জাতীয় পার্টি
সহিংসতাহীন নির্বাচন নিশ্চিত করতে আগেভাগে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন
নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে । ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে মাঠ গরম হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোও উঠেপড়ে লেগেছে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। সে অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোড ম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তপশিল ঘোষণা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।
বিএনপি কেন পিআরের বিরুদ্ধে?
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি হেরে যাবে আর জামায়াত ক্ষমতায় আসবে- এরকম ধারণা হয়তো অনেকের মনে আছে। সত্যি কি তা-ই এবং বিএনপি কি এ কারণেই পিআর পদ্ধতির বিরোধী?
জাতীয় সংসদ নির্বাচন জরিপের সত্য-মিথ্যা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দেবেন ১২ শতাংশ মানুষ। জামায়াতকে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে ভোট দেবেন ২ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ। আর যদি আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ নিতে পারে তাহলে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ তাদের ভোট দেবেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি পাবে শূন্য দশমিক ৩০ এবং অন্যান্য ইসলামী দল শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট। সম্প্রতি ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) একটি জরিপে উঠে এসেছে এই চিত্র। এতে গ্রাম ও শহরের নানা শ্রেণি-পেশার ৫ হাজার ৪৮৯ জন মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কথা দিয়ে লেখা শুরু করি; তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ তার মতে এই নির্বাচন হবে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার প্রতিটি কথায় বিন্যস্ত ছন্দের শৈল্পিক দোলা থাকা, শ্রোতা মুগ্ধ হয়, ভক্তের সংখ্যা বাড়ে; কিন্তু বিশ্বাস হয় না।
ঐকমত্য কমিশন: বিএনপি না মানলে কী হবে?
রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন; কিন্তু গত ১১ জুলাই কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখার সিরিয়াল পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তার প্রশ্ন, ‘বিএনপি কি ৫ নম্বর দল যে তাকে ৫ নম্বরে গিয়ে কথা বলতে হবে?’
দেশে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা কতটা যৌক্তিক?
বলা হয়, মানুষ যখন বিদেশে থাকে তখন তার কাছে দেশ অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। সে তখন দেশকে অনেক বেশি ফিল করে, মিস করে। প্রবাসে থাকা কবি মুজিব ইরমের একটি কবিতার লাইন: ‘পরদেশে থাকি করি নিজ দেশে বাস।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠন শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। দল গঠনের এই উদ্যোগকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি ছাত্র আন্দোলন মনে হলেও, বাস্তবে এর রাজনৈতিক অভিসন্ধি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সব দলীয় সরকারই অন্য সরকারের অবদানকে কেন অস্বীকার করে?
জুলাই এবং আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিজয়ে বড় ভাগ বসাতে চায় বিএনপি; জামায়াতে ইসলামও চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জামায়াতকে স্বীকৃতি দিলেও বিএনপিকে বেশি কৃতিত্ব দিতে আগ্রহী নয়। তাই দুপক্ষের মধ্যে মাঝে মাঝে বাকযুদ্ধ হয়। বিএনপি মনে করে তারা পনেরো বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে, তাদের সংগ্রাম অব্যাহত না থাকলে শুধু জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সম্ভব হতো না। কথাটি মিথ্যা নয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়ার ফলে ১৬ ডিসেম্বরে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু
ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংসদে ‘দ্রুত বিচার আইন’ স্থায়ী করে বিল পাশ
মাত্র ২৪ মিনিটের মধ্যে জাতীয় সংসদে পাশ হলো ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০২৪। তবে বিলটি পাশের আগে এ আইনটি স্থায়ীকরণের বিরোধীকতা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নুসহ মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং হাফিজ উদ্দিন আহেম্মদ। পরে তাদের আপত্তি কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।