আসিফ নজরুল
‘তদবির বাণিজ্য’ থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে আসতে হবে
তদবির ছাড়া বাংলাদেশে কোনো কাজ হয় না এমন কথা বহু বছর ধরেই প্রচলিত আছে। চাকরিপ্রাপ্তি থেকে হাসপাতালে ভর্তি, স্কুলে ভর্তি, বদলি, পদোন্নতি, টেন্ডার, ব্যবসায়িক নিবন্ধন- সবকিছুতেই এদেশে তদবিরের প্রয়োজন। তা হোক সরকারি, বেসরকারি যে-প্রতিষ্ঠানই হোকে। শোনা যায়, পিয়নের চাকরিও এ দেশে আজ আর তদবির ছাড়া হয় না। পদ যত উঁচু, কাজ যত বড় তা বুঝে ধরতে হয় তত বড় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যার ফলে এমপি-মন্ত্রী-সরকারি বড় কর্তার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রেখে তদবির আদায়ই এ দেশের একশ্রেণির মানুষের দীর্ঘকালব্যাপী বাণিজ্য।
বিচার বিভাগে যোগ্যতা ও সততার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি
বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে গত ১৫ বছরে মারাত্মকভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা বিচারিক (নিম্ন) আদালতের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগে দুঃশাসনের নজির স্থাপন করা হয়েছে। আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে আইনগত সংস্কার করে উপযুক্ত জায়গায় উপযুক্ত ব্যক্তিকে পদায়ন করে আমার মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন ব্যাপারে যা যা করার আছে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।