১৯৪৭
কর্মের মধ্যে কমরেড যতীন সরকার বেঁচে থাকবেন
অধ্যাপক যতীন সরকার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি তেমন বিত্তবান ঘরের সন্তান ছিলেন না; কিন্তু জ্ঞানের ঐশ্বর্যে তিনি ছিলেন বিত্তবান। ছিলেন প্রান্তজন। ছোটবেলা থেকেই খুব কষ্ট করে বড় হয়েছেন। লেখাপড়াও করেছেন খুব কষ্টের মধ্যে; কিন্তু চিন্তার দিক থেকে তিনি যখন মার্কসবাদ চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত হন, তখন তার বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হয়। আমৃত্যু তিনি মার্কসবাদ, লেলিনবাদী দর্শনে বিশ্বাস করতেন; কিন্তু চর্চার দিক থেকে তিনি ছিলেন লোকজ। চর্চার দিক থেকে তিনি কোনো ডগমেটিক ছিলেন না। মতান্ধ ছিলেন না। নতুনকে ধারণ করার ক্ষমতা ওনার মধ্যে ছিল প্রবল।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গণআকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি
পিতা চলে গেলেই পিতৃতান্ত্রিকতা যে বিদায় হয়, তা নয়। পিতৃতান্ত্রিকতার অবসান ঘটানোর জন্য একটি সামাজিক বিপ্লব আবশ্যক। আমাদের দেশে সে বিপ্লব আজও ঘটেনি। মানুষের সঙ্গে মানুষের অধিকারের সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি; ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও যে সহসা ঘটবে এমন আশা নেই। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানোর নিশ্চয়তা-প্রাপ্তি দূরের সুখস্বপ্ন বটে। আর সামাজিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যেহেতু ব্যক্তি মালিকানার জায়গাতে সামাজিক মালিকানার প্রতিষ্ঠা ঘটেনি, তাই বৈষম্য উৎপাদনের প্রকৃত ক্ষেত্রটি অক্ষুণ্নই রয়ে গেছে।