Views Bangladesh Logo
author image

রহমান মৃধা

  • গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

  • থেকে

রহমান মৃধা: গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।
বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কতটা দায় আছে!
বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কতটা দায় আছে!

বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কতটা দায় আছে!

বিশ্ব এখন এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মুখোমুখি। প্রযুক্তি, নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক রূপান্তরের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সামাজিক প্রতিষ্ঠান- পরিবার ও বিবাহের ওপর। একদিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, বিবাহ বন্ধনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার মতো সমাজে পারিবারিক বন্ধনের কাঠামো এখনো টিকে আছে, তবে দ্রুত ভেঙেও পড়ছে।

ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি
ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি

ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি

বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্র, রাজনীতি ও শিক্ষা- সব ক্ষেত্রেই অস্থিরতা, প্রভাব ও অদৃশ্য চাপ কাজ করছে। এর ভেতরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন নতুন করে সামনে এনেছে এক অনিবার্য প্রশ্ন- আমরা কি আদর্শ, শিক্ষা ও সৃজনশীলতার ভিত্তিতে এগোতে চাই, নাকি আবারও পুরোনো দলীয় আধিপত্যের চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকব?

গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার কেন চাঁদাবাজে রূপান্তর হচ্ছে
গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার কেন চাঁদাবাজে রূপান্তর হচ্ছে

গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার কেন চাঁদাবাজে রূপান্তর হচ্ছে

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের গল্প আজকাল পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের ঘোষণায় কিংবা নেতার মুখে মুখে শোনা যায়- ‘দেশ বদলে গেছে’, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান’, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তব’। কথাগুলো শুনতে যেমন চমকপ্রদ, বাস্তবে তেমনই একটা নির্মম প্রশ্নও উঁকি দেয়- এই উন্নয়নের সুবিধাভোগী কারা? এবং উন্নয়ন বলতে আমরা কি কেবল ভবন, সেতু, কিংবা জিডিপি বুঝি, নাকি মানুষ ও মনুষ্যত্বেরও কোনো মানদণ্ড আছে?

প্রবাসী বাঙালির চোখে নতুন বাংলাদেশ
প্রবাসী বাঙালির চোখে নতুন বাংলাদেশ

প্রবাসী বাঙালির চোখে নতুন বাংলাদেশ

আমি একজন গ্রামের ছেলে। কাদামাটির পথ পেরিয়ে, ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, হারিকেনের আলোয় বই পড়ে বড় হয়েছি। গ্রামের স্কুলে কয়েক বছর, তারপর মহকুমা (বর্তমানে জেলা) শহরের এক স্কুলে, এরপর ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (DRMC)- এভাবেই আমার শিক্ষার পথচলা। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে পাড়ি জমাই সুদূর সুইডেনে। তখনো বুঝিনি, জীবনের সবচেয়ে সহজ প্রশ্নগুলো কাউকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, আর সত্য কথা বলাও কখন যেন দোষের হয়ে দাঁড়ায়। বাংলা ভাষা আমি শিখেছি গ্রামে- মায়ের মুখে, মাটির গন্ধে। উচ্চারণ হয়তো শহুরে নয়, কিন্তু হৃদয়ভরা। অনেকের কাছে এই ভাষা ‘ভাঙা’ বলে মনে হতে পারে; কিন্তু এই ভাঙা ভাষাতেই আমি লিখে যাচ্ছি বিগত ১০ বছর ধরে। আমি জানি, শব্দে শুধু ব্যাকরণ নয়, হৃদয়ের সত্তাও লাগে। আমার ভাষা কাগজের জন্য নয়, জীবনের জন্য।

শিক্ষার্থীদের নৈতিক অভ্যুত্থান লুণ্ঠন কেন?
শিক্ষার্থীদের নৈতিক অভ্যুত্থান লুণ্ঠন কেন?

শিক্ষার্থীদের নৈতিক অভ্যুত্থান লুণ্ঠন কেন?

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন আর নিছক শ্রেণিকক্ষের পাঠেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা রাস্তায়, চত্বরে, ডিজিটাল মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে জোরালো কণ্ঠে বলছে- এ দেশের কাঠামোগত বৈষম্য, দুর্নীতি ও সুবিধাবাদ আর চলতে পারে না। এই তরুণদের নৈতিক জাগরণ কেবল একটি সরকারের পতনের প্রতীক নয়, বরং একটি নতুন রাষ্ট্রচিন্তার সূচনা।

সুইডেনের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের বাস্তবতা
সুইডেনের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের বাস্তবতা

সুইডেনের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের বাস্তবতা

বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ কঠিন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে আমরা সংবিধানে গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগোই, অন্যদিকে বাস্তবে রাজনৈতিক দখলদারিত্ব, পরিবারতন্ত্র, দলীয় চাঁদাবাজি এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের বাস্তবতা আমাদের পথরোধ করে। নির্বাচন এখন আর গণরায় নয়- এটি হয়ে উঠেছে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার এক নিষ্ঠুর কৌশল। এই সংকট নিরসনে নির্বাচন পদ্ধতির কাঠামোগত পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্যবহৃত প্রপেশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভিত্তিক পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য এখন একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত বিকল্প। সুইডেনে আমার চার দশকের নাগরিক, গবেষক ও ভোটার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি- কীভাবে PR ভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্র একটি সমাজকে ন্যায়, শান্তি ও প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারে।