শিল্পকলা একাডেমি
বিভুরঞ্জন সরকারের বিদায়ই কি শেষ বিদায়, নাকি তারপরও আছে!
২১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নিখোঁজের সংবাদ প্রথমে পাই লেখক লিনু হকের ফেসবুক পোস্ট থেকে, কিছুক্ষণ পর দেখলাম সারা ফেসবুকে তার নিখোঁজের সংবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাসমেট ও রাজনৈতিক আদর্শের সতীর্থ জীবন কৃষ্ণ সাহাকে ফোন করলাম; কিন্তু তিনি বিভুরঞ্জন সরকারের বাসা কোথায় তা বলতে পারলেন না। বুঝলাম, সমাজে বিভুরঞ্জন সরকারের প্রয়োজন অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে।
মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করুন
বিগত সরকারগুলো আমলে সংস্কৃতি অঙ্গনে ছিল লেজুড়বৃত্তি আর কর্তৃত্ববাদী শিল্পচর্চার রাজত্ব। দলীয় নেতাকর্মী আর তথাকথিত শিল্পীরাই সেখানে প্রাধান্য পেয়েছেন। দেশের সরকারি রেডিও-টেলিভিশন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সবই ছিল তাদের দখলে। অশিল্পীরাও সেখানে শিল্পী হিসেবে স্থান পেয়েছেন। এখন সময় এসেছে সংস্কৃতিঅঙ্গনকে লেজুড়বৃত্তিমুক্ত করার। সব কর্তৃত্ববাদী শিল্পচর্চার অবসান ঘটানোর।
দেশের ২২ জেলায় শিল্পকলায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন-লুটপাট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দেশের অন্তত ২২ জেলা ও উপজেলার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।