হিংসা
হঠাৎ কেন নেপালে তরুণদের রক্তাক্ত বিক্ষোভ, রহস্য কী?
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নেপাল ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্য সুপরিচিত হলেও রাষ্ট্র হিসেবে এর যাত্রাপথ মোটেও মসৃণ নয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি নানা রাজনৈতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে। কখনো রাজতন্ত্র, কখনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, আবার কখনো সামরিক প্রভাব- নানা ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হওয়ার পর নেপালবাসী এক নতুন ভবিষ্যতের আশায় বুক বেঁধেছিল। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, বহু বছরের অস্থিরতার পর এবার দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতি কমবে, উন্নয়ন হবে সমভাবে সবার জন্য, আর রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে স্বচ্ছতা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি।
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ
এক বছর আগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন ভারতে। সেই উত্তাল দিনগুলোতে দেশের রাস্তায় গর্জে ওঠা স্লোগান ছিল—‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র চাই’, ‘সবার জন্য সমান অধিকার চাই।’ ঠিক তিন দিন পর, ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।