নির্বাচন কমিশন
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানালেন সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোকে স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ ও পেশাদারভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একইদিনে নির্বাচন ও গণভোট করতে ইসিকে চিঠি অন্তর্বর্তী সরকারের
একইদিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জিং: সিইসি
একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য শুধু মুখে, কাজে নয় কেন?
আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখনো পুরোপুরি ঐক্য দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর যথেষ্ট টানাপড়েন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। সংগত কারণেই নির্বাচন প্রসঙ্গটি সবার কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠছে। অথচ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য থেকেই গেছে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো যথাযথ ভাবে জনগণের কাছে পৌঁছতে পারছে কি না কিংবা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অথচ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রধান কাজ। দেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য মাঝেমধ্যে এই ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে।
চুয়ান্ন বছর বয়সেও কেন বাংলাদেশ শিশু রয়ে গেল?
নির্বাচনমুখী লোকজনের ধারণা নির্বাচন হলে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে, জিডিপি বৃদ্ধি পাবে, বিনিয়োগের মহাপ্লাবন হবে, কলকারখানা বন্ধ হবে না, গ্যাসের সরবরাহে কমতি হবে না, বিদ্যুতের দাম কমবে, লোডশেডিং হবে না, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকবে না, ওয়াজ আর ব্যান্ড সংগীতের আওয়াজে শিক্ষার্থীর মনোযোগ নষ্ট হবে না। আবার কিছু মানুষের ধারণা- নির্বাচন হলেও এগুলোর কিচ্ছু হবে না বরং আবির্ভাব হবে নতুন চোর, ভিন্ন সাজের ডাকাত, অর্থগৃধ্নু দুর্নীতিবাজ, লেবাসধারী ঘুষখোর, নবসাজে অর্থ পাচারকারী। বর্তমান দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী তার ঘুষ দেয়ার কাহিনি শুনিয়েছেন গণশুনানিতে; শুনিয়েছেন বহুতলা ভবনের নকশা অনুমোদনে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বা অনাপত্তি নিতে গিয়ে কীভাবে তাকে হেনস্তা হতে হয়েছে, উল্লেখ করেছেন কীভাবে হজে যাওয়ার ঠিক পূর্বদিন তাকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ঘুষ দেয়া অপরাধ বিধায় ঘুষ দেয়ার কথা কেউ বলে না, ঘুষ ইমানদার লোকদেরও দিতে হয়; কিন্তু প্রমাণ করা কঠিন। প্রমাণ করা গেলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া বোকামি, আইনের অসংখ্য ধারা, কোন ধারা জামিন অযোগ্য তা ঘুষখোর জানে। এগুলো শুধু স্বৈরাচারের আমলে হয় না, নির্বাচিত সরকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায়ও হয়।
‘ডাকসু’ ও ‘জাকসু’ নির্বাচনে কী সংস্কার হলো?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের এক দিন পরে দেশের আরেক প্রাচীন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে তারা ভোট বর্জনের কথা জানায়। তাদের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল এটি সাজানো নির্বাচন হবে।’
ডাকসু নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের পক্ষপাতিত্ব কেন?
ডাকসু নির্বাচন কেবল বহু প্রত্যাশিত শুধু নয়, এটার ভেতর দিয়ে মানুষের প্রত্যাশার পাশাপাশি আকাঙ্ক্ষাটা ছিল বিশাল। এতদিন নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করার হয়েছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যেক বছর ফি নেয়া হতো কিন্তু তার নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকত না। দীর্ঘ বছর পর ২০১৯ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো সত্তরের দশকে একবার নির্বাচন হয়েছে এরপর আর হয়নি। এরকম একটা অবস্থা থেকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শিক্ষার পরিবেশ এবং রাজনীতির ক্ষেত্রেও একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে যেতে পারব- এটিই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। একটা সুন্দর নির্বাচন সবাই চেয়েছিল।
ডাকসু নির্বাচন: গণতন্ত্রের পথে আশা, বাধা ও সম্ভাবনা
গণতন্ত্রের অনুশীলনকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হয়, তবে তার সূচনা হওয়া উচিত শিক্ষাঙ্গন থেকে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়, সেখানে ছাত্রসংগঠনের স্বাধীন নির্বাচন গণতান্ত্রিক চর্চার প্রথম পরীক্ষাগার। এবারের ডাকসু নির্বাচন অনেকেই মনে করেছিলেন একটি নতুন সূচনা হতে পারবে; কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখানেও বাধা এসেছে।
ঐকমত্য ছাড়াও কিছু সংস্কার সম্ভব
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে, বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এবং তার জন্য অর্থ খরচের স্বাধীনতা থাকলে সরকারের নির্বাহী বিভাগের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা কমবে।