ড. ইউনূস
বাংলাদেশ-কোরিয়া উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)-এর প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই পক্ষ উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশের এলডিসি থেকে নির্বিঘ্ন উত্তরণে সহায়তা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
উপদেষ্টা পরিষদ গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫–এর খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সকাল ১১টায় বৈঠকটি শুরু হয়।
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে শনিবার (২২ নভেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
আশা থেকে অনিশ্চয়তার পথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
প্রধান উপদেষ্টা ১৩টা দেশে ১৪ বার ঘুরেছেন- শুনলেই মনে হয়, দারুণ কিছু ঘটেছে। কিন্তু এসব সফরের আসল ফল কোথায়? বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো বাণিজ্য, বড় বিনিয়োগ, কিংবা উল্লেখযোগ্য চুক্তি- কিছুই চোখে পড়ে না।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির অবসান হোক
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কথা দিয়ে লেখা শুরু করি; তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ তার মতে এই নির্বাচন হবে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার প্রতিটি কথায় বিন্যস্ত ছন্দের শৈল্পিক দোলা থাকা, শ্রোতা মুগ্ধ হয়, ভক্তের সংখ্যা বাড়ে; কিন্তু বিশ্বাস হয় না।
মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়
তিন দফা আলোচনা শেষে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে তার পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে পেরেছে। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন ইতিবাচক, তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য কূটনৈতিক সাফল্যও বটে। কারণ গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প যখন প্রথমবার বিভিন্ন দেশের ওপর বাড়তি শুল্কের পরিমাণ ঘোষণা করলেন, তখন বাংলাদেশের পণ্য থেকে ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক নেয়ার কথা বলেছিলেন। পরে সেই শুল্ক স্থগিত হয়ে যায়। ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প জানান, ৩৭ নয়, ২ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর শুল্কের পরিমাণ করা হচ্ছে ৩৫ শতাংশ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: আস্থার ভঙ্গ ও জবাবদিহির সংকট
গত আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এটি নিজেকে একটি সংস্কারমুখী ও সুশাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রূপান্তরকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল; কিন্তু এক বছরের কাছাকাছি সময় পেরিয়ে গেলেও দেশটি এখন আরও গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত- যেখানে চরম অব্যবস্থাপনা, বেড়ে চলা বৈষম্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে নাগরিক কল্যাণের বিভেদ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে, যা স্থিতিশীলতার সেতু হওয়ার কথা ছিল, তা এখন অনিশ্চয়তার অতল গহ্বরে পতনের রূপ নিচ্ছে।
সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কি শুধুই নির্বাচন প্রশ্নে?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং মির্জা আব্বাস সম্প্রতি এমন কিছু কথা বলেছেন, যাতে মনে হচ্ছে বিএনপি বুঝি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বিরোধী দল। যদিও অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় বিএনপিও বড় ভূমিকা রেখেছে। বিএনপি শুরু থেকেই বলছে যে, এই সরকার তাদের সরকার; কিন্তু দেখা গেল, গত বছরের ৮ আগস্ট এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের মাস কয়েক পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব বা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। তাতে প্রশ্ন উঠছে, সরকারের সঙ্গে বিএনপির এই দূরত্ব কী শুধুই নির্বাচন প্রশ্নে নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে?
সংস্কারের ‘ষড় ক’ এবং অর্থনৈতিক সংকটের পদধ্বনি
সংস্কার বলতে আপনি কী বোঝেন- সেটি নির্ভর করে আপনি কে, আপনার পেশা কী, আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মত কী, কোন দলের সমর্থক এবং সর্বোপরী দেশ নিয়ে আপনার ভাবনা কী- তার ওপর। একজন রিকশাচালক সংস্কার বলতে যা বোঝেন, একজন রাজনীতির অধ্যাপকের কাছে সংজ্ঞাটি হয়তো সেরকম নয়। আবার জুলাই অভ্যুত্থানে যে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো সক্রিয় ছিল, তাদের সবার কাছেও সংস্কারের সংজ্ঞা এক নয়। যেমন বিএনপি সংস্কার বলতে বোঝে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযাগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ। তাদের কাছে সংস্কার মানে প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটবঞ্চিত মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত করা; কিন্তু সংস্কার প্রশ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় বিএনপির দীর্ঘদিনের ভোট ও জোটসঙ্গী জামায়াতের অবস্থান ভিন্ন। তারা মনে করে, আগে সংস্কার তারপরে নির্বাচন। অর্থাৎ নির্বাচন তাদের কাছে এক নম্বর অগ্রাধিকার নয়।
শ্রম আইনে মামলা: ইউনূসের জামিন মেয়াদ ৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।