Views Bangladesh Logo

ব্যাংকিং খাত

ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের উল্লম্ফন কবে বন্ধ হবে
ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের উল্লম্ফন কবে বন্ধ হবে

সম্পাদকীয় মতামত

ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের উল্লম্ফন কবে বন্ধ হবে

ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে বেশি; কিন্তু ফেরত আসছে কম। আবার অনিয়ম, কেলেঙ্কারি এবং পর্ষদের স‌ঙ্গে আঁতাত ক‌রে নেয়া অর্থ করা হচ্ছে লুটপাট। ফলে লাগামহীনভাবে বাড়ছে দুর্দশাগ্রস্ত ও খেলাপি ঋণ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এই ঋণের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। দেশের আর্থিক খাতের নাজুক অবস্থার প্রকট চিত্রই তুলে ধরেছে এ সংখ্যা।

ব্যাংক সংস্কার নিয়ে আর নয় ‘নয়ছয়’
ব্যাংক সংস্কার নিয়ে আর নয় ‘নয়ছয়’

সম্পাদকীয় মতামত

ব্যাংক সংস্কার নিয়ে আর নয় ‘নয়ছয়’

দেশের কিছু ব্যাংক জন্মলগ্ন থেকে তার আমানতের টাকা নিয়ে ‘নয়ছয়’ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য পুরো ব্যাংক খাতের যে ‘নয়ছয়’ হয়ে গেছে, তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে হচ্ছে না। যদিও গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ খাতে অনেক আশার কথা বললেও সেই আশানুরূপ ফল এখনো দৃশ্যমান হয়নি। গত সপ্তাহে তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ব্যাংক সংস্কারে ২০ হাজার কোটি টাকা ঢালবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব ব্যাংক সংস্কারে ২০ হাজার কোটি টাকা ঢালবে, সেসব ব্যাংক থেকে যে বা যারা বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদের কি করা হলো?

ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

সম্পাদক সম্পর্কে

ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

দেশের ব্যাংক খাতে অনাদায়ী বা খেলাপি ঋণের সমস্যা নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে এটি চলে এলেও এ সমস্যার সমাধানে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে এক গবেষণায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছিল, বাংলাদেশে বিতরণকৃত ঋণের এক-তৃতীয়াংশই খেলাপি।

ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?
ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?

অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?

দেশের ব্যাংকিং সেক্টর অনেক দিন ধরেই বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বিগত সরকার আমলে এই খাতের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ৮ মাস গত হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয় না। এখনো বেশ কিছু দুর্বল ব্যাংক রয়ে গেছে। কিছু কিছু দুর্বল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় টিকে আছে। কিছু কিছু ব্যাংক মোটামুটি চলছে। তবে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা ভালো বলা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রসঙ্গক্রমে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাংক আছে যেগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে।

বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে
বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে

অর্থনীতি

বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে

সরকারি সমর্থনপুষ্ট এই পরিবারটি দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য অভিশাপ হিসেবে কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত উদ্ধারের জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো কোনো ব্যাংকেও সমস্যা রয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যাতে ব্যাংকিং খাতে কোনো রকম প্রভাব ফেলতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। গভর্নর অবশ্য এটা সুস্পষ্টভাবে বলেননি যেসব ব্যাংক বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না তাদের পরিণতি কী হবে বা তাদের কীভাবে ব্যাংকিং খাত থেকে বিদায় করা হবে। তবে গভর্নরের বক্তব্যে এটা সুস্পষ্ট যে, দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?
খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?

অর্থনীতি

খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?

খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য ঋণগ্রহীতা নাকি ব্যাংকার বেশি দায়ী?

জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন
জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন

অর্থনীতি

জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন

ছাত্রদের আন্দোলনের পর এক বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় তিন মাস অতিক্রম করতে চলেছে। এই সরকারের প্রতি জনপ্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে সৃষ্ট ক্ষত দূরীকরণের মাধ্যমে দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথে ধাবিত করবে, এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা; কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমেই ফিকে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হলেও সেই কমিশনের কার্যক্রম এবং অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা জানতে পারছে না। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চিন্তা করছে এবং সেই চিন্তার প্রতিফলন আমরা আগামীতে কতটা প্রত্যক্ষ করতে পারব, তা নিয়ে সাধারণভাবে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডি বদল, নীতি বদল কবে?
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডি বদল, নীতি বদল কবে?

অর্থনীতি

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডি বদল, নীতি বদল কবে?

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এক সার্কুলারের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংকের (সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা বেসিক ও বিডিবিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের (এমডি ও সিইও) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এর আগে আর কখনোই একযোগে এতজন এমডির নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। একযোগে এতজন এমডির নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ব্যাংকিং খাত সংস্কারের এখনই সময়
ব্যাংকিং খাত সংস্কারের এখনই সময়

অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাত সংস্কারের এখনই সময়

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ এখন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণরায়ের ভিত্তিতে গঠিত একটি নতুন সরকারের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করা।

ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই
ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই

অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই

অর্থনীতিবিদ হিসেবে সব সময়ই আমি শুধু তত্ত্ব চর্চায় আটকে না থেকে গুণমুখী উন্নয়ন চিন্তাগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে যুক্ত থাকতে সচেষ্ট হয়েছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকেই সব সময় আমার গবেষণার কেন্দ্রে রেখেছি। গণমানুষের কল্যাণে অর্থনীতি চর্চাকে প্রাসঙ্গিক করার সুযোগ সবার জীবনে আসে না। তবুও সব সময়ই আগ্রহ ছিল নীতিনির্ধারণের সুযোগ পেলে এই গবেষণার অভিজ্ঞতাগুলো বাস্তবে কাজে লাগাব। ১৯৯০-এর দশকের একেবারে শেষদিকে একবার সুযোগ এসেছিল জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়। প্রায় দুবছর সময় পেয়েছিলাম ‘জনতা ব্যাংক জনতার ব্যাংক’ স্লোগানের আলোকে ‘ঘরে ঘরে জনতা ব্যাংক’ এবং কৃষক ও খুদে উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক লেনদেনের সুযোগকে অবারিত করার। পাশাপাশি ব্যাংক সেবাকে আরও গণমানুষের কাছাকাছি নেওয়ার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা চালু করে তরুণদের যুক্ত করতে সচেষ্ট হই। সে সময় ওই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীসহ সব ব্যাংকারই যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন অংশগ্রহণমূলক ও মানবিক ব্যাংকিং চালু করতে তা এক কথায় ছিল অনন্য। তাই ব্যাংকটি সব সূচকেই বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হতে পেরেছিল।

ট্রেন্ডিং ভিউজ