Views Bangladesh Logo
author image

রহমান মৃধা

  • গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

  • থেকে

রহমান মৃধা: গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।
শিক্ষার্থীদের নৈতিক অভ্যুত্থান লুণ্ঠন কেন?
শিক্ষার্থীদের নৈতিক অভ্যুত্থান লুণ্ঠন কেন?

শিক্ষার্থীদের নৈতিক অভ্যুত্থান লুণ্ঠন কেন?

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন আর নিছক শ্রেণিকক্ষের পাঠেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা রাস্তায়, চত্বরে, ডিজিটাল মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে জোরালো কণ্ঠে বলছে- এ দেশের কাঠামোগত বৈষম্য, দুর্নীতি ও সুবিধাবাদ আর চলতে পারে না। এই তরুণদের নৈতিক জাগরণ কেবল একটি সরকারের পতনের প্রতীক নয়, বরং একটি নতুন রাষ্ট্রচিন্তার সূচনা।

সুইডেনের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের বাস্তবতা
সুইডেনের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের বাস্তবতা

সুইডেনের সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের বাস্তবতা

বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ কঠিন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে আমরা সংবিধানে গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগোই, অন্যদিকে বাস্তবে রাজনৈতিক দখলদারিত্ব, পরিবারতন্ত্র, দলীয় চাঁদাবাজি এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের বাস্তবতা আমাদের পথরোধ করে। নির্বাচন এখন আর গণরায় নয়- এটি হয়ে উঠেছে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার এক নিষ্ঠুর কৌশল। এই সংকট নিরসনে নির্বাচন পদ্ধতির কাঠামোগত পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্যবহৃত প্রপেশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভিত্তিক পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য এখন একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত বিকল্প। সুইডেনে আমার চার দশকের নাগরিক, গবেষক ও ভোটার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি- কীভাবে PR ভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্র একটি সমাজকে ন্যায়, শান্তি ও প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: আস্থার ভঙ্গ ও জবাবদিহির সংকট
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: আস্থার ভঙ্গ ও জবাবদিহির সংকট

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: আস্থার ভঙ্গ ও জবাবদিহির সংকট

গত আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এটি নিজেকে একটি সংস্কারমুখী ও সুশাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রূপান্তরকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল; কিন্তু এক বছরের কাছাকাছি সময় পেরিয়ে গেলেও দেশটি এখন আরও গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত- যেখানে চরম অব্যবস্থাপনা, বেড়ে চলা বৈষম্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে নাগরিক কল্যাণের বিভেদ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে, যা স্থিতিশীলতার সেতু হওয়ার কথা ছিল, তা এখন অনিশ্চয়তার অতল গহ্বরে পতনের রূপ নিচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনগণের সংগ্রাম: একটি নির্ভীক বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনগণের সংগ্রাম: একটি নির্ভীক বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনগণের সংগ্রাম: একটি নির্ভীক বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের নির্বাচন একসময় ছিল গণতন্ত্রের উৎসব, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার এক বহিঃপ্রকাশ; কিন্তু সেই উৎসব আজ অতীতের স্মৃতিমাত্র। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন হয়তো ছিল একটি প্রি-ফিক্সড খেলা, তবে জনগণ সেই উৎসবের আবহ অনুভব করেছিল। এরপর আর কখনো ভোট উৎসব হিসেবে মনে হয়নি। ২০১৪ সালে যেখানে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫৪ আসন পেয়েছিল একদলীয় সরকার, ২০১৮ সালে রাতের ভোটের মাধ্যমে গড়া সংসদ, এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেখানে নাম লেখানোই ছিল একদলীয়, এসব প্রক্রিয়া একথা প্রমাণ করেছে যে, এ দেশে এখন নির্বাচন নামক কিছু নেই।

নৈতিকতা বিসর্জন দেয়া যেন সাফল্যের সবচেয়ে সহজ রাস্তা
নৈতিকতা বিসর্জন দেয়া যেন সাফল্যের সবচেয়ে সহজ রাস্তা

নৈতিকতা বিসর্জন দেয়া যেন সাফল্যের সবচেয়ে সহজ রাস্তা

বাংলাদেশের সমাজে যখন অনৈতিকতা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতায় পরিণত হচ্ছে তখন একজন বিবেকবান মানুষের জীবন হয়ে ওঠে এক নিঃশব্দ প্রতিরোধের গল্প। চারপাশের মানুষ যখন “স্মার্টনেস” আর “চালাকির” আড়ালে প্রতারণাকে সাজিয়ে তোলে তখন সত্যকে ধারণ করা এক ধরনের সামাজিক আত্মদহন। এই দেশে আজ পিতা সন্তানের পরীক্ষার ফল নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, সন্তানের সততা নিয়ে ততটা নন। শিক্ষক হয়েও অনেকে নীতিকথার চেয়ে নোট বিক্রিকে গুরুত্ব দেন। ব্যবসায়ীরা ভেজালকে ‘কৌশল’ হিসেবে উপস্থাপন করেন। রাজনীতি হয়ে উঠেছে জনসেবার নয়, লোভ ও প্রভাব বিস্তারের খেলা। আর এসব ভিড়ের ভেতরে যে কজন মানুষ এখনো সত্য বলার সাহস রাখেন, ন্যায় পথে চলার চেষ্টা করেন- তাদের সমাজ ‘বোকার রাজ্যে রাজা’ বলেই গণ্য করে।

এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?
এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?

এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?

এআই প্রযুক্তির বিকাশ আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি স্তরে বিপ্লব এনে দিয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পাশাপাশি এক অদৃশ্য সংকটও জন্ম নিচ্ছে- সত্য ও মিথ্যার সীমারেখা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা এমন এক বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে চোখে দেখা, কানে শোনা বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও পাওয়া তথ্য- সব কিছুই প্রশ্নের মুখে। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মিথ্যাকে সত্যের মতো উপস্থাপন করা যাচ্ছে, আবার সত্যকেও এমনভাবে বিকৃত করা সম্ভব হচ্ছে, যা এক ভয়াবহ বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে।