Views Bangladesh Logo

বাংলাদেশ ব্যাংক

মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক তুলতে হলে সরকার ও মালিক পক্ষের বোঝাপড়া জরুরি
মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক তুলতে হলে সরকার ও মালিক পক্ষের বোঝাপড়া জরুরি

সম্পাদকীয় মতামত

মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক তুলতে হলে সরকার ও মালিক পক্ষের বোঝাপড়া জরুরি

ঢাকার রাস্তায় চলতে গেলেই দেখা যায় মুখের ওপর কালো ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যাচ্ছে লঙ্কড়ঝক্কড় বাস-ট্রাক, বাসের বডি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এরকম অবস্থা, যাত্রী-পথচারীর জন্য এগুলো প্রচণ্ড হুমকিস্বরূপ। শুধু দুর্ঘটনা নয়, এসব গাড়ির কালো ধোঁয়াও পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরেই এসব মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক বন্ধের কথা হচ্ছে; কিন্তু কোনো সরকারের আমলেই তা যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি; এর কারণ এসব পরিবহনের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। বেশিরভাগ যানবাহনের মালিকও কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা, কিংবা অন্তত পরিবহন সেক্টরের মালিকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অত্যন্ত গভীর। ফলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও উক্ত বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি।

ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

সম্পাদক সম্পর্কে

ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

দেশের ব্যাংক খাতে অনাদায়ী বা খেলাপি ঋণের সমস্যা নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে এটি চলে এলেও এ সমস্যার সমাধানে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে এক গবেষণায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছিল, বাংলাদেশে বিতরণকৃত ঋণের এক-তৃতীয়াংশই খেলাপি।

ব্যাংকিং খাতে সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে দ্বৈতশাসন
ব্যাংকিং খাতে সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে দ্বৈতশাসন

অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে দ্বৈতশাসন

বাংলাদেশের অর্থনীতির যে খাতটি সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। ব্যাংকিং খাতকে একটি দেশের অর্থনীতির ধমনিতে রক্ত প্রবাহের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কোনো মানুষ বা প্রাণির ধমনিতে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিকভাবে চলাচল না করলে যেমন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রাণির মৃত্যুও হতে পারে। ঠিক তেমনি কোনো দেশের ব্যাংকিং খাত যদি স্বাভাবিক গতিতে সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, তাহলে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে সমস্যা দেখা দেবেই। আর্থিক সামর্থ্যহীনতার কারণে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের উদ্যোক্তাদের পুঁজির চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাংকের কাছে ধরনা দিতে হয়; কিন্তু ব্যাংকিং খাত উদ্যোক্তা এবং সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা দিতে পারছে না।

ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে
ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে

অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী দেশের ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে এই পাঁচটি ব্যাংক মিলে একটি শক্তিশালী ইসলামী ধারার ব্যাংক গঠন করা হবে। যে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে একীভূত করা হবে তার মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলের শেষের দিকে এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক মিলে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে সেই উদ্যোগ থেমে যায়।

ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?
ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?

অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?

দেশের ব্যাংকিং সেক্টর অনেক দিন ধরেই বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বিগত সরকার আমলে এই খাতের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ৮ মাস গত হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয় না। এখনো বেশ কিছু দুর্বল ব্যাংক রয়ে গেছে। কিছু কিছু দুর্বল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় টিকে আছে। কিছু কিছু ব্যাংক মোটামুটি চলছে। তবে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা ভালো বলা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রসঙ্গক্রমে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাংক আছে যেগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে।

ফ্রেশনোট ঈদে না ছাড়লেও অন্য সময় ছাড়তে হবে
ফ্রেশনোট ঈদে না ছাড়লেও অন্য সময় ছাড়তে হবে

অর্থনীতি

ফ্রেশনোট ঈদে না ছাড়লেও অন্য সময় ছাড়তে হবে

বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ মার্চ, ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন ইস্যু করে তাদের সব অফিসকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে ফ্রেশনোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রেখে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদন করতে নির্দেশ দিয়েছে। একই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গেও ফ্রেশনোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে। অর্থাৎ আসন্ন ঈদুল ফিতরে কোনো ফ্রেশনোট ছাড়া হচ্ছে না; কিন্তু এই প্রজ্ঞাপন জারির কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯ মার্চ থেকে ফ্রেশনোট ইস্যু করা হবে মর্মে ঘোষণা দিয়েছিল। অল্প সময়ের ব্যবধানে পরস্পরবিরোধী প্রজ্ঞাপন থেকে প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের গৃহীত পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে
বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে

অর্থনীতি

বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে

সরকারি সমর্থনপুষ্ট এই পরিবারটি দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য অভিশাপ হিসেবে কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত উদ্ধারের জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো কোনো ব্যাংকেও সমস্যা রয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যাতে ব্যাংকিং খাতে কোনো রকম প্রভাব ফেলতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। গভর্নর অবশ্য এটা সুস্পষ্টভাবে বলেননি যেসব ব্যাংক বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না তাদের পরিণতি কী হবে বা তাদের কীভাবে ব্যাংকিং খাত থেকে বিদায় করা হবে। তবে গভর্নরের বক্তব্যে এটা সুস্পষ্ট যে, দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি
এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি

অর্থনীতি

এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি

ম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রণীত প্রথম মুদ্রানীতি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। বর্তমান বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকালে কেমন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয় তা নিয়ে সবারই আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। প্রায় তিন বছর ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না

অর্থনীতি

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এটি ছিল চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) দ্বিতীয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মুদ্রানীতি। ঘোষিত মুদ্রানীতি নিয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষ আগ্রহ প্রত্যক্ষ করা গেছে। তবে সবাই ধারণা করেছিলেন প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক হতে পারে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ঘোষিত মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক বলা যেতে পারে। কারণ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এটা বিগত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি। একই সময়ে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ব্যাপক হারে কমেছে। অর্থাৎ ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি এখন অনেকটাই মন্থর হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আহরণের হারও কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আহরণের পরিমাণ কমেছে ৭১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার

মার্কিন ডলারের বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ
মার্কিন ডলারের বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ

অর্থনীতি

মার্কিন ডলারের বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ

মার্কিন ডলারের বিনিময়হার নির্ধারণের এই নতুন পদ্ধতিকে বর্তমানে প্রচলিত ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতির অগ্রবর্তী ধাপ হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে। ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি মধ্যবর্তী দর বেঁধে দিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে ১ টাকা যোগ বা বিয়োগ করে সিডিউল ব্যাংকগুলো এবং মুদ্রা বিনিময়ের সঙ্গে যুক্ত অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের হার নির্ধারণ করত। যেমন, প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়হার হয়তো ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলো।

...

ট্রেন্ডিং ভিউজ