Views Bangladesh Logo
author image

রহমান মৃধা

  • গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

  • থেকে

রহমান মৃধা: গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।
এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?
এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?

এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?

এআই প্রযুক্তির বিকাশ আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি স্তরে বিপ্লব এনে দিয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পাশাপাশি এক অদৃশ্য সংকটও জন্ম নিচ্ছে- সত্য ও মিথ্যার সীমারেখা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা এমন এক বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে চোখে দেখা, কানে শোনা বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও পাওয়া তথ্য- সব কিছুই প্রশ্নের মুখে। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মিথ্যাকে সত্যের মতো উপস্থাপন করা যাচ্ছে, আবার সত্যকেও এমনভাবে বিকৃত করা সম্ভব হচ্ছে, যা এক ভয়াবহ বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও কেন নাগরিক উদ্বেগ বাড়ছে!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও কেন নাগরিক উদ্বেগ বাড়ছে!

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও কেন নাগরিক উদ্বেগ বাড়ছে!

আমরা, সাধারণ নাগরিকগণ এই প্রথমবারের মতো একটি গণভোটবিহীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি- যা সংবিধান অনুযায়ী হয়তো কিছুটা বিতর্কিত; কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে একে প্রয়োজনীয় বলেই মেনে নিতে হয়েছে। কারণ, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ কখনোই একটি পূর্ণাঙ্গ, কার্যকর ও টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বরং দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতালিপ্সা, দুর্নীতি, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেশকে এক গভীর আস্থাহীনতার খাদে ঠেলে দিয়েছে।

এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?
এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?

এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?

এআই প্রযুক্তির বিকাশ আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি স্তরে বিপ্লব এনে দিয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পাশাপাশি এক অদৃশ্য সংকটও জন্ম নিচ্ছে- সত্য ও মিথ্যার সীমারেখা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা এমন এক বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে চোখে দেখা, কানে শোনা বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও পাওয়া তথ্য- সব কিছুই প্রশ্নের মুখে। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মিথ্যাকে সত্যের মতো উপস্থাপন করা যাচ্ছে, আবার সত্যকেও এমনভাবে বিকৃত করা সম্ভব হচ্ছে, যা এক ভয়াবহ বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে।

অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি
অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি

অন্যের দিকে তাকানোর আগে আয়নায় চোখ রাখি

যদি একটি জাতির খারাপ হতে ৫৪ বছর লাগে তাহলে এক বছরে কীভাবে ভালো হওয়া সম্ভব? যদি বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, সুশিক্ষিত, ন্যায়পরায়ণ এবং সৃজনশীল হতে চায় তবে সেটা কি মাত্র এক বছরের মধ্যে সম্ভব? প্রকৃত সত্য হলো- ৫৪ বছরের দুর্নীতির আগুন এক বছরে নিভিয়ে ভালো কিছু করা যায় না।

মালিকানার অধিকার থেকে বলছি
মালিকানার অধিকার থেকে বলছি

মালিকানার অধিকার থেকে বলছি

বাংলাদেশে যদি আরেকটি নির্বাচন হয়, তবে শোনো- আমার ভোট আমি দেবো, তুমি না। আমি আমার অধিকার বিক্রি করবো না, কারও গোলাম হবো না। তুমি যদি তোমার ভোট বিক্রি করো, তবে শুধু তুমি নও- আমার মতো কোটি কোটি মানুষকে তুমি গোলাম বানিয়ে দিচ্ছ। আর না! আমি বাংলাদেশে যেতে পারি না, কারণ সেখানে আমার জন্য লাঞ্ছনা অপেক্ষা করে, অপমান অপেক্ষা করে। কেন জানো? কারণ আমি কারও গোলাম নই- হতে পারি না, হতে চাই না! আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, কারও দাসত্ব স্বীকার করার জন্য নয়।

আন্দোলনের পরে নীরবতা, নীরবতার ফাঁকে দুর্নীতি
আন্দোলনের পরে নীরবতা, নীরবতার ফাঁকে দুর্নীতি

আন্দোলনের পরে নীরবতা, নীরবতার ফাঁকে দুর্নীতি

আমরা এক অদ্ভুত জাতি- জেগে উঠতে পারি, প্রতিবাদে ফেটে পড়তে পারি, রাজপথে দাঁড়াতে পারি। কিন্তু সেই আন্দোলনের প্রাপ্তি কি শুধু ব্যানার, পোস্টার আর পুলিশের লাঠিচার্জে সীমাবদ্ধ? আমরা বারবার প্রমাণ করেছি, ‘আমরা পারি’; কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি- আমরা ঠিক কী পারি? আর কী পারি না? কেন পারি না? বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখে আসছি- বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনো কোটা সংস্কারের দাবিতে, কখনো শিক্ষার বৈষম্যের বিরুদ্ধে, কখনো আবার বেতনবৈষম্য, ভর্তি দুর্নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, কিংবা আবাসিক সমস্যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব কিংবা চট্টগ্রামের আন্দোলনস্থলগুলো এসব আন্দোলনের নীরব সাক্ষী।