জিয়াউর রহমান
খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা এরশাদবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছেন
লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। একাধারে তিনি ইতিহাসবেত্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন, বিশ্লেষণ ও গবেষণা করেছেন- তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক লেখক, যিনি ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ‘তিয়াত্তরের নির্বাচন’ নামে একটি বই। লিখেছেন ‘লাল সন্ত্রাস: সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’, ‘প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন পথে’, ‘জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখনো লিখে চলেছেন।
প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করুন
পলিটিক্স গ্রন্থে রাজনীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে অ্যারিস্টটল বলেছেন, রাজনীতি হচ্ছে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিভিন্ন পক্ষের সন্ত্রাসবিহীন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান। বহু দ্বন্দ্ব-বিরোধ, রক্তপাত, সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে মানুষের এই সভ্যতা একটি সুষ্ঠু-সুন্দর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। অনেক তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই প্রাচীন গ্রিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক ইউরোপীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে। পৃথিবীতে এখন যতগুলো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আছে তার মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই সবচেয়ে বেশি কাম্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে আসলে আর কিছুই থাকে না।
ভুল স্বীকারে ক্ষমা হতে পারে না, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি
‘কমন সেন্স’ এর সাধারণ বাংলা অর্থ হলো স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি। যে কোনো বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরই সেটা থাকা জরুরি। তা নাহলে সব কাজেই সে গোলমাল পাকিয়ে ফেলে। যারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন তাদের কমনসেন্স থাকা আরো বেশি জরুরি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য বোধহয় ওই সাধারণ বিচারবুদ্ধিটুকু হারিয়ে ফেলেছেন। তারা মাঝে মাঝে এমন কিছু ‘কাণ্ড’ করেন যা শুনলে হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। যেমন গতকালের একটি সংবাদ আমাদের বিমূঢ় করে দিল।