Views Bangladesh Logo

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন
মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন

দেশ ও রাজনীতি

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ঘটনা আর যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা করুন

দেশজুড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় হতভম্ব এবং শিউরে উঠেছে যে, তাদের সন্তানরা স্কুলে এবং কলেজে কতখানি ঝুঁকিমুক্ত এবং সুরক্ষিত। দুর্ঘটনার ব্যাপ্তি এবং সীমা দেখে বলাই বাহুল্য- দেশের জননিরাপত্তা একেবারেই সুরক্ষিত নয়, এ ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ। আর আধাঘণ্টা পর ঘটনাটি ঘটলেও হয়ত অনেক শিশু এবং কিশোর বেঁচে যেত; কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস যখন আর মাত্র কিছু সময় পড়ে তারা মা-বাবা বা কোনো গুরুজনের কোলে চড়ে গল্প করতে করতে বাড়ির দিকে রওয়ানা হবে, তার মাত্র কিছু সময় আগে অর্থাৎ যখন শিক্ষকরা তাদের নিত্যদিনের মতো লাইনে দাঁড় করিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি করছিল, তখনই এরকম স্মরণকালের একটি অতীব দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল।

ছাত্রদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হতে দেয়া যাবে না
ছাত্রদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হতে দেয়া যাবে না

দেশ ও রাজনীতি

ছাত্রদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হতে দেয়া যাবে না

ছাত্রসমাজ একটি জাতির সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও গতিশীল অংশ। তাদের মধ্যে থাকে আদর্শবাদ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস, এবং পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার এক প্রকার স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব। তারা কেবল একটি নির্দিষ্ট বয়সের জনগোষ্ঠী নয়, বরং পরিবর্তনের বার্তাবাহক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। আমাদের দেশের ইতিহাসে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায়- বাংলা ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্ররাই। তারা ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে জাতির প্রহরী।

বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের ট্রমা দূর করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি
বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের ট্রমা দূর করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি

সম্পাদকীয় মতামত

বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের ট্রমা দূর করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি

রাজধানীর দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান আছড়ে পড়ে ৩২ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহতের ঘটনায় পুরো জাতিই একপ্রকার ট্রমায় আক্রান্ত হয়েছে। দুদিন ধরে অনেকেই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন। অনেক শিশু বিমান উড়ে যাবার শব্দ শুনলেই ভয় পাচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের কথা ভাবুন। যারা চোখের সামনে এরকম ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা দেখেছে। দেখেছে প্রিয় বন্ধুদের মৃত্যু। শুধু আহতরাই না, যারা কোনো আঘাত না পেয়ে শারীরিকভাবে সুস্থ আছে, ঘটনা থেকে দূরে ছিল, কিন্তু ওই স্কুলেরই শিক্ষার্থী তাদেরও মানসিক দিকটা সহজেই বোঝা যায়।

মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কেন এমন অপরাজনীতি
মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কেন এমন অপরাজনীতি

সম্পাদকীয় মতামত

মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কেন এমন অপরাজনীতি

গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় যখন একের পর এক কোমলমতি শিশুদের মৃতদেহ ও দগ্ধ আহতদেহ বেরিয়ে আসছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত ছিল তাদের উদ্ধার তৎপরতায়, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত শিশুদের নিয়ে ছুটছিল হাসপাতালে হাসপাতালে, ডাক্তার-নার্সরা ছোটাছুটি করছিল এসব যন্ত্রণাকাতর শিশুদের কত দ্রুত সেবা দেয়া যায় তখনই আমরা দেখলাম দেশের কতিপয় রাজনীতিবিদ হাসপাতালে গিয়ে ভিড় করেছেন। তাদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের চারপাশে ভিড় আরও বেড়ে যায়। আহতদের নিয়ে যাতায়াত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকের প্রশ্ন, এ সময় রাজনীতিবিদরা হাসপাতালে কী চান? তারা কি প্রচারণার জন্য এসেছেন? জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

ট্রেন্ডিং ভিউজ