‘জুলাই সনদ’ ইস্যুতে রাজনৈতিক সংশয় কাটাতে করণীয়
অনেক আশা নিয়ে দেশটা স্বাধীন হলো। গুটিকয় পরিবার ছাড়া স্বাধীনতার জন্য সবাই মূল্য দিয়েছে; কিন্তু স্বাধীনতার ফল পকেটে পুরেছে কিংবা আঁচলে বেঁধেছে হাতেগোনা কিছু পরিবার ও গোষ্ঠী।
অনেক আশা নিয়ে দেশটা স্বাধীন হলো। গুটিকয় পরিবার ছাড়া স্বাধীনতার জন্য সবাই মূল্য দিয়েছে; কিন্তু স্বাধীনতার ফল পকেটে পুরেছে কিংবা আঁচলে বেঁধেছে হাতেগোনা কিছু পরিবার ও গোষ্ঠী।
১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কার বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার। অসাধারণ মৌলিক গবেষণা আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পাঁচটি ক্ষেত্রে যথা পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ফিজিওলজি, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। সুইডেনের রসায়নবিদ আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী এ পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের একটি স্বর্ণপদক, সনদ ও উল্লেখযোগ্য অর্থ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়। মানবজাতির কল্যাণে নিবেদিত বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও শান্তি প্রয়াসীদের এ স্বীকৃতি বিশ্বকে নতুন পথের দিশা দেখায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দুই বছর হতে চলল, গাজায় নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ২১ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজার বৃহত্তম শহর গাজা নগরীতে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। উদ্দেশ্য একটাই, জনবহুল এই নগরী পুরোপুরি খালি করে দখলে নেওয়া। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ও জাগিত নিধন বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
গাজায় যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল দিন দিন আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, ইসরায়েলের অবস্থা কি তবে ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ মতো হচ্ছে?
কোনো দেশের স্বাধীনতার পর সে দেশের জনগণকে শিখতে হয় দেশপ্রেম, নাগরিক দায়িত্ব, মানবিক দায়িত্ব, আত্মনির্ভরশীলতা এবং বিবেকের ব্যবহার। আর আমাদের বাংলাদেশে শেখানো হয়েছে রাজনীতি। যেখানে বর্ণিত সব শব্দই প্রায় অনুপস্থিত। অনুপস্থিত বলেই বিদেশেও দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে আমরা রেহাই পাচ্ছি না। শুধু আমরা নই, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশটাও কলঙ্কিত হচ্ছে। লন্ডন-আমেরিকার মতো এত উন্নত দেশে থেকেও আমাদের অতিমাত্রায় দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদরা উন্নত রাজনীতির বদলে দেশীয় ও দলীয় অসুস্থ সংস্কৃতি ধরে রাখতে চান বা ধরে রেখেছেন। তাতে কেন জানি আমার খুব কষ্ট হয়। দেশের অসুস্থ রাজনীতির কথা আর কি বলব। এই অসুস্থ রাজনীতির অভিজ্ঞতা কমবেশি আমাদের সবারই আছে। সুতরাং আমাদের অতি উৎসাহী ও দেশদরদি প্রবাসী রাজনীতিবিদদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে তারা রাজনীতি করবে ভালো কথা; কিন্তু তা যেন হয় দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে।
আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখনো পুরোপুরি ঐক্য দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর যথেষ্ট টানাপড়েন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। সংগত কারণেই নির্বাচন প্রসঙ্গটি সবার কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠছে। অথচ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য থেকেই গেছে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো যথাযথ ভাবে জনগণের কাছে পৌঁছতে পারছে কি না কিংবা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অথচ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রধান কাজ। দেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য মাঝেমধ্যে এই ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে।