সোভিয়েত ইউনিয়ন
কর্মের মধ্যে কমরেড যতীন সরকার বেঁচে থাকবেন
অধ্যাপক যতীন সরকার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি তেমন বিত্তবান ঘরের সন্তান ছিলেন না; কিন্তু জ্ঞানের ঐশ্বর্যে তিনি ছিলেন বিত্তবান। ছিলেন প্রান্তজন। ছোটবেলা থেকেই খুব কষ্ট করে বড় হয়েছেন। লেখাপড়াও করেছেন খুব কষ্টের মধ্যে; কিন্তু চিন্তার দিক থেকে তিনি যখন মার্কসবাদ চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত হন, তখন তার বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হয়। আমৃত্যু তিনি মার্কসবাদ, লেলিনবাদী দর্শনে বিশ্বাস করতেন; কিন্তু চর্চার দিক থেকে তিনি ছিলেন লোকজ। চর্চার দিক থেকে তিনি কোনো ডগমেটিক ছিলেন না। মতান্ধ ছিলেন না। নতুনকে ধারণ করার ক্ষমতা ওনার মধ্যে ছিল প্রবল।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা এবং তারপর...
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মৌলবাদী শক্তির উত্থানের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা একটি কারণ তো বটেই, তারা তো কোনো কিছু দিতে পারল না। তরুণদের ভবিষ্যতের স্বপ্নটা দেখাতে পারলেন না। স্বপ্ন তো বাস্তবায়িত হলো না, এটা এক। দ্বিতীয় হচ্ছে যে, বেকারত্ব বেড়েছে, দারিদ্র্য বেড়েছে। যখন মানুষ বেকার হয়, দরিদ্র হয় তখন সে আশ্রয় খোঁজে, ভরসা খোঁজে; কিন্তু এখানে আশ্রয় এবং ভরসা সমাজ ও রাষ্ট্র তাকে দিচ্ছে না। মানুষ নিজেই নিজের জন্য সংগ্রাম করছে, বেকার থাকছে, হতাশায় ভুগছে, সে সুবিচার পাচ্ছে না, আশ্রয় পাচ্ছে না। সুবিচারের জন্য, আশ্রয়ের জন্য, সে তখন ধর্মের কাছে যায়। এই আশায় যে ধর্মে একালে না হলেও পরকালে একটা বিচার পাবে।