বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ ব্যতীত কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়। কোনো দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ হলেও সেই সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। প্রাকৃতিক সম্পদকে রূপান্তর এবং ক্রমাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উপযোগিতা বাড়াতে হয়। বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে যারা প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ; কিন্তু সেই সম্পদ ব্যবহারের জন্য যে আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হয় তা নেই বলে বিদেশি কোম্পানির কাছে প্রাকৃতিক সম্পদ ইজারা দিতে হয়। বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নেয়। আফ্রিকার অনেক দেশে এমন পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করা গেছে। তাই মর্যাদাবান কোনো দেশ তার নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ অন্য কোনো দেশের জিম্মায় দিতে চায় না।
মধ্যস্থতাকারীকে আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ সম্ভব নয়
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি উদ্যোগ হচ্ছে, যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবেন তাদের নির্দিষ্ট হারে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হবে। সব প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করবেন তাদের আহরিত বিনিয়োগের ১ শতাংশ হারে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হবে। এই বিনিয়োগ হতে হবে নতুন এবং কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত ইমেজ ও সম্পর্ক ব্যবহার করে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের চেষ্টা করে থাকেন। আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই তাদের উৎসাহিত করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বৈষম্য কমানোর বাজেট প্রত্যাশা
বড় সমসা আমাদের শিক্ষার উন্নতিকল্পে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ খুবই কম। অথচ আমাদের পাশ্চাত্য দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণের চেয়ে বাংলাদেশে অত্যন্ত কম।
টেকনিক্যাল অনুসন্ধান করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কার নিয়ে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দৃশ্যত, কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্থায় পড়েছে। একদিকে ‘সুযোগ বুঝে’ মোবাইল অপারেটররা চাচ্ছে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে। ‘সুযোগ বুঝে’ শব্দটা এ জন্য বলছি যে, এর আগে দুটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের পক্ষে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত পায়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে যদি কোনোভাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন অপারেটর, ইন্টারকানেকশস এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে এবং ইন্টারন্যাশাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অপারেটররা নিজেদের ব্যবস্থার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে গভীর শঙ্কা
বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফআইসিসিআই) বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, বিনিয়োগ (স্থানীয় ও বিদেশি) একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। তাই বিনিয়োগ আহরণ এবং ধরে রাখার জন্য নীতির ধারাবাহিকতা থাকা খুবই প্রয়োজন। ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কগ্রস্ত করে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির নিরাপত্তার স্বার্থে নীতির ধারাবাহিকতা কামনা করে। কারণ কোনো দেশ বা অঞ্চলের বিনিয়োগ করা হলে চাইলেই তা প্রত্যাহার করে নেয়া যায় না; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গৃহীত নীতিগুলো মাঝে মাঝেই পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়তে পারেন। বেসরকারি মালিকানাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। এতে পাইপলাইনে থাকা বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : আইএসপিআর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।