ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা
ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিষিদ্ধ লেজার লাইট
রাজধানী ঢাকার রাত। লাল-নীল বাতি জ্বলে ওঠে মোড়ে মোড়ে। গাড়ির হর্নে থেমে থাকে না কোলাহল। মানুষের ব্যস্ততা ছড়িয়ে থাকে অন্ধকারেও। হঠাৎই এক ঝলক আলো ছুটে আসে চোখের দিকে- যেন বিদ্যুতের দাহ, যেন সূর্যের তীব্র ঝলক অথচ দুটির কোনোটিই নয়। এটি লেজার লাইট। আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই বিপজ্জনক আলোর রশ্মি এখন রাজধানীর ট্রাফিক পুলিশের হাতেই ঝলমল করছে। ক্ষণিকের জন্য অন্ধ করে দেয় দৃষ্টি, থামিয়ে দেয় গতি আর ঝুঁকির মুখে ফেলে অসংখ্য মানুষের জীবন।
যানজট নিরসনে সিগন্যাল বাতির কার্যকারিতা বাস্তবায়ন করুন
বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। যতবার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করে ততবারই তা ব্যর্থ হয়। এ যেন ফুটো পাত্রে পানি রাখার মতোই ব্যাপার। একদিকে পানি ঢালা হচ্ছে আরেকদিক দিয়ে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলাফল সেই শূন্য। এর মধ্যে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা আনতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উচ্চ আদালত মোড় থেকে শাহবাগ-বিজয় সরণি হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় ২২টি নতুন মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হচ্ছে। সাতটি মোড়ে সিগন্যাল স্থাপন শেষে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ভরসা সেই সনাতনী হাতের ইশারা।