Views Bangladesh Logo

বগুড়ায় সংস্কার হচ্ছে তারেক রহমানের বাড়ি

Masum   Hossain

মাসুম হোসেন

দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই সাথে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হচ্ছে তার নতুন অধ্যায়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে। তার প্রার্থীতা ঘিরে বগুড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

তারেক রহমানের পক্ষে ইতিমধ্যেই প্রার্থীতার মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করা হয়েছে। নিজ জেলা বগুড়া থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছে তার। এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারেক রহমান। তাও নিজের জেলা বগুড়ার সদর আসন থেকে।

বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় তারেক রহমান বগুড়া শহরে অবস্থান করে সরাসরি নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। সে কারণেই দীর্ঘ ১৭ বছর পর বগুড়া শহরের তারেক রহমানের বাড়িটি সংস্কার করা হচ্ছে। এই বাড়িটি তারেক রহমানের কাছে নতুন নয়। অতীতেও তিনি একাধিক বার সেখানে অবস্থান করেছেন। বগুড়ায় এলেই সাধারণত সেই বাড়িতেই থাকতেন। সেখান থেকেই বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনি।

বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকায় রিয়াজ কাজী লেনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর দেওয়া জমির ওপর ২০০০ সালে চারতলা বাড়ি নির্মাণ করেন
তারেক রহমান। বাড়িটির নাম গ্রীণ এষ্টেট। ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মাঝে মধ্যেই এই বাড়িতে অবস্থান করতেন তিনি।

২০০৭ সালে ওয়ান/ইলেভেন সরকারের সময় গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ওই সময় তার ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয় বলে জানান তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

চলতি বছরের গত ৫ জানুয়ারি চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা চার মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল শুনানিতে এসব কথা জানান তিনি। ওই দিন শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

ব্যারিস্টার খোকন ওই সময় সাংবাদিকদের জানান, রিমান্ড নিয়ে তারেক রহমানের ওপর নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন করে তার কোমরের হাড় গুঁড়ো করে দেওয়া হয়েছিল। যা আর কখনো রিপেয়ার হবে না। অথচ সেই মামলাগুলোতে তারেক রহমানের নামই ছিল না। ওই সময় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।


জানা যায়, পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তারেক রহমানকে লন্ডন পাঠানো হয়। তখন থেকে তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন আসে। এরপর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরা সময়ের অপেক্ষা ছিল।

সম্প্রতি বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। এরপর পরই তারেক রহমানের বগুড়ার বাড়িটি সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর ছেলে আইনজীবি সাহেদুজ্জামান সিরাজ বিজয় ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার কারণে বাড়িটিতে কিছুটা সংস্কারের প্রয়োজন। বাড়িটি পরিষ্কার এবং নতুন করে রঙ করা হচ্ছে। এছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি আরও জানান, বগুড়ায় এলে তারেক রহমান এই বাড়িতেই অবস্থান করবেন। এর আগেও তারেক রহমান বগুড়ায় এলে এই বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ