নন্দন
ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান : স্মৃতি, সত্তা ও ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন একটি ক্ষুরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে হয়। আমার কাছে সংস্কৃতি শুধু গানবাজনা-নাচনাটক ইত্যাদি নয়, তা মানবের এই ভূপ্রকৃতির ওপর যা কিছু কর্ম, নির্মাণ ও পরিবর্তন, তার সব কিছু। কৃষিও সংস্কৃতি, রন্ধনও সংস্কৃতি, ফলে মৎস্য শিকারও সংস্কৃতি। তাই সম্প্রতি যে ৯৫ জন নিশানা ভুলে বাংলাদেশের সমুদ্রে চলে গিয়ে ওদেশের পুলিশের হাতে বন্দি হয়েছিলেন এবং শুনলাম প্রচুর পিটুনি খেয়ে ফিরে এসেছেন- সেটাকে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের অংশ হিসেবে দেখব কি না জানি না। হলেও ‘বৈধ’ আর দুই দেশের পরস্পরের ইচ্ছাধীন আর অভিপ্রেত আদান-প্রদানের উদাহরণ হিসেবে নিশ্চয়ই নয়।
প্রিয় উমা, প্রিয় দুর্গা
দুর্গা মারা গেছে। হরিহরের পরিবার চলে যাচ্ছে নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম ছেড়ে। স্মৃতিবিজড়িত গ্রাম ছেড়ে অপু চলে যাবে অনেক দূরে, কলকাতায়। মালপত্র সব গরুর গাড়িতে তোলা হচ্ছে। মা-বাবা ব্যস্ত। অপু ভাবল, সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার গোপন জিনিস কী কী আছে দেখা যাক। উঁচু তাকের ওপর একটা মাটির কলসি সরাতে গিয়ে কী একটা জিনিস গড়িয়ে পড়ল নিচে। অপু দেখল একটা সোনার কৌটা, যেটা আর বছর দুর্গা সেজ ঠাকরুনের বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছিল।