টেলিকম
টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ খসড়া ২০২৫ এর বিশ্লেষণ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া জনমতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে এ খসড়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, এমন একটি 'আধুনিক' টেলিকম ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আইন যা ডিজিটাল যুগের বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দেয়। রেডিও স্পেকট্রাম এবং সাবমেরিন ক্যাবল থেকে শুরু করে OTT, AI এবং IoT পর্যন্ত সবকিছুই আইনের ধারায়, উপ ধারায় বিস্তৃত আছে। কিন্তু একটু গভীরভাবে পর্য়বেক্ষণ করলে এই অধ্যাদেশ ঘিরে তিনটি বড় প্রশ্ন সামনে আসে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকৃতপক্ষে কতটা স্বাধীন হবে, মন্ত্রণালয় বাস্তবিকভাবে কতটা তত্ত্বাবধান করতে পারবে, এবং লাইসেন্সিং ঠিক কোথায় শেষ হবে এবং নজরদারির নতুন অধ্যায় শুরু হবে ?
উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
প্রথমেই বলব, উদ্যোগটি ভালো। দেশে এখন মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। অতএব সেই উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কর ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা হ্যান্ডসেটের বাজার বন্ধ করার উদ্বেগকে প্রশংসার দৃষ্টিতেই দেখা উচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিটিআরসি কতবার এই উদ্যোগ নেবে, আর আমরা কতবার প্রশংসা করব এবং অতঃপর হতাশ হব?
প্রত্যেক নাগরিকের জন্য শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা প্রয়োজন
সংযোগ: একটি অপরিহার্য প্রয়োজন, বিলাসিতা নয় বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রা শুধু প্রযুক্তিগত সমৃদ্ধি নয়। ডিজিটাল যাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত দেশের মানুষ। দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষকে ডিজিটাল সেবায় সমান প্রবেশাধিকার, সমান সুযোগ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল যাত্রা এগিয়ে চলেছে।
স্টারলিংকের গল্প এবং বাস্তবতা
স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গল্পটা আজকের নয়। এর শুরুটা হয়েছিল মূলত নব্বইয়ের দশকে। যদিও আজকের প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের যে বাস্তবতা, সেই নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে, সে সময়কার ট্রাম্প সরকারের ‘ক্লিন ইন্টারনেট’ নীতির ফল হিসেবে। যে নীতি বিশ্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ‘যুক্তরাষ্ট্র’ ও ‘চীন’ নেটওয়ার্ক নামে ইন্টারনেট দুনিয়াকে দ্বিখণ্ডিত করার বড় ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে বিস্তারিত অধ্যায়ে যাওয়ার আগে নব্বই দশকের ইতিহাসের পটভূমিটা ঘুরে আসি।
শ্রীলঙ্কায় স্টারলিংক এবং আইনি বাধ্যবাধকতা
শ্রীলঙ্কা ২০২৪ সালে টেলিযোগাযোগ আইনের ১৭ ধারার অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে লাইসেন্স দেয়। এ ক্ষেত্রে লাইসেন্সের শর্তাগুলো লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নির্ধারণ করা হয়।
ঈদুল আজহায় অপোর আকর্ষণীয় অফার, বাজারে মিলছে নতুন এ৫এক্স
শীর্ষ বৈশ্বিক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ আসন্ন ঈদুল আজহা’র আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সব অফারের ঘোষণা দিয়েছে। এবং এই উৎসব উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্র্যান্ডটি নতুন স্মার্টফোন অপো ‘এ৫এক্স’ (৪জিবি+৬৪জিবি) আকর্ষণীয় বাজার মূল্যে সারাদেশে প্রাপ্তির কথাও জানিয়েছে।
বাজারে এলো ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ এবং ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ স্মার্টফোন
তরুণদের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি কোম্পানিটির সর্বশেষ ‘পাওয়ারহাউজ’ স্মার্টফোন ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ এবং ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ বাংলাদেশে উন্মোচিত করেছে। যেসব ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল লাইফস্টাইলের নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা চান এবং পারফরম্যান্সের ব্যাপারে একবিন্দুও ছাড় দিতে নারাজ এই মোবাইল দুটি তাদের জন্য; যেগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও অসাধারণ সব ফিচারের মাধ্যমে স্মার্টফোন বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের বাজারে এলো ‘ডিউরাবিলিটি চ্যাম্পিয়ন’ অপো ‘এ৫এক্স’
বৈশ্বিক শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো, ব্র্যান্ডটির সর্বশেষ স্মার্টফোন অপো ‘এ৫এক্স’ (৪জিবি+৬৪জিবি) ১৫ মে, ২০২৫ তারিখে দেশের বাজারে গ্রাহকদের জন্য উন্মোচিত হয়েছে। অপোর এই ডিভাইসটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে- মাত্র ১৩, ৯৯০ টাকা।
পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
তরুণ প্রজন্মের পছন্দের অন্যতম প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের পারফরম্যান্সকেন্দ্রিক আইকনিক নাম্বার সিরিজ থেকে নতুন দুটি স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে। রিয়েলমি ১৪ ৫জি এবং ১৪টি ৫জি ফোন দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১২ই মে দেশের বাজারে বাজারে উন্মোচন করা হবে।
খসড়া প্রস্তাব ভালো, তবে কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে হবে
বর্তমান সময় কিংবা আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী টেলিযোগাযোগ কাঠামো নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আইএলডিটিএস পলিসি সংশোধনে বিটিআরসির উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রায় দুই দশক ধরে চলমান পুরোনো লাইসেন্সিং ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংস্কার এক অর্থে অনিবার্য। বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে অর্থপূর্ণ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে একটি ভিত্তি তৈরির জন্য এই সংশোধনের উদ্যোগ পরিচালিত হবে, এটাই কাম্য। প্রথমেই খসড়াটির ইতিবাচক প্রস্তাবের দিকে চোখ রাখি। খসড়াটিতে অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদানকারীদের গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া বা ক্ষেত্রে কিছু শর্ত ও সীমাবদ্ধতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।