Views Bangladesh Logo
author image

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

  • অর্থনীতিবিদ

  • থেকে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টাকশাল (দ্যা সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস) 

বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!
বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!

বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!

২১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নিখোঁজের সংবাদ প্রথমে পাই লেখক লিনু হকের ফেসবুক পোস্ট থেকে, কিছুক্ষণ পর দেখলাম সারা ফেসবুকে তার নিখোঁজের সংবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাসমেট ও রাজনৈতিক আদর্শের সতীর্থ জীবন কৃষ্ণ সাহাকে ফোন করলাম; কিন্তু তিনি বিভুরঞ্জন সরকারের বাসা কোথায় তা বলতে পারলেন না। বুঝলাম, সমাজে বিভুরঞ্জন সরকারের প্রয়োজন অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে।

সর্বদলীয় ঐক্য করে পাথর খাওয়া শেষ করে টিলাও খেতে হবে!
সর্বদলীয় ঐক্য করে পাথর খাওয়া শেষ করে টিলাও খেতে হবে!

সর্বদলীয় ঐক্য করে পাথর খাওয়া শেষ করে টিলাও খেতে হবে!

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হওয়া পাথর লুট বিগত এক বছরে গণহারে বিরামহীনভাবে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এই লুটের কাহিনি প্রচার হলেও সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙেনি। ঘুম ভেঙেছে পাথর লুট শেষ হওয়ার পর। লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনী ১৩ আগস্ট থেকে অভিযানে নামে এবং পাথরবোঝাই ১৩০টি ট্রাক জব্দ করে। জেলা প্রশাসকের বক্তব্য অনুযায়ী জব্দ করা পাথরগুলো যেসব এলাকা থেকে লুট হয়েছে সেসব এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হবে, অবশ্য এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। পাথর হচ্ছে খনিজসম্পদ, তাই এই পাথরের ওপর কর্তৃত্ব খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের, পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদান বা উত্তোলন বন্ধ করার ক্ষমতা খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। তবে পাথর উত্তোলনে পরিবেশের ক্ষতি হলে পরিবেশ মন্ত্রণালয় তাতে আপত্তি উত্থাপন করতে পারে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কথা দিয়ে লেখা শুরু করি; তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ তার মতে এই নির্বাচন হবে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার প্রতিটি কথায় বিন্যস্ত ছন্দের শৈল্পিক দোলা থাকা, শ্রোতা মুগ্ধ হয়, ভক্তের সংখ্যা বাড়ে; কিন্তু বিশ্বাস হয় না।

বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!
বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!

বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!

অনেক দৌড়ঝাঁপের পর তৃতীয় দফার আলোচনায় মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রির ওপর আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৭টি দেশের ওপর ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপ করেছিলেন; জুলাই মাসের মধ্যে দেশের সংখ্যা বেড়ে হয় ৯০টিরও অধিক। ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর এই নীতি গ্রহণের পূর্বে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল; নতুন নীতিতে বৃদ্ধি করা হয়েছিল আরও ৩৫ শতাংশ, দুটি মিলে হয়েছিল ৫০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে শুল্ক হার যুক্তিযুক্ত করার সুযোগ প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় দফার আলোচনায় ১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে; এখন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করতে হলে পুরোনো ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নতুন ২০ শতাংশ মিলিয়ে মোট ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আমেরিকাকে দিতে হবে।

দুর্নীতির অর্থ ফেরত কেন আসছে না?
দুর্নীতির অর্থ ফেরত কেন আসছে না?

দুর্নীতির অর্থ ফেরত কেন আসছে না?

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ শাসনামলের দুর্নীতির ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। শ্বেতপত্র বলছে, বিগত ১৫ বছরে ২৮ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই শ্বেতপত্র তৈরি করেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে। অনুমাননির্ভর তথ্য আর গোঁজামিলে ভর্তি এই মূল্যবান শ্বেতপত্র। করিৎকর্মা পণ্ডিতরা তিন মাসে ৪০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রে দুর্নীতির ইতিবৃত্ত বর্ণনা করলেন; কিন্তু শ্বেতপত্রের বয়স ছয় মাস পার হয়ে গেলেও সরকার একজন চোরও ধরতে পারল না। আওয়ামী লীগ সরকার শ্বেতপত্র ছাড়াই চোর ধরা শুরু করেছিল, আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতিউর রহমানের দুর্নীতির খতিয়ান মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারও করেছে। শুধু বেনজীর আর মতিউর এই দুজনই কি ২৩৪ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে? যদি তাই না হয়, চোর তো আরও আছে।

সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন
সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন

সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করুন

‘সংস্কার সংস্কার সংস্কার’- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এভাবে তিনবার উচ্চারণ করে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তিনি সবাইকে সংস্কার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে আহ্বান জানিয়েছেন, সংস্কার নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা-পর্যালাচনা করতে তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন। সংস্কারের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে তিনি চটজলদি অনেক সংস্কার কমিশনও গঠন করে দিয়েছিলেন। কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে, কয়েকটি কমিশনের সুপারিশের ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতও নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এই মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’, যাতে থাকবে রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর; কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড অবাস্তব ও বাস্তবায়ন অযোগ্য স্বপ্ন। বাম আর ডানের আদর্শের পার্থক্য উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরুর দূরত্বের সমান। তাই ‘জুলাই চার্টার’ দিয়ে যে সংস্কার হবে তা হবে খুবই সীমিত, তা দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের উদ্ভব ঠেকানো যাবে না।

...