Views Bangladesh Logo

অন্তর্বর্তী সরকার

প্রজাতন্ত্রের একশ্রেণির কর্মকর্তা বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে কেন?
প্রজাতন্ত্রের একশ্রেণির কর্মকর্তা বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে কেন?

দেশ ও রাজনীতি

প্রজাতন্ত্রের একশ্রেণির কর্মকর্তা বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে কেন?

প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং গতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ নতুন কিছু বিধি সংযোজন করা হবে। প্রথমেই উল্লেখ করা প্রয়োজন, পাবলিক সার্ভেন্ট বা গণকর্মচারীদের সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আখ্যায়িত করার মধ্যেই বিভ্রান্তি রয়েছে। একটি গঠিত হওয়ার জন্য চারটি আবশ্যিক উপকরণের উপস্থিতি প্রয়োজন হয়। এগুলো হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, জনসংখ্যা এবং সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল এবং একমাত্র পরিবর্তনশীল উপকরণ হচ্ছে সরকার। অবশিষ্ট উপকরণগুলো পরিবর্তিত হয় না।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার এখতিয়ার যদি না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার এখতিয়ার যদি না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে

দেশ ও রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার এখতিয়ার যদি না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে

চট্টগ্রাম বন্দরের ৯টি টার্মিনালের মধ্যে একটির পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার যে উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে তার সমালোচনা এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের তুলনায় পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার ভার পৃথিবীর সেরা কোনো কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিতে হবে এবং এই ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা মানুষকে বোঝাতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বিদেশি কোম্পানিও নির্বাচিত করে ফেলেছে- ডিপি ওয়ার্ল্ড, আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। এই কোম্পানির সিইও বা প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেশে-বিদেশে ড. ইউনূসের দুইবার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং তাদের প্রস্তাবিত কাজ হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমানো, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা এবং বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র গেটওয়ে হিসেবে এর কার্যকারিতা বাড়ানো।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও কেন নাগরিক উদ্বেগ বাড়ছে!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও কেন নাগরিক উদ্বেগ বাড়ছে!

দেশ ও রাজনীতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও কেন নাগরিক উদ্বেগ বাড়ছে!

আমরা, সাধারণ নাগরিকগণ এই প্রথমবারের মতো একটি গণভোটবিহীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি- যা সংবিধান অনুযায়ী হয়তো কিছুটা বিতর্কিত; কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে একে প্রয়োজনীয় বলেই মেনে নিতে হয়েছে। কারণ, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ কখনোই একটি পূর্ণাঙ্গ, কার্যকর ও টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বরং দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতালিপ্সা, দুর্নীতি, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেশকে এক গভীর আস্থাহীনতার খাদে ঠেলে দিয়েছে।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সহজ?
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সহজ?

দেশ ও রাজনীতি

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সহজ?

যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে- সেই দলটি দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পর গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হলো- তার পেছনে অন্তত বিশটি কারণ আছে। এখানে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বা বিদেশি ইন্ধনের অভিযোগ যতই থাকুক, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আওয়ামী লীগ যে দুর্নীতি, দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল- সেটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

দেশ ও রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে, আর হবে না!

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কারের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ঠুনকো সংস্কার না, লোক দেখানো সংস্কার না, একদম ফান্ডামেন্টাল সংস্কার। এটা এমনভাবে করব আর কেউ পাল্টাতে পারবে না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আমার একটাই কথা- সংস্কার। সংস্কারে কী কী বিষয় হবে, সেটা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেন; কিন্তু সংস্কার না করে যেন নির্বাচন না করি।… এই সুযোগ হারাবেন না।’ তিনি চমৎকার বলেন; কিন্তু তা তিনি বাস্তব অবস্থা বিচার করে বলেন না। তিনি স্বপ্ন দেখেন; কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে হতাশ হন। কেউ যাতে সংস্কার পাল্টাতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি নেবেন- এই কথাটি বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগের কথা।

সংবাদ বন্ধ এবং সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ‘অনিবার্য কারণ’
সংবাদ বন্ধ এবং সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ‘অনিবার্য কারণ’

দেশ ও রাজনীতি

সংবাদ বন্ধ এবং সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ‘অনিবার্য কারণ’

৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ঠিক চার দিন আগে গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলে যা ঘটেছে- তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যকে যেমন প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, তেমনি সাংবাদিকের প্রশ্ন করার স্বাধীনতা, এখতিয়ার ও সীমারেখার বিষয়টিও সামনে এসেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পরে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘সংবাদমাধ্যম ও মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি আপনারা মন খুলে আমাদের সমালোচনা করুন। আমরা সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মিডিয়া যাতে কোনোরকমের বাধাবিপত্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে পারে, সেজন্য একটি মিডিয়া কমিশন করার ইচ্ছা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে।’

রাখাইনের জন্য করিডোর: নানা প্রশ্নের উত্তর কী?
রাখাইনের জন্য করিডোর: নানা প্রশ্নের উত্তর কী?

সম্পাদকীয় মতামত

রাখাইনের জন্য করিডোর: নানা প্রশ্নের উত্তর কী?

গাজাবাসীর পর এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি রাখাইন জনগোষ্ঠী। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। এমন শঙ্কা থেকে সেখানে মানবিক সহায়তা দিতে বাংলাদেশের কাছে করিডোর চেয়েছে জাতিসংঘ।

ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ বড় সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করবে
ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ বড় সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করবে

আইসিটি

ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ বড় সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করবে

একটি বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের দেশে ফিক্সড ব্রডব্র্যান্ড কিংবা মোবাইল ইন্টারনেট উভয় ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের স্পিড এখন পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে কম। আশার কথা হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যারা টেলিযোগাযোগ খাতের নেতৃত্বে আছেন, তাদের মধ্যে একটা সদিচ্ছা দেখা গেছে। তারা চান দেশের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে যাক। এ সদিচ্ছার সঙ্গে যারা ইন্টারনেট ভ্যালু চেনে বিভিন্ন পর্যায়ের অপারেটর আছেন, তাদের মধ্যে যদি আস্থা এবং সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দেওয়া কঠিন কিছু নয়।

ক্ষমতায় থাকার পুরোনো তরিকা
ক্ষমতায় থাকার পুরোনো তরিকা

দেশ ও রাজনীতি

ক্ষমতায় থাকার পুরোনো তরিকা

‘রাস্তা থেকে মানুষ বলে আপনারা আরও ৫ বছর থাকেন।’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই বক্তব্যের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের বেশ মিল রয়েছে।

রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে
রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে

দেশ ও রাজনীতি

রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে

বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন যা মূলত রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার পেছনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনীহা, কায়েমি স্বার্থবাদীদের প্রভাব এবং সামাজিক চাহিদার দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে নীতি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবে তা কাঠামোগত ও কার্যকর রূপ লাভ করতে পারেনি। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত প্রকৃতি সংস্কার বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোতেই গণতন্ত্রের অভাব থাকায় তারা জাতীয় পর্যায়েও গণতন্ত্র ও সুশাসনের সংস্কার বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়। দলীয় নেতাদের একচ্ছত্র আধিপত্য, উত্তরাধিকারভিত্তিক নেতৃত্ব এবং দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনিয়মিত প্রক্রিয়া রাজনৈতিক সংস্কারের পথে বড় অন্তরায়।

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ