Views Bangladesh Logo

অন্তর্বর্তী সরকার

ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি
ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি

দেশ ও রাজনীতি

ডাকসু নির্বাচন থেকে অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি

বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্র, রাজনীতি ও শিক্ষা- সব ক্ষেত্রেই অস্থিরতা, প্রভাব ও অদৃশ্য চাপ কাজ করছে। এর ভেতরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন নতুন করে সামনে এনেছে এক অনিবার্য প্রশ্ন- আমরা কি আদর্শ, শিক্ষা ও সৃজনশীলতার ভিত্তিতে এগোতে চাই, নাকি আবারও পুরোনো দলীয় আধিপত্যের চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকব?

জাতীয় নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলের ফাঁদে যেন না পড়ে
জাতীয় নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলের ফাঁদে যেন না পড়ে

দেশ ও রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলের ফাঁদে যেন না পড়ে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। সেই নির্বাচন যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা পায় সেটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এ নিয়ে জনগণ বিগত সরকারের ওপর প্রচণ্ডরকম ক্ষুব্ধ ছিল। তাই তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকটের জটিলতা কাটাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ বাড়াতে হবে
রোহিঙ্গা সংকটের জটিলতা কাটাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ বাড়াতে হবে

সম্পাদকীয় মতামত

রোহিঙ্গা সংকটের জটিলতা কাটাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ বাড়াতে হবে

মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যে বাংলাদেশে বড় ধরনের সংকটের জন্ম দেবে তা কয়েক বছর ধরেই আশঙ্কা করা যাচ্ছিল। দিন দিন সেই আশঙ্কা সত্য হচ্ছে। কয়েকবার চেষ্টা করেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সরকার বলা যায় কি?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সরকার বলা যায় কি?

দেশ ও রাজনীতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সরকার বলা যায় কি?

২o২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান। এটাকে অনেকে বিপ্লব বলার চেষ্টা করেন; কিন্তু এটাকে বিপ্লব বলার কোনো সুযোগ নেই, এটা একটা স্রেফ গণঅভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থানের শুরুটা হয়েছিল চাকরিক্ষেত্রে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন করতে গিয়ে সরকার জুলাই ম্যাসাকার সংঘটিত করে। ফলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটি প্রথমে ‘নয় দফা’ এবং পরবর্তীতে ‘এক দফা’র আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক

দেশ ও রাজনীতি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কথা দিয়ে লেখা শুরু করি; তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ তার মতে এই নির্বাচন হবে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার প্রতিটি কথায় বিন্যস্ত ছন্দের শৈল্পিক দোলা থাকা, শ্রোতা মুগ্ধ হয়, ভক্তের সংখ্যা বাড়ে; কিন্তু বিশ্বাস হয় না।

বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!
বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!

দেশ ও রাজনীতি

বিশ্বব্যাপী মার্কিনিদের প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হলো!

অনেক দৌড়ঝাঁপের পর তৃতীয় দফার আলোচনায় মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রির ওপর আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৭টি দেশের ওপর ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপ করেছিলেন; জুলাই মাসের মধ্যে দেশের সংখ্যা বেড়ে হয় ৯০টিরও অধিক। ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর এই নীতি গ্রহণের পূর্বে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল; নতুন নীতিতে বৃদ্ধি করা হয়েছিল আরও ৩৫ শতাংশ, দুটি মিলে হয়েছিল ৫০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে শুল্ক হার যুক্তিযুক্ত করার সুযোগ প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় দফার আলোচনায় ১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে; এখন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করতে হলে পুরোনো ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নতুন ২০ শতাংশ মিলিয়ে মোট ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আমেরিকাকে দিতে হবে।

এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আদৌ ‘সরকার’ হয়ে উঠতে পেরেছে কি?
এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আদৌ ‘সরকার’ হয়ে উঠতে পেরেছে কি?

দেশ ও রাজনীতি

এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আদৌ ‘সরকার’ হয়ে উঠতে পেরেছে কি?

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির ঠিক দুদিন আগে গত ৩ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণার জন্য আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির একাধিক নেতার বক্তব্যে গত এক বছরে নানা ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তিজনিত নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশিত হয়। অথচ এনসিপিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান স্টেকহোল্ডার বা অংশীজন হিসেবে মনে করা হয়। সরকার নিজেও বিভিন্ন সময় বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এই দলটির প্রতি তাদের বিশেষ পক্ষপাত বা সমর্থন রয়েছে। এর একটি কারণ হয়তো এই যে, এনসিপি গঠিত হয়েছে এমন কিছু তরুণের উদ্যোগে যারা জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন কেন?
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন কেন?

সম্পাদকীয় মতামত

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন কেন?

বাংলাদেশে এখন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি-উদযাপন পর্ব চলছে। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে গত বছরের অভূতপূর্ব অগ্নিঝরা সময়ের; কিন্তু দুঃখের সঙ্গে এ-কথাও বলতে হয়, যতটা উজ্জ্বলতার সঙ্গে এই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করা দরকার ছিল ততটা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না। এর কারণ মানুষের মনে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা। এই নিরাপত্তাহীনতা কেবল দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরা নিয়ে নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। একদিকে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে জনজীবনের নিরাপত্তা, অন্যদিকে অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও ভবিষ্যতের নিরাপত্তাহীনাতায় ভুগছেন দেশের নাগরিকরা।

মুরাদনগরের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করুন
মুরাদনগরের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করুন

সম্পাদকীয় মতামত

মুরাদনগরের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করুন

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নৃশংস অপরাধ সংঘটনের জন্য আলোচিত হয়েছে কুমিল্লার মুরাদনগর। বিশেষ করে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে কুপিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে একই পরিবারের মা-ভাই-বোনকে হত্যা, স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষিকাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা দেশজুড়েই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। এর পাশাপাশি আরও কিছু রোমহর্ষক সন্ত্রাসী ঘটনার চিত্র চলতি সপ্তাহে উঠে এসেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

ঐকমত্য কমিশন: বিএনপি না মানলে কী হবে?
ঐকমত্য কমিশন: বিএনপি না মানলে কী হবে?

দেশ ও রাজনীতি

ঐকমত্য কমিশন: বিএনপি না মানলে কী হবে?

রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন; কিন্তু গত ১১ জুলাই কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখার সিরিয়াল পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তার প্রশ্ন, ‘বিএনপি কি ৫ নম্বর দল যে তাকে ৫ নম্বরে গিয়ে কথা বলতে হবে?’

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ