জীবনানন্দ দাশ
লুটপাট কোন ধরনের প্রতিবাদ?
প্রতি মুহূর্তে আকাশ থেকে আগুন ঝরছে, প্রতিটি ঘরে শোকের ছায়া। হাসপাতালগুলোর মেঝেতে সারি সারি রক্তাক্ত লাশ। নবজাতক শিশুরা অক্সিজেনের অভাবে মায়ের কোলে মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চিকিৎসকরা চাপা পড়ে যাচ্ছেন, অথচ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকায়। শিশুদের কান্না, মায়েদের আর্তনাদ, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে মানবতা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে পঞ্চাশের দশকেই যা ভেবেছিলেন জীবনানন্দ
জীবদ্দশায় মূলত কবি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া জীবনানন্দ দাশ যে একজন উপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, গ্রন্থ সমালোচক এবং অনুবাদকও বটে, সেই পরিচয়গুলো উন্মোচিত হয় তার মৃত্যুর পরে। এ পর্যন্ত তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে যেসব গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জীবনানন্দ দাশ তার জীবদ্দশায় মাত্র ৩৭২টি কবিতা মুদ্রিত আকারে দেখে যেতে পারলেও তার আবিষ্কৃত কবিতার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। শুধু তা-ই নয়, এখন পর্যন্ত তার ১৯টি উপন্যাস, ১২৭টি গল্প, ৭৯টি প্রবন্ধ-নিবন্ধ-আলোচনা-ব্যক্তিগত রচনা, ৫৬টি খাতাভর্তি ৪ হাজার পৃষ্ঠার ডায়েরি, দেড়শোর মতো চিঠিপত্র এবং চিঠির খসড়া পাওয়া গেছে। (গৌতম মিত্র, পাণ্ডুলিপি থেকে ডায়েরি প্রথম খণ্ড, ঋত প্রকাশন/২০১৯, পৃ. ২০)।