শিল্প ও সংস্কৃতি
রকিব হাসান: আমাদের কাছে যার মৃত্যু নেই
ছোটবেলায় যখন ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের কোনো বই পড়তাম প্রতিবার বইয়ের শুরুতে লেখা এই পরিচিতিটা পড়তাম। পড়তে পড়তে মুখস্তই হয়ে গিয়েছিল। তাও সব সময় পড়তাম। পড়লেই শরীরে-মনে অন্যরকম এক শিহরণ হতো। নিজেকে ভাবতাম কিশোর পাশা। মুসা আমান আর রবিন মিলফোর্ডকেও ভালোবাসতাম; কিন্তু তিন গোয়েন্দাদের লিডার কিশোর পাশাই ছিল সবচেয়ে প্রিয়। গভীর চিন্তা করার সময় কিশোর পাশা নিচের ঠোঁটে চিমটি কাটতো, নিজের অজান্তেই এই অভ্যাসটা আমারও মুদ্রাদোষের মতো হয়ে গিয়েছিল।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অসংখ্য শিরোনামে লেখা যায় যার নাম
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অধ্যাপক ছিলেন, দীর্ঘ চার দশক পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে; কিন্তু, অধ্যাপকসুলভ আচরণ তার মধ্যে ছিল না, ছিলেন বন্ধুর মতো, বড় ভাইয়ের মতো, প্রয়াণের পর তরুণ কবি-সাহিত্যিকরা এ-কথা বলছেন তার সম্পর্কে।
বনের পথে পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নামা
২০২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই (László Krasznahorkai)। ১৯৫৪ সালের ৫ জানুয়ারি হাঙ্গেরির ছোট শহর জিউলাতে তার জন্ম। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত সাহিত্যেই স্থায়ী আশ্রয় নেন। তার জীবনযাপন নিভৃত ও সংযত- তিনি প্রায়ই হাঙ্গেরির পাহাড়ি অঞ্চলে একাকী সময় কাটান, লেখেন, ভ্রমণ করেন, আর চীনা ও জাপানি সংস্কৃতির দর্শন নিয়ে চিন্তা করেন।
একজন বাঙালি হয়েও ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে ন্যক্কারজনক ভূমিকা রাখেন নূরুল আমিন
ভাষা আন্দোলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা পর্যায় ছিল ২১ ফেব্রুয়ারি সকালের আমতলার ছাত্রসভা। যেখান থেকে ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভা সম্পর্কে আপনার কাছে জানতে চাই?
বগুড়া থিয়েটার পরিবার, ঢাকার অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
অভিষেক অনুষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়েছে বগুড়া থিয়েটার পরিবার, ঢাকার নতুন পরিচালনা পরিষদ। পরে ‘নাট্য সূত্রে বাঁধা’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন সংগঠনটির সদস্যরা।
এম শাহীনুর রহমানের গবেষণায় লোকসংস্কৃতির বহুমাত্রিকতা
অধ্যাপক ড. এম. শাহিনূর রহমান তার আন্তঃশৃঙ্খলাভিত্তিক গবেষণাকর্মের মাধ্যমে, যা লোককাহিনি, সাহিত্য এবং জাতিগত গবেষণার ক্ষেত্রজুড়ে বিস্তৃত, লোকসংস্কৃতির একজন বিশিষ্ট গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেকসপিয়রের কাজকে লোকতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুনর্মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ফকির লালন শাহ এবং বাংলাদেশের খাসি সম্প্রদায় নিয়ে তার মৌলিক অনুসন্ধানলব্ধ তার গবেষণাকর্ম লোকসংস্কৃতি চর্চার প্রতি তার গভীর নিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণাকর্মগুলিতে একই সঙ্গে লোকগবেষণার বিভিন্ন তত্ত্ব, জাতিতত্ত্ব ও দক্ষতা অধ্যয়ন, প্রতীকবাদ এবং সংস্কৃতির টিকে থাকার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞানের প্রমাণ মেলে।
পাবলো নেরুদা, যিনি প্রতিটি শব্দে রক্ত ঝরাতে পারেন
নোবেলজয়ী কবি ও বিপ্লবী পাবলো নেরুদা বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রভাবশালী লেখক। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর এই বিশ্ববিখ্যাত কীর্তিমানের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিশ্বনন্দিত শিল্পী পাবলো পিকাসো এবং প্রখ্যাত চেক সাহিত্যিক জাঁ নেরুদা এ দুজনের কাছ থেকেই তিনি নিজের নাম গ্রহণ করেন ‘পাবলো নেরুদা।’
‘খাঁচার পাখি উড়ে গেল’: বিদায় লালনকন্যা ফরিদা পারভীন
পাখি কখন জানি উড়ে যায়, কেউ টের পায় না। একটি বদ হাওয়া এসে খাঁচায় লাগলেই, তার ডানা ছুটে যায় অনন্ত আকাশে। ঠিক তেমনভাবেই চলে গেলেন লালনসংগীতের কিংবদন্তি সাধিকা ফরিদা পারভীন- যার কণ্ঠে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চিনেছে সাঁইজি লালনকে, উপলব্ধি করেছে আত্মার গান। তার চলে যাওয়ায় যেন থমকে গেছে অদৃশ্য এক সুরের ধারা। যেন আটকুঠুরি নয় দরজা ভেঙে খাঁচার পাখিটি উড়ে গেল- এবারের মতো সত্যি সত্যিই।
গানের জন্য আরেকটু বাঁচতে ইচ্ছে করে
লালনকন্যাখ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে তিনি ভিউজ বাংলাদেশের অফিসে এসেছিলেন। গান-আড্ডায় মুখর করে রেখেছিলেন ভিউজ বাংলাদেশ অফিস। এর মাঝেই তিনি কথা বলেছিলেন তাঁর সংগীতজীবনের পথচলা, লালনসংগীত, বাংলা সংগীতাঙ্গনের নানান বিষয় নিয়ে। সেই আলাপচারিতা দুই পর্বে ভিউজ বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ও ৮ মার্চ ২০২৫ সালে। এই আলাপচারিতার কয়েকদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভিউজ বাংলাদেশের পরিবার তার খোঁজ খবরও রেখেছিল; কিন্তু তিনি চলে গেলেন। আজ ভিউজ বাংলাদেশের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার শেষ সাক্ষাৎকারটি আবার প্রকাশিত হলো।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষা শিক্ষা ও কিছু হাস্যরস
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী। ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটের করিমগঞ্জে তার জন্ম। শিক্ষাজীবনের বড় একটা অংশ কেটেছে শান্তি নিকেতনে। সেখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফারসি, হিন্দি, গুজরাতি, ফরাসি, জার্মানি, ইতালিসহ অনেক ভাষা শেখেন। পড়াশোনা ও চাকরির জন্য এবং নেহাত ঘোরার নেশায়- পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছেন মুজতবা আলী। রম্য রচনায় বাংলা সাহিত্যে তিনি অদ্বিতীয়। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর এই সাহিত্যিকের প্রয়াণ দিবস। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘স্টুডেন্ট ওয়েজ’ প্রকাশিত সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলির থেকে পাঁচটি ঘটনা পাঠকদের জন্য পত্রস্থ হলো।