Views Bangladesh Logo
author image

এম এ খালেক

  • অর্থনীতি বিষয়ক লেখক

  • থেকে

অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ও অর্থনীতি বিষয়ক লেখক

প্রজাতন্ত্রের একশ্রেণির কর্মকর্তা বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে কেন?
প্রজাতন্ত্রের একশ্রেণির কর্মকর্তা বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে কেন?

প্রজাতন্ত্রের একশ্রেণির কর্মকর্তা বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে কেন?

প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং গতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ নতুন কিছু বিধি সংযোজন করা হবে। প্রথমেই উল্লেখ করা প্রয়োজন, পাবলিক সার্ভেন্ট বা গণকর্মচারীদের সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আখ্যায়িত করার মধ্যেই বিভ্রান্তি রয়েছে। একটি গঠিত হওয়ার জন্য চারটি আবশ্যিক উপকরণের উপস্থিতি প্রয়োজন হয়। এগুলো হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, জনসংখ্যা এবং সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল এবং একমাত্র পরিবর্তনশীল উপকরণ হচ্ছে সরকার। অবশিষ্ট উপকরণগুলো পরিবর্তিত হয় না।

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করলে যে ধরনের অভিঘাত সৃষ্টি হবে
মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করলে যে ধরনের অভিঘাত সৃষ্টি হবে

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করলে যে ধরনের অভিঘাত সৃষ্টি হবে

ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশ ব্যাংক অবশেষে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ১৫ মে থেকে সিডিউল ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নিজেরাই নির্ধারণ করছে

বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন ব্যতীত শুধু বিনিয়োগ সম্মেলন করে লাভ হবে না
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন ব্যতীত শুধু বিনিয়োগ সম্মেলন করে লাভ হবে না

বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন ব্যতীত শুধু বিনিয়োগ সম্মেলন করে লাভ হবে না

সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই বিনিয়োগ সম্মেলন নানা কারণেই ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলনে আগত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মোট ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব থেকে পাইপলাইনে থাকা কিছু বিনিয়োগ প্রস্তাবও রয়েছে। এটা অবশ্যই অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। বিশ্বব্যাপী যখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এমন এক পরিস্থিতিতে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া সত্যি আশা জাগানিয়া একটি সংবাদ। অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, খুব শিগগিরই চীনের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। তার এই সফরকালে ২০০ জন বিনিয়োগকারীও বাংলাদেশে আসবেন। প্রাপ্ত সংবাদগুলো যে কোনো বিচারেই উল্লেখের দাবি রাখে।

মার্কিন শুল্কনীতি যে কারণে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে
মার্কিন শুল্কনীতি যে কারণে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে

মার্কিন শুল্কনীতি যে কারণে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমদানিকৃত সব ধরনের গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকায় ভারতীয় গাড়ি ব্যবসায়ের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। এতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে। ভারতে উৎপাদিত গাড়ির এক পঞ্চমাংশই আসে রপ্তানি থেকে। এর মধ্যে ২৭ শতাংশই আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এটা শুধু গাড়ি শিল্পের ক্ষতির পরিসংখ্যান সাধারণভাবে যে বর্ধিত শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া কতটা হবে তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ: বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ: বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ: বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হবার জন্য যে তিনটি আবশ্যিক শর্ত পরিপালন করতে হয়, বাংলাদেশ তার সবই বেশ ভালোভাবে পূরণ করেছে। এরপর কয়েক বছর পর্যবেক্ষণে ছিল বাংলাদেশ। আগামী বছর (২০২৬) বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হবে। স্বাধীনতার পর থেকে এটাই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অর্জন। কোনো দেশই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের চিরদিন ধরে রাখতে চায় না। প্রতিটি দেশেরই আকাঙ্ক্ষা থাকে কীভাবে এবং কত দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়া যায়। একটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকলে উন্নত দেশগুলো থেকে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়; কিন্তু সেটা কোনোভাবেই মর্যাদাপূর্ণ নয়। বরং এক ধরনের করুণা থেকেই এটা করা হয়। কোনো দেশই স্বল্পোন্নত বা দরিদ্র দেশ হিসেবে থাকতে চায় না। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হতে পারা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাকর।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কিছু কথা
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কিছু কথা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কিছু কথা

আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জন্য জাতীয় বাজেট প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে জুন মাসের ৫ তারিখ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বর্তমানে যেহেতু জাতীয় সংসদ কার্যকর নেই, তাই আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কাছে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে সামরিক শাসনামল এবং ২০০৭-০৮ এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছর ছাড়া প্রতি বছরই বাজেট জাতীয় সংসদের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নানা কারণেই ভিন্নতর হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক সরকার আমলে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা থাকে। সেখানে দলীয় নেতাদের তোষণ করার জন্য এমন কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয় বাস্তবে যার কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।

...