Views Bangladesh Logo
author image

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

  • অর্থনীতিবিদ

  • থেকে

সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টাকশাল।
বৈষম্য নিরসনে কতটা পথ পেরোল বাংলাদেশ?
বৈষম্য নিরসনে কতটা পথ পেরোল বাংলাদেশ?

বৈষম্য নিরসনে কতটা পথ পেরোল বাংলাদেশ?

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদির ভিত্তিতে কারও প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণকেই বৈষম্য বলে। বৈষম্যের সঙ্গে মঙ্গল-অমঙ্গলের সম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক নয়।

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ
দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

চাঁদাবাজি নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একটি নিরেট সত্য কথা বলেছেন; কথাটি হচ্ছে চাঁদাবাজি এবং চাঁদার মাত্রা চব্বিশের ৫ আগস্টের পর বেড়েছে এবং চাঁজাবাজি, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। কারণ চাঁদাবাজ শুধু চাঁদাবাজই নয়, সে রাজনীতিও করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালে তার সঙ্গে আমার সরাসরি কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত বলে তিনি একজন নির্লোভ ব্যক্তিও। পাকিস্তান আমলের সিএসপি আমলা, তাই দক্ষও। অর্থ উপদেষ্টা হয়েই তিনি বলেছিলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা যত খারাপ বলা হয়, তত খারাপ নয়; কিন্তু ক্ষমতায় বসেই দলীয় সরকারের রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজি হচ্ছে, আগের সরকারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।

জাতিসংঘের অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৭ জন উপস্থিত থাকতে পারেন, তাহলে বিরাট লটবহর কেন?
জাতিসংঘের অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৭ জন উপস্থিত থাকতে পারেন, তাহলে বিরাট লটবহর কেন?

জাতিসংঘের অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৭ জন উপস্থিত থাকতে পারেন, তাহলে বিরাট লটবহর কেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পদমর্যাদার সাতজন ছাড়াও তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন নেতা- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও ড. নকিবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন। প্রথমে ড. নকিবুর রহমান ও তাসনিম জারা প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, জামায়াত এবং এনসিপির অনুরোধে তাদের পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৈষম্য নিরসনের শপথ নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপি থেকে দুইজন প্রতিনিধি নিয়ে যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলেন তা এভাবে দূর করা হলো; কিন্তু বৈষম্য সম্পূর্ণ দূর হলো না। সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় অন্তত ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন; এই ৩০টি দলের মধ্য থেকে মাত্র ৩টি দলকে এই সফরে অংশীদার করায় বাকি দলগুলোর গুরুত্বের মাত্রা জনগণকে এভাবে বুঝিয়ে দেয়ার দরকার ছিল না, দরকার ছিল না ৩টি দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে বাকি ২৭টি দলের সঙ্গে বৈমষ্যমূলক আচরণ করার।

পরমতসহিষ্ণুতাহীন সমাজে নিষ্ঠুরতা অনিবার্য
পরমতসহিষ্ণুতাহীন সমাজে নিষ্ঠুরতা অনিবার্য

পরমতসহিষ্ণুতাহীন সমাজে নিষ্ঠুরতা অনিবার্য

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সাকুরা স্টিল মিলে তামার তার চুরির অভিযোগে এক যুবককে ধরে দুটি জার্মান শেফার্ড কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতিত যুবকের নাম শ্রী জয় চন্দ্র সরকার, সে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুটি শিকারি কুকুর যুবকটিকে কামড়াচ্ছে এবং কয়েকজন লোক লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটাচ্ছে। কুকুরের কামড় ও লাঠির আঘাতে অসহায় যুবকটি যন্ত্রণায় চিৎকার করছে।

সুইং ভোট কোন দলের বাক্সে যাবে
সুইং ভোট কোন দলের বাক্সে যাবে

সুইং ভোট কোন দলের বাক্সে যাবে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির এই প্রথম প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পেল, সুযোগ পেয়েই শিবির নির্বাচনে সকল ছাত্র সংগঠনকে ধরাশায়ী করে ফেলেছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রদল। অবশ্য ছাত্রদলকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলা ঠিক হয়নি, তারা নিশ্চিত ছিল জিতবে, যেমন আশা করেছিল আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

চুয়ান্ন বছর বয়সেও কেন বাংলাদেশ শিশু রয়ে গেল?
চুয়ান্ন বছর বয়সেও কেন বাংলাদেশ শিশু রয়ে গেল?

চুয়ান্ন বছর বয়সেও কেন বাংলাদেশ শিশু রয়ে গেল?

নির্বাচনমুখী লোকজনের ধারণা নির্বাচন হলে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে, জিডিপি বৃদ্ধি পাবে, বিনিয়োগের মহাপ্লাবন হবে, কলকারখানা বন্ধ হবে না, গ্যাসের সরবরাহে কমতি হবে না, বিদ্যুতের দাম কমবে, লোডশেডিং হবে না, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকবে না, ওয়াজ আর ব্যান্ড সংগীতের আওয়াজে শিক্ষার্থীর মনোযোগ নষ্ট হবে না। আবার কিছু মানুষের ধারণা- নির্বাচন হলেও এগুলোর কিচ্ছু হবে না বরং আবির্ভাব হবে নতুন চোর, ভিন্ন সাজের ডাকাত, অর্থগৃধ্নু দুর্নীতিবাজ, লেবাসধারী ঘুষখোর, নবসাজে অর্থ পাচারকারী। বর্তমান দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী তার ঘুষ দেয়ার কাহিনি শুনিয়েছেন গণশুনানিতে; শুনিয়েছেন বহুতলা ভবনের নকশা অনুমোদনে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বা অনাপত্তি নিতে গিয়ে কীভাবে তাকে হেনস্তা হতে হয়েছে, উল্লেখ করেছেন কীভাবে হজে যাওয়ার ঠিক পূর্বদিন তাকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ঘুষ দেয়া অপরাধ বিধায় ঘুষ দেয়ার কথা কেউ বলে না, ঘুষ ইমানদার লোকদেরও দিতে হয়; কিন্তু প্রমাণ করা কঠিন। প্রমাণ করা গেলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া বোকামি, আইনের অসংখ্য ধারা, কোন ধারা জামিন অযোগ্য তা ঘুষখোর জানে। এগুলো শুধু স্বৈরাচারের আমলে হয় না, নির্বাচিত সরকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায়ও হয়।

...