানা চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সংসদীয় আসনে বিজয়, আপসহীন সংগ্রামে দুটি স্বৈরশাসনকে বিদায় দেওয়ার অসামান্য কৃতিত্ব তার।

রাউজানে খুনোখুনির তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি বিচার করুন
রাউজানে খুনোখুনির তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি বিচার করুন

সম্পাদকীয় মতামত

রাউজানে খুনোখুনির তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি বিচার করুন

গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাউজান উপজেলায় এখন পর্যন্ত খুন হয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে সাতজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ, জখম ও অন্যান্যভাবে আহত হয়েছেন অনেকে।

অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি
অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি

দেশ ও রাজনীতি

অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি

যদি একটি জাতির খারাপ হতে ৫৪ বছর লাগে তাহলে এক বছরে কীভাবে ভালো হওয়া সম্ভব? যদি বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, সুশিক্ষিত, ন্যায়পরায়ণ এবং সৃজনশীল হতে চায় তবে সেটা কি মাত্র এক বছরের মধ্যে সম্ভব? প্রকৃত সত্য হলো- ৫৪ বছরের দুর্নীতির আগুন এক বছরে নিভিয়ে ভালো কিছু করা যায় না।

বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কতটা পেশাদার?
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কতটা পেশাদার?

বিশেষ লেখা

বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কতটা পেশাদার?

আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ ঘটা করেই পালিত হলো মহান মে দিবস। শ্রমজীবীদের এই দিবসে বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করেছে। আয়োজন করা হয়েছে সভা-সেমিনার। সব জায়গায়ই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কড়া বক্তব্য এবং কিছু আশার বাণী শোনা গেছে। এই আশার বাণী প্রতি বছরই আমরা শুনি; কিন্তু এর ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয় না; বরং বছর বছর শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় বাড়ছে। এর প্রমাণ মেলে শ্রম ভবনে গেলে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ