শিল্প ও সংস্কৃতি
চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব শুরু
চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী 'চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব ২০২৫' আয়োজন করেছে ভাবনগর ফাউন্ডেশন। আজ ৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দেশ-বিদেশের সাধক, গবেষক ও সংগীতশিল্পীদের অংশগ্রহণে এবার দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে এ উৎসব।
দেখে এলাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দার্জিলিং
দার্জিলিং ‘পাহাড়ের রানি’ নামে পরিচিত। গত বছর সপরিবারে দার্জিলিং গিয়েছিলাম। প্রথমে আমরা ঢাকা থকে কোলকাতা যাই। তারপর সেখানে পৌঁছানোর পর খুব ভোরে হাওড়া রেলস্টেশনে পৌঁছি এবং বন্দে ভারত নামের ট্রেনে করে জলপাইগুড়ি যাই। এটি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন হিসেবে পরিচিত। আমাদের বহনকারী ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় যাত্রা শুরু করে। ট্রেনে লাঞ্চ এবং ব্রেকফাস্ট প্যাকেজ ছিল। তারা সকাল ৭টায় ব্রেকফাস্ট দেয়। খাবার মেন্যুতে ছিল পাউরুটি, মাখন, সবজি, ডিম, চা এবং জুস। ট্রেনে যাওয়ার সময় আশপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপভোগ করি।
সুরসুধা সঙ্গীতায়নের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সঙ্গীত শিল্পীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন সুরসুধা সঙ্গীতায়নের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবে গান, গল্প, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তিতে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন প্রতিবন্ধী ও সাধারণ শিল্পীরা। রাজধানীর রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনায়তনের এই আয়োজনে সহায়তা করে চাইল্ড হেলথ এওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিএইচএএফ)।
ধামরাইয়ের রথযাত্রা ও আষাঢ়ের প্রকৃতি
আষাঢ় মানেই কদম ফুল, আষাঢ় মানেই বৃষ্টি, রথযাত্রার উৎসব। বাংলাদেশে এ এক চমৎকার প্রকৃতি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন। তেরই আষাঢ় সকালে এক পশলা বৃষ্টি নামল। ছিটেফোঁটা সে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লাম ধানমন্ডি থেকে ধামরাই। আকাশটাও মেঘলা হয়ে রইল। ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি রথের দিন বৃষ্টি নামে রথের রশির টানে টানে। এক এক জায়গায় তো রথের রশি টানা হয় এক এক সময়। তার মানে কি সেসব জায়গায় স্থানীয়ভাবে বৃষ্টি ঝরে? তা হয়তো না; কিন্তু আষাঢ়ে বৃষ্টির স্বভাবটাই এমন। একটানা অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টি থাকে না। এই আসে এই যায়।
কাফন
মাঝে মাঝে সাজিয়া ফজরের নামাজের জন্য সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে পারতো না। তখন সে তার উচ্চ রক্তচাপের জন্য খাওয়া জঘন্য ট্যাবলেটগুলোকে দোষ দিতো আর বলতো এগুলোই তার যত অশান্তির কারণ।
‘তাণ্ডব’ পাইরেসি: ক্ষতিও সিনেমা শিল্পের মানুষের, দায়ও তাদের
এবার ঈদে রিলিজ হয়েছে সুপারস্টার শাকিব খানের সিনেমা ‘তাণ্ডব’। রায়হান রাফি পরিচালিত এই সিনেমায় আছেন আরও চমকপ্রদ স্টার-কাস্ট। রিলিজের পর যখন বক্স অফিসে খুব সাফল্য পাচ্ছিল- তখন দু সপ্তাহের মাথায় এই সিনেমার পাইরেটেড ভার্সন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এই পাইরেসির ভয়াবহতা ও দায় নিয়ে লিখেছেন চিত্র পরিচালক দীপংকর দীপন যিনি সিনেমার পোস্ট প্রডাকশন কার্যক্রম নিয়ে অভিজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদান করান। তিনি লিখেছেন- তাণ্ডবের পাইরেসি কেন আলাদা, দায় কার এবং কীভাবে পাইরেসির প্রবণতা থেকে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানো যায়- তা নিয়ে।

‘অঞ্জলি লহ মোর’ ম্যুরাল ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে ১২০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ম্যুরাল ‘অঞ্জলি লহ মোর’ প্রশাসনিক নির্দেশে ভেঙে ফেলায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১২১ জন সংস্কৃতিকর্মী, কবি, লেখক, সাংবাদিক ও প্রগতিশীল নাগরিকবৃন্দ।
ক্ষুধার্ত জনপদের ভাষণ
খানিক আগেও নেতাকর্মীদের মাঝে বসেছিলেন কুতুব উদ্দিন। নিচের বসার ঘরে। জমে উঠেছিল আড্ডা। কেউ পান চিবাচ্ছেন। কেউ চা খাচ্ছেন। সিগারেট টানছেন। গল্পের ওপর পাল্টা গল্প। লড়াই হবে এবার। জয় আপনার নিশ্চিত নেতা। সবাই বলে যাচ্ছিলেন একই সুরে। মাথা নাড়ছিলেন তিনি। মুখে মৃদু হাসি। সবাই বলছে জয়ের কথা। তিনবার হেরে জয় নিয়ে খুব শঙ্কিত। তবে এবার জোয়ার উঠছে। সে জোয়ার তাকে ভাসিয়ে নেবে জয়ের বন্দরে। জোয়ারের এই স্রোত কেউ ঠেকাতে পারবে না। সামনেই দাঁড়াতে পারবে না। সে বিশ্বাস তার মনে দিন দিন প্রবল হচ্ছে। গতবারও স্বপ্ন দেখেছিলেন ফুলের মালায় ঢাকা পড়ার। মিছিল দিচ্ছেন বিজয়ের। সে স্বপ্ন রাতেই হারিয়ে গেল। জয় পেল প্রতিপক্ষ। তাই এবার খুব বেশি উচ্ছ্বাস তার মন দখল করতে পারেনি।
ঐতিহ্যবাহী ঈদকার্ডের সন্ধানে
প্রিয় মানুষকে শুভেচ্ছা কার্ড দেয়ার রীতি প্রায় ১৮০ বছরের পুরোনো। সেই রানি ভিক্টোরিয়ার সময় থেকে বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা। প্রথমদিকে নতুন বছর, বড়দিন কিংবা জন্মদিনে এর ব্যবহার হলেও কালক্রমে শুভেচ্ছা হিসেবে ঈদকার্ড দেয়ার রীতিও ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। পশ্চিমের এই রীতি এখনো বহাল থাকলেও বাংলাদেশসহ এশিয়ার নানান অঞ্চলে ঈদকার্ড দেয়ার রীতিতে পড়েছে ভাটা।
চলচ্চিত্র উৎসব: ইতিহাস ও তত্ত্ব
আদিমযুগে গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ কোনো বড় শিকার ধরে যখন রাতে গোল হয়ে আগুন জ্বালিয়ে ভূরিভোজ করত, তখন সেটা ছিল তাদের খাদ্য উৎসব। চলচ্চিত্র উৎসব আধুনিক যুগের আনন্দ সম্মিলন। এখানে মনের ক্ষুধা মেটায় চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র উৎসবের ধারণাটি ইউরোপকেন্দ্রিক হলেও এর ব্যাপ্তি এখন দুনিয়ার কোণায় কোণায় ঘটেছে। মানুষ গল্প দেখার বাসনায় উৎসবে শামিল হলেও, তলে তলে এসব উৎসবের রয়েছে ক্ষমতাচর্চা, কোমল কূটনীতি, রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের মতো বিষয়াদি।