Views Bangladesh Logo
author image

আবদুল গাফফার রনি

  • বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক

  • থেকে

বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক

চা নিয়ে রাজনীতি ও মাস্টার অব নাইট্রাইট
চা নিয়ে রাজনীতি ও মাস্টার অব নাইট্রাইট

চা নিয়ে রাজনীতি ও মাস্টার অব নাইট্রাইট

যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা- আচার্য প্রফুল্ল রায়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমন ঘটেছিল। তিনি বিলেতে পড়াশোনা করেছিলেন। বিজ্ঞানী হিসেবে নাম করেছিলেন সেখানেই। তবু ব্রিটিশ আধিপত্যবাদের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। এ দেশে স্বদেশী আন্দোলন যখন জোরদার হচ্ছে, তখন ব্রিটিশ বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছিলেন বিজ্ঞানের এই অগ্রদূত। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। গোলাবারুদ, নীল চাষের পর ব্রিটিশরা এ দেশের ভূমিতে চায়ের চাষ শুরু করে। আর সেই চা বিদেশে তো রপ্তানি করাই হতো; কিন্তু বিশাল ভারতবর্ষ কি কম বড় বাজার।

প্রেম, রাজনীতি এবং গ্যালোয়া ট্র্যাজেডি
প্রেম, রাজনীতি এবং গ্যালোয়া ট্র্যাজেডি

প্রেম, রাজনীতি এবং গ্যালোয়া ট্র্যাজেডি

প্রেম মানুষকে অমর করে, ভালোবাসতে শেখায়, প্রেম থেকেই মানুষ পৃথিবী গড়ার অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রেম পবিত্র, প্রেম সুন্দর আবার সেই কখনো নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। প্রেমই প্রতারণার জাল বিছিয়ে মানব জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। কত প্রাণ প্রেমের বিশ্বাসঘাতকতার বলি হয়ে প্রতি বছর ঝরে পড়ে, তার খবর কে রাখে? সাধারণ মানুষের প্রেম-প্রতারণা হয়ত সমাজে অতটা প্রভাব ফেলে, কোনো এক শহরে অখ্যাত কোণে কিংবা অজপাড়াগাঁয়ে প্রতারিত প্রেমিক জীবন শেষ হয়ে গেল, তার খবর পৃথিবীকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করে না; কিন্তু মুখোশ প্রেমের বলি হয়ে যদি প্রাণ যায়, এমন এক মানুষের যার কাছে, গণিত বিজ্ঞান কিংবা পৃথিবী ঋণী, সেই বিশ্বাসঘাতকতার কালিমালিপ্ত প্রেমের করুণ কাহিনি, যুগ যুগ ধরে কিংবা শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে এসেও পৃথিবী সেই কলঙ্ক মুছতে পারে না৷

বাংলার বারুদে ইউরোপে লড়াই
বাংলার বারুদে ইউরোপে লড়াই

বাংলার বারুদে ইউরোপে লড়াই

পূবের সূর্য যখন অস্ত যায়, পশ্চিমের আকাশ তখন রেঙে ওঠে ভোরের আলোয়। আজ পশ্চিমা অস্ত্রে মধ্যপ্রাচ্য কাঁপছে, ওয়াঘার দুপ্রান্তে বিদেশি বিমান কিংবা ড্রোনের আঘাতে জ্বলছে সাবেক ভারতের দুটি অংশ। অথচ সেকালের ভারত কিংবা মধ্যযুগের বাংলার অস্ত্রে কেঁপে উঠেছিল ইউরোপের মাটি।

অমরত্ব, শোরা ও বাংলার প্রথম যুদ্ধাস্ত্র
অমরত্ব, শোরা ও বাংলার প্রথম যুদ্ধাস্ত্র

অমরত্ব, শোরা ও বাংলার প্রথম যুদ্ধাস্ত্র

উজবেকিস্তানের ফারগানার শাসক ছিলেন তার বাবা। ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হটিয়ে মসনদের দখল নেয়। রাজা মারা পড়েন। ছেলে আশ্রয় নেন গহিন অরণ্যেঘেরা দুর্গম পাহাড়ে। সেখান থেকেই ঝটিকা আক্রমণে ছোট ছোট কাফেলা জয় করে সৈন্য ও সম্পদ জোগাড় করেন। একের পর সফল আক্রমণ তাকে আরও শক্তিশালী করে। পরে পুনরুদ্ধার করেন ফারগানাও। আরও শক্তিশালী হন, আরও দক্ষিণে এগিয়ে আসেন। এক সময় পুরো আফগানিস্তানও জয় করেন। তখন পাখির চোখে দেখেন ভারতবর্ষকে। স্বপ্ন আরও বড় হয়। সৈন্য-সামন্তের বিশাল বহর নিয়ে চলে আসেন সিন্ধু নদের কিনারায়। ভারতবর্ষের মসনদে তখন ইব্রাহিম লোদী। ডাকসাইটে সম্রাট। তাকে পরাস্ত করতে তাই বিশেষ কিছুর দরকার ছিল। সেই বিশেষ কিছু যুবকটি পেয়েছেন তুর্কিদের কাছ থেকে। বিশাল এক লোহার পাইপ। দুপাশে দুটি চাকা।

আধা খাওয়া আপেল, বিশ্বযুদ্ধ ও অ্যালান টুরিং
আধা খাওয়া আপেল, বিশ্বযুদ্ধ ও অ্যালান টুরিং

আধা খাওয়া আপেল, বিশ্বযুদ্ধ ও অ্যালান টুরিং

‘যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যা তারায় আমার খবর পুছবে...’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার মতো যুক্তরাজ্যের সরকার যেদিন তার ভুল স্বীকার করে, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এর সাড়ে পাঁচ দশক আগে নিজের জীবনের ইতি টেনেছেন আধুনিক কম্পিউটারের তাত্ত্বিক প্রবক্তা অ্যালান টুরিং। সালটা ২০০৯। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেন, ১৯৫০-এর দশকে ভুল করেছিল যুক্তরাজ্য সরকার। ভুল ছিল যুক্তরাজ্যের বিচার ও আইন ব্যবস্থায়। তাই আমাদের ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাধর মানুষটাকে ভুল বিচারে ভুল দণ্ড দেওয়া হয়। এ জন্য যুক্তরাজ্য সরকার লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

রুশ-মার্কিন পরমাণুযুদ্ধ এবং একজন ওপেনহাইমার
রুশ-মার্কিন পরমাণুযুদ্ধ এবং একজন ওপেনহাইমার

রুশ-মার্কিন পরমাণুযুদ্ধ এবং একজন ওপেনহাইমার

রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন- এ প্রবাদের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে; কিন্তু হিরোসিমা-নাগাসাকিতে যখন নিউক্লিয়ার বোমার তাণ্ডবনৃত্য চলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান তখন বিজয়ে হাসি হাসছেন। সেটা এতটাই দৃষ্টিকটুভাবে যে, তাদের নিউক্লিয়ার বোমা প্রকল্পের প্রধান ওপেনহাইমারকে অপমান করতে এতটুকু বাঁধেনি তার।