উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তিকর শর্ত প্রত্যাখ্যান করতে হবে
বিগত সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল।
বিগত সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল।
আমরা কথায় কথায় বলে থাকি, ‘অর্থই সকল অনর্থের মূল’ অথবা ‘টাকা-পয়সা হাতের ময়লা।’ এভাবে নানা প্রক্রিয়ায় আমরা অর্থকে অবমূল্যায়ন করে থাকি; কিন্তু বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, অর্থ কোনোভাবেই অনর্থের মূল নয়। বরং অর্থ হচ্ছে সকল জাগতিক ক্ষমতার উৎস। বর্তমান যুগে অর্থ ছাড়া এক মুহূর্তও চলা যায় না। যারা বাস্তুববাদী তারা বলেন, ‘মানি ইজ সেকেন্ড গড।’ এ কথায় অতিরঞ্জন থাকলেও একেবারে মিথ্যে বলা যাবে না। কোনো কিছু পেতে হলে অর্থের প্রয়োজন। কাউকে কিছু দিতে হলেও অর্থের প্রয়োজন। মার্সিডিস গাড়ি অথবা বিএমডব্লিউ গাড়ির দাম কয়েক কোটি টাকা; কিন্তু সেই গাড়ি যতই মূল্যবান হোক না কেন স্বল্প মূল্যের জ্বালানি তেল ছাড়া সেই গাড়ি অচল
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধির গতি। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক বিমান এফটি-৭ বিজিআই দুর্ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩১ জন নিহত এবং অন্তত ১৬৫ জন আহত হয়েছে। আহত এবং নিহতদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। যারা আহত হয়েছে, তাদের অনেকেরই অবস্থা খুবই খারাপ। ২০১৩ সালে এই বিমানটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছিল। এই বিমানের রেঞ্জ হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার। বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে। উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিট পর বিমান উড্ডয়নের পর ৯ মিনিটের মাথায় উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের ওপর দুর্ঘটনায় পতিত হলে স্কুল ভবনে আগুন লেগে যায়। বাচ্চাদের আর্তচিৎকারে পুরো এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য যে তিনটি আবশ্যিক শর্ত পরিপালন করতে হয় বাংলাদেশ তার সবগুলোই বেশ ভালোভাবে পূরণ করেছে। এরপর কয়েক বছর পর্যবেক্ষণে ছিল বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ইস্যুটি সবচেয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তা হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা। কোনোভাবেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছিল না। করোনা-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি যখন উত্তরণের পর্যায়ে ছিল ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ফলে পরিবহন সংকটজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার বছর বিশ্বের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। তাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকে পণ্য উৎপাদন ঘাটতিজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।